somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“আই উইল মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান্স।”

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই কথাটা এমন একজন মানুষের, যিনি দেশটার হাল ধরেছিলেন এমন একটা সময়ে, যখন কিনা দেশটা ‘বাকশাল’ নামে এক জংলী শাসনব্যবস্থার কবলে পরেছিলো। এই মানুষটিই সব দলের রাজনীতি করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

"আধুূনিক বাংলাদেশের রুপকার" শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি, ১৯৩৬ – ৩০ মে, ১৯৮১) বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান এবং একজন প্রথমসারির বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই হবে রাজনীতির মূল ভিত্তি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনই হবে রাজনীতির মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে। যারা জিয়াকে নিয়ে গর্ব করতে চান না তারা একবার নিচে চোখ বুলানঃ

১। প্রেসিডেন্ট জিয়াই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকার ১ম বুড়িগঙ্গা সেতুর।

২। তিনি ঢাকাকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে তৈরি করেন ডি এন বি বাঁধ।

৩। বাংলাদেশ টেলিভিশনকে করা হয় রঙ্গিন।

৪। জিয়া চালু করেন লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ।

৫। তিনি ঢাকা পৌরসভাকে রূপান্তরিত করেন ঢাকা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে।

৬। সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লেক্ষ্য স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারী সহায়তায়র সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনর্খনন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশকে খাদ্য রপ্তআনীর পর্যায়ে উন্নীতকরণ।

৭। তিনি মিরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ।

৮। জিয়া মনে করতেন যুব শক্তিই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, আর তাই প্রতিষ্ঠা করলেন যুব মন্ত্রণালয়।

৯। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা এবং নারীকে এগিয়ে নেবার জন্য তৈরি করেন মহিলা মন্ত্রণালয়।

১০। স্বাধীনতার ৮ বছর পর ১৯৭৯ সালে জিয়া ICDDRB কে জাতীয় সংসদের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

১১। খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে জিয়া স্টেডিয়ামের বাড়ান আসন সংখ্যা, লাগিয়ে দেন ফ্লাটলাইট, শুরু হয় এশিয় যুব ফুটবল। খেলোয়াড়দের দেয়া হয় জাতিয় পুরস্কার ।

১২। জিয়া তৈরি করেন টেনিস কমপ্লেক্স।

১৩। কিংবদন্তি মুষ্ঠিযুদ্ধা মোহাম্মাদ আলিকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে সন্মানিত করা হয় তার আমলেই।

১৪। প্রচলন করেন বাংলা নববর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠান।

১৫। চালু করেন জাতিয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ। গুণীজনদের দেয়া হয় একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক ।

১৬। গড়ে তুলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

১৭। জিয়াই শিশুদের সাংস্ক্রিতিমনা করতে বানিয়ে দেন "শিশু একাডেমী"।

১৮। খেলাধুলার আর বিনোদনের জন্য তৈরি করেন "ঢাকা শিশু পার্ক"।

১৯। টেলিভিশনে চালু করেন “নতুন কুড়ি” অনুষ্ঠান, শিশুদের নিয়ে যান সংসদ ভবনে সরাসরি অধিবেশন দেখানোর জন্য।

২০। দেয়া হয় জাতীয় শিশু পুরস্কার।

২১। গড়ে তুলেন হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, তৈরি করেন জিয়া সার কারখানা।

২২। তার দূরদর্শিতায় তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের “সোনার গাঁ ” হোটেল।

২৩। জিয়াই তৈরি করেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ “জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর”।

২৪। গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লক্ষ মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান।

২৫। গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান ও গ্রামোন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) গঠন।

২৬। গ্রামাঞ্চলে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি বন্ধ করা; হাজার হাজার মাইল রাস্তা-ঘাট নির্মাণ।

২৭। ২৭,৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ।

২৮। নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপনের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত দূরীকরণ, কলকারখানায় তিন শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি।

২৯। ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ।

৩০। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃইষ্ট করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন।

৩১। তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লেক্ষ্য গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।

৩২। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ।

এছাড়া, এমন অনেক আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে যা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমানই করে গেছেন আমাদের এই দেশটিকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে।

এই মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কতিপয় বিপথগামী সামরিক অফিসারের হাতে শহীদ হন বাঙালী জাতীয়তাবাদের প্রাণপুরুষ, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর সম্মানে আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।

জিয়া তোমায় হাজার সালাম।
শহীদ জিয়া আমর হোক।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

কার্টেসি: নাজমুল হোসাইন সানি
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×