১।খরগোশ গেছে পতিতালয়ে।
-সিংহীকে চাই।
-সে এখন ব্যস্ত
-তাহলে বাঘিনীকে দিন।
-সেও ব্যস্ত
-ঠিক আছে,যে ফ্রী আছে,তাকেই দিন।
মুরগী জুটলো তার ভাগ্যে।তাকে নিয়ে ঘরে ঢুকলো সে।নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খরগোশের বেরুনোর কোন চিহ্ন নেই।কড়া নারা হল তার দরজায়।ভেতর থেকে অভিযোগের সুরে সে বলল,
-এমন একজনকেই দিলেন,তার কাপড় খুলতেই পেরিয়ে গেল এক ঘন্টা।
২।উটপাখির ডিম যোগাড় করে নিয়ে এসে সব মুরগীকে মটিং এ ডাকল মোরগ।সবাই এলে সে বক্তব্য শুরু করল,
-শ্রদ্ধেয় মহিলাগণ,আমি আপনাদের কাজের সমালোচনা করতে চাইনা।শুধু বলতে চাই,নিজের চোখে দেখে নিন,বিদেশের মুরগীগুলো কেমন ডিম পাড়ে।
৩।সোভিয়েত রেডিওটে ঘোষণা,
-মস্কোয় এখন সময় বেলা তিনটে,সভের্দলোভস্কে চারটা,তোমস্কে পাঁচটা,ইরকুটস্কে ছটা,লেনিনগ্রাদে এগারাটা.....
শুনতে শুনতে সখেদে মন্তব্য করলেন এক বৃদ্ধ,
-যে দেশে এত অব্যবস্থা,এত অরাজকতা,সে দেশের উন্নতি হবে কি করে?
৪।-হ্যালো,এটা কেজিবি?
-না কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আবার ফোন।
-হ্যালো,এটা কেজিবি?
-আপনি কি ঠসা নাকি মিঞা?কবার বলতে হবে যে কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে?
-আহা,অতো চটছেন কেন?আমার হয়তবা খুব ভাল লাগছে কথাটা শুনতে!
৫।জাতীয় উৎসবের শোভাযাত্রায় ব্যানার নিয়ে বেড়িয়েছে রাবিনোভিচ(জনৈক সোভিয়েত)।তাতে লেখা,আনন্দময় শৈশবের জন্যে কমরেড স্তালিনকে ধন্যবাদ।তা দেখে এক নেতা জ্বলে উঠলেন তেলে-বেগুনে:
-আপনি কি ফাজলামো করছেন?আপনি যখন শিশু ছিলেন তখন স্তালিনের জন্মই হয়নি।
-সে জন্যেইতো ধন্যবাদ দিচ্ছি।
৬।কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য গ্রহণের ইন্টারভিউ।
-তোমার মাতা কে?
-সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-তোমার পিতা কে?
-সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-তোমার স্বপ্ন কি?
-অচিরেই এতিম হয়ে যাওয়া।
৭।দুজন কয়েদির কথোপকথন।
-আপনাকে ক"বছরের জেল দিয়েছে?
-কুড়ি বছরের।
-কেন?
-এমনি।কোন কারন ছাড়াই।
-মিথ্যে কথা।কারণ ছাড়া হয় দশ বছরের জেল।
৮।হুবহু স্তালিনের মতো দেখতে এক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
-ওকে গুলি করে মারো-স্তালিনের নির্দেশ।
-নাকি গোঁফ ছেটে দেবো?
-হ্যাঁ,সেটাও করতে পারো।
৯।স্ত্রীর সাথে ট্রামে করে যাচ্ছে রাবিনোভিচ।হঠাৎ গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলল সে।
সবাই ঘুরে তাকাল তার দিকে।ভীত স্ত্রী বললো তাকে কানে কানে:
-কতোবার বলেছি তোমাকে,লোকজনের সামনে রাজনীতি বিষয়ে টুঁ শব্দটি করবেনা!
১০।বেশ জোরেসোরেই বলল রাবিনোভিচ,
-শালার অভিশপ্ত জীবন!
কেজিবির লোক এসে ধরল তাকে,
-আমার সাথে যেতে হবে আপনাকে।
-আমি তো খারাপ কিছু বলিনি।বলছিলাম পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশগুলোর কথা।
-চাপাবাজী রাখুন।অভিশপ্ত জীবন কোথায়,তা ভাল করেই জানি আমরা।চলুন আমার সাথে।
১১।আফ্রিকান এবং সোভিয়েত দুই বালকের পত্রমিতালী।আফ্রিকান বালক লিখল,
"আমি পড়ি ক্লাস থ্রীতে।এখানে খুব গরম,তাই খাকি গায়ে চলাফেরা করি।আমরা খাই কলা,আনারস,কমলা।তোমাকে দুটো ডাকটিকেট পাঠাচ্ছি।"
সোভিয়েত বালক জবাবে লিখল,
"ডাকটিকেটের জন্যে ধন্যবাদ।আমাদের এখানে খুব ঠান্ডা,তাই গরম কাপড় পড়তে হয়।বাবা বলেছে আমরা যদি কলা,আনারস, আর কমলা খেতে শুরু করি,তাহলে আমাদেরও খালি গায়ে ঘুরতে হবে।"
১২।ঘরে ফিরে এসে বউকে পরপুরুষের সাথে শুয়ে থাকতে দেখলে কোন দেশের পুরুষের কি প্রতিক্রিয়া হয়-
ইংরেজ:
-লেডী,অবিলম্বে আমার বাসা ত্যাগ করো।
ফরাসী:
-অসময়ে এসে তোমাদের বিরক্ত করলাম।দুঃখিত মঁসিয়ে।
রুশ:
-হারামজাদী!ঐ মোড়ের দোকানে মাখন বিক্রী হচ্ছে,আর তুই এখানে শুয়ে মজা মারছিস?!
১৩।মিনি স্কার্ট কি?
-ছোট স্কার্ট।
-মিনি কম্পিউটার কি?
-ছোট কম্পিউটার।
-সবচেয়ে বড় বিশৃঙ্খলার নাম টাহলে মিনিস্ট্রি কেন?
১৪।ছেলে বাবাকে প্রশ্ন করছে,
-বাবা,মোরগ ডাকে কেন?
-কেউ মিথ্যা কথা বললেই মোরগ ডেকে ওঠে।
-কিন্তু ভোর চারটেয়,সবাই যখন ঘুমে,তখন মোর কেন ডাকে?
-ঐ সময় সংবাদপত্র ছাপা হয়,তাই।
১৫।মোরগ আর হাঁসকে জেলে ঢোকানো হয়েছে।হাঁস জিগ্গেস করলো মোরগকে,
-আমাদের পালক ছেঁটে দেবে নাকি?
-জানিনা,ঐ ইঁদুরটাকে জিগ্গেস করে দেখ।
-আচ্ছা,ইঁদুর ভায়া,আমাদের পালক কি ছেঁটে দেবে?
-আমি ইঁদুর নই,শজারু।
সবশেষে...........আমার ফেভারিটটা,
১৬।শিল্পীর আঁকা ছবি,পোল্যান্ডে লেনিন।ছবিতে দেখা যাচ্ছে শুধু দু'জোড়া পা।এক দর্শকের প্রশ্ন,
-পাগুলো কার?
-লেনিনের স্ত্রী নাদিয়া ক্রুপ্স্কায়া,এবং লেনিনের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ফেলিক্স দ্জেরঝিনস্কি'র।
-কিন্তু ছবির নাম তো পোল্যান্ডে লেনিন,লেনিন কোথায়?
-লেনিন তো পোল্যান্ডে।
#সবগুলো কৌতুক মাসুদ মাহমুদের সোভিয়েত্স্কি কৌতুকভ বইটি থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩