সামনে ঈদ। মাত্র ১৭ দিন বাকি। সারা বছরের ৬০ ভাগ কাপড় কেনা বেচা হয় মাত্র ১ মাসে। আর সে সময়টাকে টার্গেট করে আগুন লাগানো হল।
কেন বলছি লাগানো হল? যুগান্তরের আজকের প্রত্রিকাতে চোখ রাখুন বুঝতে পারবেন। এত ব্যাপক আগুন লাগাতে একটি শর্ট সার্কিট দিয়ে সম্ভব না। আমি বলছিনা, বলেছেন, একজন অভীঙ্গ ইলেকট্রশিয়ান। আমারও দৃঢ় বিশ্বাস সেটাই ঠিক।
প্রায় ৫০০০ দোকান পুড়েছে। মানে প্রায় ১০,০০০ হাজার ব্যবসায়ী বা টাকা লগ্নিকারী পথে বসেছে। কারও দোকান, কারও শেয়ার, কারও বাকিতে কেনা, কারও অগ্রিম বিনিয়োগ... মাত্র ৬ ঘন্টায় শেষ। চোখের সামনে পুড়ে শেষ। কত শত পরিবার সর্বশান্ত হল ভাবুন একবার। সারা দেশেই ঈদ মার্কেটে এর প্রভাব পড়বে।
ফায়ার সার্ভিস আসলো ২০-৩০ মিনিট দেরিতে যদিও রাস্তা ৫ মিনিটের। শুরুতে ধীর গতি, তারওপর গ্যাস প্রয়োগ করল পানির পরিবর্তে। পানি যদিবা দিতে শুরু করল ১-২ ঘন্টা পরে, শুরুতে ফ্লো ছিল কম। অবস্থা দেখে যা মনে হয়েছে, সবই পরিকল্পিত, উপরের ইশারায় ঘটেছে। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের পেছনে লাগা শুরু হয়েছে।
কত কি আমরা হারালাম। যখন পাটকল বন্ধ হলো এদেশে, ভারতে তখন নতুন ৫টি চালু হল। চামড়া শিল্প ধ্বংস হল, লাভের মুখ দেখল ভারত। প্রায় সোয়া ২ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠায় ভারতে। যা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার প্রতি মাসে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে কত?
আমি সহ আমার অনেক বন্ধু বিভিন্ন মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছি বিভিন্ন দেশে। যদি ভারতীয়রা ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকে, তাহলে আমাদের কেউই ভাল পারফর্মেন্স করেও কখনও জব পাইনি। ব্যাপারটা এখন ওপেন সিক্রেট। ভারতীয়রা থাকলে বাংলাদেশীরা চাকরী পায় না বা পাওয়াটা কষ্টকর।
আপনারা যারা এখনও ইদ মার্কেট করেননি, তারা ভারতীয় পন্য ক্রয় থেকে বিরত থাকুন। উচ্চ বিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত যারা ভারতে যান, শপিং করতে অথবা অনলাইন শপিং করেন, এবার অন্তত বিরত থাকুন। ভারতকে আর কত দিবেন? হাসিনা তো দিচ্ছেই।
আমরা যখন ইলিশ পাইনা বাজারে, কলকতায় তখন ৭০০ টাকায় বড় বড় ইলিশে জামাই সষ্ঠি হয়। জি-বাংলা ইলিশের রেসিপি শেখায়। যখন ইলিশ আহরন বন্ধ থাকে, ভারতীয় রা বাংলাদেশে সীমানায় ঢুকে বড় বড় ডিম পাড়া উপযোগী ইলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমরা আম খেতে পাইনা, আর উপহারের হাড়ি ভাঙ্গা আম ভারতে গিয়ে পঁচে। কেন রে ভাই?
আপনি হয়ত জানেন না, এবার ভারত বাংলাদেশি টাকা এক্সচেন্জ বন্ধ করে দিয়েছে। রুগীরা আছে চরম বিপদে... বাংলাদেশিদের মূল্যায়ন নাই, টাকারও ভ্যালু নাই। আহ কি চমৎকার অর্জন হাসিনার...
বঙ্গবাজারে যারা পথে বসল, আগামী ১০ বছরেও তারা আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। আপনি যদি ভারতীয় শাড়ি কাপড় বা পন্য কেনেন, দেশের সার্বিক ক্ষতির জন্যে আপনিও দায়ী...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১২