বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ভার্চুয়ালি অনেক প্রতিবাদ, ঘৃনা প্রদর্শিত হয়েছে। হয়েছে অনেক ব্লগ লেখা, ফেসবুক গ্রুপ খোলা। কিন্তু কেউই সময় ও স্থান নির্ধারন করে ভার্চুয়াল বলয়ের বাইরে কোন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। অবশেষে প্রজন্ম বাংলাদেশের ব্যানারে গত ১৬.০১.১১ তারিখে বিকাল ৪.০০ টায় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হল। তবে এই কার্যক্রমের সূচনা হযেছিল আরো এক সপ্তাহ আগে আমি, চে গুয়েভারা ২, সরল মানব, সাইফহিমুবেষ্ট ও ইমতু আমরা ক'জন প্রেস ক্লাবের সামনে মিলিত হই কিছু একটা করার প্রত্যয় নিয়ে। কেউ কাউকে আগে কখনো দেখিনি অথচ সবাইকে মনে হল যুগ যুগ ধরে চেনা আত্নার আত্নীয়। একটা সফল আন্দোলন গড়ে তোলার মত অভিজ্ঞতা কারোই নেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাওয়ার স্বীদ্ধান্ত নেই। পরদিন আবারো সবাই একত্রিত হই বিভিন্ন জায়গায় সারাদিন ঘোরাঘোরি করেও কারা ইতিবাচক সাড়া পাইনি। এর মধ্যে আমাদের সিনিয়র ভাই এবং ব্লগার
শিপু ভাই - এর সাথে যোগাযোগ হয়। পরদিন তার অফিসে আমরা পাঁচজন গিয়ে শিপু ভাইয়ের সাথে দেখা করি। সাথে আরো ছিলেন ব্লগার
মিরাজ is। সেখানেই চূড়ান্ত স্বীদ্ধান্ত হয় মানববন্ধনের ব্যাপারে। এরই মধ্যে আমাদের মাঝে এগিয়ে আসেন সিনিয়র ব্লগার
সবাকদা। তিনি নিজে ব্যানার ডিজাইন ও তৈরি করেন।
ব্যানার এর ছবি
প্রজন্ম বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে আরেকটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিন
বাবু আহমেদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আমাদের সাথে অংশগ্রহন করতে রাজি হন। মানববন্ধন সম্পন্ন করতে তার এবং তার সঙ্গীদের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। অবশেষে নির্ধারিত দিনে আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হই। বাইরের অনেক নাম না জানা বন্ধুগন আমাদের সাথে অংশগ্রহন করলেও ব্লগার উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক। উপরে উল্লিখিত ব্লগারগন বাদে একমাত্র
রাজসোহান আমাদের সাথে যোগ দেয়। অত:পর এই কয়জন মিলেই আমরা মানববন্ধনে দাড়াই।
মানববন্ধনের ছবি।
তবে মানববন্ধনেই আমাদের কাজ শেষ হয়নি। আরো অনেক কাজ করার আছে। প্রজন্ম বাংলাদেশের জন্ম শুধু এই একটি মাত্র কাজের জন্যই নয়। আমরা প্রতিটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে চাই। কিন্তু সেজন্য আপনাদের সহযোগীতা অবশ্যই প্রয়োজন। আপনিও চাইলে অংশগ্রহন করতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫০