আজেকের উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচনে না যাওয়াটা ছিল একটি সময়োপযোগী যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ! ধন্যবাদ দেশনেত্রী আপনাকে।
প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনে ভরাডুবির পর নিজ আসনের উপ নির্বাচনেও নৌকা ডুবে গেছে, যাহা দেখিয়া হাসিনা গংদের মাথাই খারাপ হয়ে গেছে, আর আজকের সারা দিনের কার্যকলাপ তাহারই প্রমান।
সারা দেশের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী যে হারে কারচুপি, জাল ভোট, গুলি, কেন্দ্র দখল, গ্রেফতার ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আম্লিগের ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলায় আহত হয়েছে তা প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনের প্রায় ১০ গুন !
এ পর্যন্ত সারা দেশের প্রায় ২৪৮ টি কেন্দ্রের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, ৮ টি উপজেলায় বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছে, ওই সব এলাকা সহ আরও কয়েকটি এলাকায় হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে এক ভাই নিহত হয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় আরও ৪ জন গুলিবিদ্ধ। যশোরের শার্শা উপজেলার ছাত্রদল নেতা সেলিম হোসেন ও তার ভাইকে কুপিয়েছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা! মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদককে কুপিয়েছে আওয়ামী ক্যাডাররা !
আর প্রশাসনের অনিয়ম দালালি তো রয়েছেই !
সামগ্রিক অবস্থা দেখে, বিএনপি যদি টোটাল ফলাফলে হেরে যায় আমি অবাক হব না, কারন জেতার জন্য প্রহসনমূলক যা যা করা দরকার আম্লিগ তাই তাই করেছে !
আর এরপরেও যদি আম্লিগ বেশি সংখ্যক উপজেলায় জিততে না পারে তাহলে সাধু সাবধান ! আম্লিগের রাজনীতি শেষ !!(যদিও আম্লিগের রাজনীতি আর কি থাকতে পারে আমার মাথায় ঢুকে না) এই দেশে ওদের অবস্থান কই যাবে আল্লাহই জানেন।
তারপরেও চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায় রইলাম !
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০