দক্ষিণ-পূর্ব আস্ট্রেলিয়ার সমূদ্রের কোল ঘেষে ১৫১ মাইল রাস্তা। সত্যিকার অর্থেই অপূর্ব সুন্দর জায়গা। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ থেকে জীবিত ফেরা সৈন্যদের দ্বারা মৃত সৈন্যদের স্মরণে এই রাস্তা তৈরী করা হয়।
২. ফুজির তুজ রোড, জাপান:
জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত শ্রীঙ্ঘে এই রাস্তা। খুবই আঁকাবাকাঁ আর ভয়ঙ্কর টার্নিং। সব মিলিয়ে নাকি খুবই থ্রিলিং তৈরী করে। তরুনরা এখানে ড্রাইভিং পারফমেন্স দেখায়।
৩. রুট ৬৬, সিকাগো টু সান্তা মনিকা:
প্রতি বছর হাজার হাজার বাইকাররা এই রোডে এ্যাডভেন্চার রাইডিং এ বের হয়। বলা হয়, এটা আমেরিকার সবচেয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত রাস্তা।
৪. ট্রান্সফারাসান হাইওয়ে, রোমানিয়া:
এটা হল রোমানিয়ার ২য় বৃহত্তম ঢালাই রাস্তা। শুরুতে এটি মিলিটারী রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত।আর এখন বাইকারদের জন্যে স্বর্গরোড, যেখানে অসংখ্য ব্রীজ, কালভার্ট, ট্যানেল আর ইউ সেপ হেয়ার ব্যান্ডের মত টার্নিং আছে। ছবি দেখলেই বুঝবেন।
৫. কারাকোরাম হাইওয়ে, চীন থেকে পাকিস্তান:
মধ্য এশিয়ার বুক চিরে প্রায় ৮০০ মাইল লম্বা এই রাস্তা কারাকোরাম পর্বতে গিয়ে শেষ হয়েছে, যা কিনা পৃথিবীর সর্বোচ্চ (৪৬৯৩মিটার) প্যাভেড রোড। এই রাস্তাটি আবার ফ্রেন্ডশিপ হাইওয়ে নামেও পরিচিত।
৬. দি এ্যামালফি কোস্ট, ইটালি:
এটি দক্ষিনাঞ্চলের একটি রোড। অপূর্ব সৌন্দের্যে ঠাসা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভরা এই রাস্তা এবং এর আশপাশের লোকালয়।
৭. সানি পাস, দক্ষিন আফ্রিকা:
দেখেই আমার বাইক চালানোর সাধ মিটে গেছে। কোটি টাকা দিলেও যাব না। মাত্র সাড়ে পাঁচ কিমি রাস্তা । অথচ ভুরভুরে পাথুরে মাটি আর সরু ও ভয়ঙ্কর বাঁক নেয়া রাস্তার জন্যেই এটি বিখ্যাত, এক্সপার্ট রাইডারদের কাছে।
৮. দি কোল ডি টুরিনি, মনতে কারলো:
মাত্র ১৭০৬মিটার লম্বা এই রাস্তাটি শুধু তার অদ্ভূত ডিজাইনের জন্যে বিখ্যাত।
৯. ফ্রেন্চ রিভাইরা:
বিশ্বের সব নামিদামি গাড়ি চলে ফ্রান্সের এই রাস্তায়। সমুদ্র তীর আর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্যে এর কোন তুলনা হয়না।
১০. প্যাসিফিক কোস্ট হাইওয়ে, ক্যালিফোর্নিয়া:
ক্যালিফোর্নিয়াতে যাবার এটা ১ নম্বর রুট। এই রাস্তায় সবাই এত ভাললাগা নিয়ে চালায় যে, কেউ ভুলতে পারে না।
১১. রুটা ৪০, আর্জেন্টিনা:
এই রোডটা হল আর্জেন্টিনার সবচেয়ে লম্বা রাস্তা। বেশি না, মাত্র ৩১০০মাইল। এই রাস্তা শেষ করতে হলে ২০টা ন্যাশনাল পার্ক, ১৮ টা বড়সড় নদী আর অসংখ্য চড়াই উৎরাই পার হতে হবে।
১২. সাভাননাহ ওয়ে, অস্ট্রেলিয়া:
মাত্র ২১০০ মাইল দীর্ঘ। কিলোমিটারের হিসেব কিন্তু দেইনি। যাই হোক সুস্থ্য মাজা/কোমর নিয়ে ফেরার চিন্তা না করাই ভাল, যদি আপনি যান।
১৩. টোরোললসটিজেন, নরওয়ে:
ফিতাকৃমির মত এই রাস্তার শেষ মাথায় যেতে হলে ৮৫০মাইল পেরুতে হবে। তবে অবশ্যই শরতে। কারন শীতে প্রচুর স্নো পড়ে।তখন রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভাই, অনেক রাস্তা দেখালাম, সবই দেশের বাইরে। এইবার দেশের একটা রাস্তা দেখেন। ভাবছি, সামনে ঘোর বর্ষায় বান্দরবানের এই রাস্তায় যাব।
ভাল থাকবেন সবাই।
(বিদ্র: কিছু তথ্য ও ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮