৭১ নামের চ্যানেলটি না পাওয়ার বেদনা নিয়েই চলে গেলেন প্রবীণ ও প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মুসা।
বাংলাদেশের অপসাংবাদিকতার মধ্যে যে অল্প কয়েকজন সাংবাদিক সর্বজনস্বীকৃত ছিলেন তাদের মধ্যে এবিএম মুসা প্রধান।১৯৩১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীতে জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তির জীবন ছিল বৈচিত্র্যময়।
পাকিস্তান আন্দোলন করে ভারত থেকে বেরিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করে তিনি দৈনিক ইনসাফে সর্বপ্রথম প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন।এরপর তিনি পাকিস্তান অবজারভার,মর্নিং নিউজ এবং সর্বশেষ দৈনিক সংবাদে কাজ করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের কঠিন সময়গুলোয় জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গন থেকে বিবিসি ও সানডে টাইমস এর সংবাদদাতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন।
১৯৭১ পরবর্তী সময়ে তিনি একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।কঠিন সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে চলা এই ব্যক্তি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন।তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এবিএম মুসা জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও কয়েকবারের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।তিনি পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করেন ।
'মুজিব ভাই 'নামের একটি গ্রন্থও তিনি রচনা করেন ।
স্পষ্টভাষী এবিএম মুসা দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ছিলেন।শেষ জীবনে এসে ৭১ নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেল চালু করতে চেয়েও পারেননি । কি জানি তার আত্মা আমাদের ক্ষমা করবে কি না ।
৯ এপ্রিল ২০১৪ তে মৃত্যুবরণকারী এবিএম মুসার আত্মার কল্যাণ কামনা করছি ।