আজ একটা ইফতার মাহফিলে দাওয়াত ছিল। সেখানে ইফতারির পূর্বে বেশকিছু সময় রোজার তাৎপর্য নিয়ে আলেম ওলামাগণ বক্তব্য পেশ করেন। প্রায় সবাই রোজার মর্যাদার প্রধান কারণ হিসেবে পবিত্র কুরআন নাযিল হওয়াকে বর্ণনা করেন।
তারা বলেন, যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে সে মাস সম্মানীত হয়েছে। যার মাধ্যমে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তিনি (জীবরাইল আ.) সম্মানীত হয়েছেন। যে পাহাড়ের গুহায় প্রথম কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে পাহাড় সম্মানীত হয়েছে। যে রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম ঘোষিত হয়েছে। যে নবীর উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে নবী সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েছেন। যে উম্মতকে উদ্দেশ্য করে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে উম্মত শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
আর এতসব শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মানের মূল কারণ যেহেতু কুরআন তাই আমরা যদি আমাদের নিজেদেরকে, আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করতে পারি তবে আমরাও সম্মানিত হব। কুরআনের আলোয় আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে আরবের বর্বর সমাজ দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজে রূপান্তরিত হয়েছিল। অশান্তির দাবানল নিভে শান্তির শীতলতায় আচ্ছাদিত হয়েছিল। আজও আমরা অশান্তির দাবানলে পুড়ছি। আসুন আমরা কুরআন পড়ি। কুরআন বুঝি এবং আল কুরআনের সমাজ গড়ি।
তারা আরও বলেন, রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পারে। আর খোদাভীতিই হল সকল সৎকর্মের মূল।
অন্য এক বক্তা রোজার প্রকারভদে তুলে ধরেন। তার মতে রোজা তিন প্রকার। প্রথম প্রকার হল সুবেহ সাদিক হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনতা বর্জন। এ প্রকারের রোজা অনেক প্রাণীই রাখে। যেসব প্রাণী নিশাচর তারা সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায়। দ্বিতীয় প্রকার রোজা হল পানাহার বর্জনের পাশাপাশি সকল প্রকার অন্যায়, অশ্লীল কাজও বর্জন করা। মিথ্যাচার, কলহ, ঝগড়া-ফ্যাসাদমুক্ত থাকা। আর তৃতীয় প্রকার রোজা হল পানাহার, যৌনতা, অন্যায়, অশ্লীল কথা ও কাজ, মিথ্যাচার বর্জনের পাশাপাশি মনকেও সকল প্রকার খারাপ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা।
আমরা একটু ভেবে দেখি আমাদের রোজা কোন প্রকারের মধ্যে পড়ে। আল্লাহ আমাদের রোজাগুলো কবুল করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৮