আমি বহুদিন ধরেই বলে আসছি, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের আন্দোলন যাতে 'বেঠিক' ফলাফাল পয়দা না করে, সে জন্যেই আমাদের আওয়ামী লীগ জামাতের সাথে আঁতাত করে বিচার প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এবং এই ঝুলানোর প্রক্রিয়া গত চার দশক ধরেই চলে আসছে। জামাত কখনো মেজর বিশ্বাসঘাতক জিয়া, কখনো লুইচ্চা এরশাদ, কখনো মাতাল খালেদা জিয়া, এবং সর্বশেষে উগ্র ধর্মান্ধ শেখ হাসিনা, এদের ম্যানেজ করে, পয়সা এবং বিবিধ লোভ এবং ভীতি প্রদর্শন করে একাত্তরে সংঘটিত বিশ্বের প্রথম 'ইসলামিস্ট জেনোসাইড' পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে কাজ করে গেছে।
আজকেও দেখা যাচ্ছে যখনি দেশের জনগন, দেশের ইতিহাসের সন্মান রক্ষার্থে এবং ত্রিশ লাখ শহীদ, শত হাজার নির্যাতিত নারীর ওপর হয়ে যাওয়া অপরাধের বিচার চাইছে, তখন ক্ষমতাসীন এই আওয়ামী সরকারই যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে দখলে নিতে, এবং জামাত-বান্ধব ফলাফল 'উৎপাদন' করতে নানা পদের ছলাকলা এবং সংঘাতে আশ্রয় নিয়েছে।
জনগন যদি অ-আওয়ামী লীগ হয়, তবে তাদের দাবি যেন এই বাংলায় কোন দাবিই না... কি হাস্যকর!
মনে রাখতে হবে, যুদ্ধ শুরুর আগের দিন পর্যন্তও বর্তমানের আওয়ামী মুসলিম লীগ চেয়েছিলো স্বায়ত্বশাসন, এখনো হয়তো মনে মনে চায় পাকিস্তানের সাথে আবার নতুন করে নিবিড় সম্পর্ক আরো নিবিড় হৌক।
এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতার দশ বছরে একটা রাজাকারের ফাঁসি দিতে পারে নাই, বিচারের যে রায় গুলি হয়েছে সেগুলিও বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপন করছে নির্লজ্জের মতো।
বিচারপতি নাসিমকে গোয়েন্দা লাগিয়ে সরকারী সুরক্ষার ভেতর থেকেই সরিয়ে দিয়েছে, কারন তার নেতৃত্বে বিচারের কাজ তরতরিয়ে এগুচ্ছিলো। জামাতের ভেতরে আশঙ্কা দুলে উঠেছিলো।
তাই আওয়ামী লীগের ভেতরের জামাত বান্ধব অংশটি এগিয়ে এলো.. বিচারপতি নাসিম পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন, আস্তিক নাস্তিক মিথ্যেবাজি খাড়া করলো আমারপোঁদপাকিস্তান নামক গু-পত্রিকাটি। আওয়ামী লীগের অদৃশ্য অঙুলি হেলনে মাহমুদ নামক বর্জ্য পদার্থটি মাসের পর মাস দাঙ্গা বাধিয়ে দেশের বারোটা বাজালো। এর কোন বিচার হলো না। উল্টো দেশ বরং সউদি হবার পথে দ্রুত হাঁটলো।
আজকে জনগন জখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আবার চাইছে, তখন আওয়ামী মুসলিম ব্লগার সহিংস উগ্র বাহিনী হামলা করেছে, বিচার প্রার্থী সেই জনগনের ওপরেই।
এর পরেও কি আওয়ামী মুসলিম লীগকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলবো?