somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেঙ্গমা বেঙ্গমী এবং ব্যাঙার্জমের গল্প

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বেঙ্গমা এবং বেঙ্গমী দম্পতির মধ্যে প্রণয়ের কোন অভাব না থাকলেও তাদের একটা বড় দুঃখ ছিলো। তারা নিঃসন্তান। অবশ্য এক্ষেত্রে ভালোবাসার অপ্রতূল প্রায়োগিকতাকেও দায়ী করা যায়। কারণ তারা থাকতো দুটি আলাদা বৃক্ষে। মিলিত হবার সুযোগ পেতো কম। বৃক্ষশোভিত এই অঞ্চলে অরণ্যের বিস্তারের সাথে সাথে তাদের মধ্যে দূরত্বও বাড়তে থাকে। একসময় তারা আবিস্কার করে, বাসস্থান এবং বাস্তুসংস্থানের বিবর্তনে তাদের মধ্যে একটা বিভাজনরেখা তৈরী হয়েছে। তখন তারা বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে যাবতীয় খুনসুটি স্থগিত রেখে নিজেদের নতুন দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাজের ফাঁকে সময় পেলে সীমান্তের দুই পাড় থেকে নিজেদের মধ্যে ভাবোদ্রেককারী কথোপকথনের মাধ্যমে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করত। তবে প্রায়শঃই কথাবার্তা রোমান্টিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পেশাদার সংলাপে পর্যবসিত হত। দুই পাশের আরণ্যিক আয়রনি তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনও কখনও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী করলে বুদ্ধিমান বেঙ্গমা চতুরতার সাথে মীমাংসা করে ফেলতো। এই যেমন, অরণ্যের বেঙ্গমীপ্রান্ত থেকে নিরামিশাষী প্রাণীরা সীমান্ত পেরিয়ে বেঙ্গমা অধ্যুষিত এলাকায় ঘাস খেতে গেলে অথবা সমগোত্রীয় কোন প্রাণীকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চাইলে শ্বাপদসঙ্কুল অরণ্যের মাংসাশী পশুদের হামলার শিকার হত। এ নিয়ে বেঙ্গমীর তেমন কোন মাথাব্যথা না থাকলেও তার অধীনস্থ চতুষ্পদদের প্রতিবাদে মাঝেমাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে উষ্মা প্রকাশ করত বাধ্য হয়ে। তবে তাদের প্রেমজ সম্পর্ককে কখনও এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাপিয়ে যেতে পারে নি। বরঙ তারা ভাবছিলো কীভাবে প্রেমজ সম্পর্ককে কামজে পরিণত করে সন্তান জন্মদান করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বেঙ্গমা একটি শর্ত আরোপ করেছিলো। সন্তানের ভরণপোষণ এবং অন্যান্য কোন দায়ভার সে নিতে পারবে না। প্রেমাকূল বেঙ্গমী এতেই তুষ্ট হয়ে গর্ভধারনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। তার অরণ্যের তৃণভোজী প্রাণীদের কেউ কেউ এতে ব্যঙ্গের হাসি হেসে বক্রোক্তি করলেও মাতৃত্বের বাসনায় ব্যাকূল বেঙ্গমী এতে ভ্রুক্ষেপ করে নি। দুর্দমগতিতে এগিয়ে চলছিলো তাদের প্রণোয়োপাখ্যান।

ইতোমধ্যে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে নিজ নিজ এলাকায়। ক্ষমতার চেকনাইয়ে বিষন্ন বেঙ্গমীর না হাসি মুখ হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, বেঙ্গমাও হয়ে উঠেছে পরাক্রমশালী এবং মনমোহন। দুই অরণ্যের প্রাণীবৈচিত্রেও স্বকীয়তা প্রকাশ পেতে শুরু করল।

একপাশে নিরীহ তৃণভোজীদের দল। অন্যপাশে হিংস্র শ্বাপদেরা। তৃণভোজীরা নিজেদের নির্বুদ্ধিতার কারণে অন্য অরণ্যে অনধিকার প্রবেশের ফলে হিংস্র নখ এবং দাঁতের চিহ্ন বয়ে বেড়াতে থাকলো, কেউ কেউ সেখানেই মৃত্যুবরণ করল। আর জাঁদরেল বেঙ্গমাবাহিনী মাঝেমধ্যে তদারকির ছলে নির্বিঘ্নে অপরপ্রান্তে গিয়ে সমুদয় জৈবিক কাজকর্ম মেটাতে থাকলো। এহেন বৈপরীত্যময় আচরণে বেঙ্গমীপ্রান্তের প্রাণীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলেও ধুরন্ধর বেঙ্গমার হস্তক্ষেপে একপক্ষীয় শান্তিপূর্ণ সংলাপ অনুষ্ঠান শেষে সবকিছু আবার স্বাভাবিকভাবেই চলতে লাগলো।

বেঙ্গমীর মনে আজ অনেক সুখ। আজ সে বেঙ্গমার অনেক কাছাকাছি এসেছিলো। স্পর্শজনিত শিহরণে এখনও তার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। বেঙ্গমা একজন যথার্থ বীরপুঙ্গব বটে। সীমান্তের বেড়াজালের সে নিকুচি করে। প্রতিবাদী তৃণভোজী চতুষ্পদদের অবজ্ঞা করে সদম্ভে এগিয়ে এসে হাত ধরেছিলো বেঙ্গমীর। প্রেমাতাল বেঙ্গমী এই শুভমিলনের আয়োজন অনেক আগেই সেরে রেখেছিলো। বেঙ্গমা এবং তার নখবাহিনীকে আপ্যায়ন করতে অরণ্যের সবচেয়ে সুপেয় জলাশয়ের সুমিষ্ট মাছ উপহার দিয়েছে বোঝাই করে। এই সামান্য উপহারে সে সন্তুষ্ট হবে কী না তা নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট কুন্ঠিত ছিলো। বেঙ্গমার ক্ষুধা যে অনেক বেশি! সে তা প্রকাশও করেছে আরো কিছু উপহার দাবী করে। জলাশয়ের মৎসকূল ভোজনের জন্যে পর্যাপ্ত, কিন্তু তার অরণ্যানীর সবুজতা ক্রমশ বিলীন হয়ে আসার প্রেক্ষিতে সে পুরো জলাশয়টাই দাবী করে বসে। এত বড় উপঢৌকন দিতে বেঙ্গমীর কোন আপত্তি ছিলো না, শুধু নির্বোধ তৃণভোজীগুলো হাঙ্গামা না বাঁধালেই হয়। এরকম আবদার আসতে পারে এবং এর ফলশ্রূতিতে কী কী বিপত্তি হতে পারে তা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা থাকায় এবং সে মোতাবেক অনুগত বাহিনী প্রস্তুত ছিলো বলে ব্যাপারটা খুব সহজেই নিস্পত্তি হয়ে যায়। অনুচরেরা অরণ্যের সকল বৃক্ষের পাতায়, বাকলে, কান্ডে পানিবন্টনের উপকারিতা লিখতে থাকে।
-তুমি কি সন্তুষ্ট প্রিয়তম?
প্রেমাবেগে সুধোয় বেঙ্গমী।
-তোমাকে কাছে পেতে আমার যে আরো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে এখনও! আমি আরো চাই। বল দেবে না?
-কী চাও বল? আমি সব প্রতিবন্ধকতাকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করব।
-এইতো ভালো মেয়ে! তুমি তো জানো, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় এবং তোমার সহযোগিতায় আমাদের বনের আধুনিকায়ন হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে অনেক। সীমান্ত রক্ষাকারী শ্বাপদদের দাঁত এবং নখ আরো ক্ষুরধার হয়েছে। আমাদের প্রধান রপ্তানীযোগ্য পণ্য মাকাল ফল তোমাদের দেশে রপ্তানী করে প্রাণীকুলকে নেশাবিষ্ট করা গেছে। তারা এখন নিজ অরণ্যের উৎপাদনশীলতাকে তোয়াক্কা না করে আমাদের সরবরাহকৃত মাকাল ফল খায় তিনবেলা। সেই ফলের ছিলকা টাঙিয়ে রাখে প্রাচীরপত্রের মত করে। আমাদের এখানকার প্রধান সঙগোষ্ঠী ব্যাঙেরা সেখানে নায়কের মর্যাদা পায়।
-হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই বলেছো, এখন সবাই ব্যাঙেদের ভাষা শিখে ফেলেছে। তাদের আচার আচরণও অনুকরণ করছে সুচারূভাবে। আর তোমাদের প্রেরিত ছিন্নবাকল সবাই পরিধান করছে শৈলীর প্রকাশ হিসেবে!
গদগদ কন্ঠে বেঙ্গমী বলে।
-সবকিছুর জন্যে তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ, প্রিয়তমা! তবে আমি আরো আরো কাছে আসতে চাই।
কামজর্জরিত কন্ঠ বেঙ্গমার। তার মনমোহন রূপ দেখে বেঙ্গমীও যৌনকাতর হয়।
-কী চাও তুমি বল!
কন্ঠটা আরো মাদকতাময় করার জন্যে সে প্রায় ফিসফিসিয়ে বলে।
-শোনো ডার্লিং, তোমাদের অরণ্যে আগমন সহজ করার জন্যে আমাদের পরিবহন সুবিধা দিতে হবে। আমাদের যানবহনগুলো আগের চেয়ে ভারী হয়েছে। এখন তোমাদের সেই ছোট্ট গলিপথ দিয়ে প্রবেশ করতে বড়ই অসুবিধে হয়। জায়গাটা বাড়ানো যায় না? এতে অবশ্য তোমাদের অরণ্যের কিছু গাছপালা ধ্বংস হবে, তা সেজন্যে আমরা না হয় কিছু মাশুল দিয়ে দেবো।
-না, না কী যে বলেন! কোনরকম মাশুল দিতে হবে না। সেটা অভদ্রতা হবে।
বেঙ্গমার শেষের কথাগুলিতে অনিচ্ছার ছাপ পেয়ে তড়িঘড়ি করে বলে বেঙ্গমীর সন্তুষ্টি বিধানে নিয়োজিত একজন উপদেষ্টা। বেঙ্গমা এবং বেঙ্গমী পরস্পরের দিকে চেয়ে মধুর হাসি দেয়।

এসব কথাই ভাবছিলো সবচেয়ে বড়গাছের ডালে বসবাসকারী বেঙ্গমী। আবেগে কখনও তার চোখে জল আসছিলো, কখনও বিরহ বেদনায় সে ডাক ছেড়ে কাঁদছিলো। বেঙ্গমা যে আজো তার সাথে শুলো না! কবে তার গর্ভে ধারণ করবে তাদের সন্তান। অবশ্য সামনে শুভদিন। তাদের আরো কাছাকাছি আসার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন। এই সুখকল্পনায় মজে থেকে সে সুখনিদ্রার আশায় চোখ বোঁজে।

রাতের এই সময়টা বন বেশ সরগরম থাকে। প্রতিবাদী গরু, নির্বোধ ছাগল, বিপ্লবী ঢোড়াসাপ, সবাই মিলে বিজাতীয় ভাষায় রচিত ওপাড় থেকে আসা ব্যাঙেদের বিনোদনময় প্রদর্শনীতে মত্ত থাকে। ভাষাটা তারা বেশ ভালো রপ্ত করে নিয়েছে। নিজেদের ভাষার সাথে কিছুটা ব্যাঙভাষা যোগ না করলে নিজেদের ঠাঁট বজায় থাকে না। তারা প্রেম, বন্ধুত্ব, যৌনতা সহ পারস্পরিক সবরকম ভাব বিনিময়ের সময় ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করবেই। নিজেদের জনপ্রিয়তার সুযোগে ভিন্নারণ্যের ব্যাঙগুলো অবাধে যৌনাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বিভিন্নরকম শঙ্কর প্রজাতির উদ্ভব হচ্ছে। তবে নব শঙ্কর প্রজন্মটি ব্যাঙভাষাতে আরো বেশি দক্ষ। এটা নিয়ে বনের কিছু পশুপাখি আপত্তি তুললেও কেউ আমলে নেয় না কথাগুলো।

তবে আজ সকালের পরিবেশটা ভিন্ন। দিনকয়েক আগে অরণ্যসীমান্তে একজন নিরীহ গরুকে সীমান্তে প্রহরারত শ্বাপদের দল নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। তার জননঅঙ্গে ধুতরাফুলের বিষ মাখিয়ে দিয়েছে। এরকম ঘটনা অবশ্য আকছারই ঘটছে। সমস্যা বাঁধালো কিছু বেঈমান ব্যাঙ সঙবাজী না করে এই ঘটনা অবলম্বনে একটি মর্মান্তিক এবং হৃদয়গ্রাহী নাটক মঞ্চস্থ করায়। সারা অরণ্যে ঢি ঢি পড়ে গেলো। তৃণভোজীরা খুরে শান দিতে লাগলো, ঢোড়া সাপেরা ফণা তোলার চেষ্টা করল। এতকিছুর দরকার পড়তো না, যদি না কিছু রাগী এবং ক্ষ্যাপা ষাড়ের দল শিং উঁচিয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখতো।

রাগী ষাড়েরা রক্তবর্ণ চোখে শিং উঁচিয়েই রাখে।

তৃণভোজীরা খুর ঘষতে ঘষতে ক্লান্ত হয়ে যায়।

ঢোড়াসাপেরা বিষদাঁত এবং ফণার অভাবে চরম মর্মযাতনায় ভুগতে থাকে।

এমতাবস্থায় বেঙ্গমীর সুখনিদ্রা ভঙ্গ হয়। সে উৎকন্ঠিত হয়ে পড়ে মুহুর্মুহু শ্লোগানে,

"মাকাল ফল ক্রয় এবং বিপনন বন্ধ করো, বন্ধ করো!"
"ব্যাঙভাষার সঙচিত্র চলবে না, চলবে না"

ছিঃ! কী সব অসভ্য জানোয়ার। না জানি বেঙ্গমা কী ভাবছে! সেধে কেউ এভাবে বন্ধুত্ব বিসর্জন দিতে পারে! একটা ব্যবস্থা না নিলে চলছে না...

সন্ধ্যাবেলায় আবার জরুরী বৈঠকে বসে তারা। বেঙ্গমার মুখ থমথমে। বেঙ্গমী মরমে মরে যায় প্রায়!
-আমি খুব দুঃখিত প্রিয়তম তোমাকে অসময়ে ডাকার জন্যে। জানি খুব বিরক্ত হয়েছো, কিন্তু দেখছোইতো অবস্থা। উজবুকগুলো যা তান্ডব শুরু করেছে না!
-হু!!
-আমার বিশ্বস্ত অনুচরেরা অবশ্য প্রজ্ঞাপন চালাতে যথেষ্ট প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে। তারা প্রচার করা শুরু করেছে সীমান্ত ঘটনায় উৎকন্ঠিত হবার কিছু নেই।
-আমি সত্যিই খুব আশাহত।
-তুমি কী আমাতে উপগত হবে না? আমি যে সেই মহাক্ষণের জন্যে অপেক্ষা করে আছি!
-এটা নিয়ে এত অস্থিরতার কিছু নেই প্রিয়তমা! বয়সবৃদ্ধির সাথে সাথে আমার মাঝে যৌনতা সম্পর্কিত নতুন দার্শনিকবোধের উৎপত্তি ঘটেছে। এই যে তোমার সাথে আমার সরাসরি শারীরিক সম্পর্ক নেই, কিন্তু তাতে কী হয়েছে! আমার প্রেরিত সঙব্যাঙেরা তোমার অরণ্যের সবার ওপর উপগত হচ্ছে, বংশবিস্তার করছে। এতেই আমি প্রায় অর্গাজমসুলভ আনন্দ পাই। আমার অরণ্যের মাকাল ফলেরা ওখানে গিয়ে বৃক্ষে পরিণত হচ্ছে। এতেও আমি আনন্দ পাই।
-কিন্তু আমি যে আরো চাই!
-আচ্ছা, এই মুহূর্তে আমার পক্ষে যৌনকর্ম সম্পন্ন করার সময় নেই। তোমার জন্যে আমি বিশেষ একটি ব্যাঙের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি সে তোমাকে অন্তত আগামী দুই বছর তৃপ্তি দিবে।
বিশাল একটি গেছোব্যাঙ গছিয়ে দিয়ে কোনরকম ভালোবাসার সম্ভাষণ ব্যাতিরেকেই স্থানত্যাগ করে ব্যাঙ্গমা।

গেছোব্যাঙটি একলাফে বেঙ্গমীর বাসস্থান-অরণ্যের উচ্চতম গাছটির মগডালে বসে অপেক্ষা করতে থাকে। বেঙ্গমীর চোখ ফেটে জল আসলেও সে বিশাল গেছোব্যাঙটির কাছে যায়। অভিজ্ঞ কামপটু ব্যাঙটি কিছুক্ষণ শৃঙ্গার করে বেঙ্গমীর যৌনেন্দ্রীয়কে সিক্ত করে তোলে।

সেসময়ও উত্তাল শ্লোগান চলছিলো অরণ্যে,

"মাকাল ফল ক্রয় এবং বিপনন বন্ধ করো, বন্ধ করো!"
"ব্যাঙভাষার সঙচিত্র চলবে না, চলবে না"

কামলীলায় বাধা পড়ায় বেঙ্গমী বিরক্ত হয়। পরক্ষণেই প্রফুল্ল হয় তার নিয়োজিত অনুচরের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রকাশ পেলে।

"ধর্ষণ যখন অনিবার্য, তা উপভোগ করাই শ্রেয়"।

সব দ্বিধা ছুড়ে ফেলে বেঙ্গমী তার যোনী মেলে ধরে।
১৪৪টি মন্তব্য ১৪৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×