somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই ধর্মপরজীবীদের হাতে আমাদের শিশুরা নির্যাতিত হয়

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের গরীব পিতামাতাকে রাষ্ট্র সেই নিরাপত্তা দিতে পারছেনা, যেখানে সন্তান বড় করবার জন্য পিতামাতাকে কারো দারস্থ হতে হয়। অর্থাভাবে গরীব পিতামাতা শিশুদের দান করেন, ভাবেন তিনবেলা খাবার জুটবে, সন্তানটা বেঁচে থাকবে, হয়তো 'হাফেজ' হবে, ফলে পরকালও ফকফকা!

কিন্তু বাস্তব কি তাই বলে?

এই মাদ্রাসা নামক টর্চার সেল গুলিতে শিশুদের যৌন নির্যাতন করা হয়, হাত পা শেকলে বেঁধে ফেলে রাখা হয় শাস্তির নামে, সর্বোপরি 'ইসলামী শিক্ষা'র নামে তাদের মগজে প্রবিষ্ট করানো হয় সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের সউদি বিষ।

বারংবার আমরা দেখছি মাদ্রাসা শিক্ষক নামের মধ্যযুগীয় এই কুলাঙ্গারের পাল বাংলাদেশ ধ্বংস করতে তৎপর। এদের সহোদর শয়তান মোল্লাগন মসজিদে জমায়েত নাগরিকদের কানে বিষ ঢালে দেশ ও সংস্কৃতির বিরূদ্ধে, সউদি অর্থের বিনিময়ে ঢাকার রাজপথ টুপিতে সয়লাব করে, আগুন দেয় গরীব ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী'র সঞ্চয়ে।

এই ধর্মপরজীবীদের হাতে আমাদের শিশুরা নির্যাতিত হয়, ইভটিজিং নামক সামাজিক ব্যাধির উৎসও পরোক্ষভাবে এরাই। নিজেরা শিশু ধর্ষন করে, ধর্মান্তর করে তারপরে নাবালিকাদের মাসের পর মাস আটকে রেখ ধর্ষনের যে অনৈতিকতা, এর মূলেও সউদি বিষ ইসলামের বেনিয়া এসব মোল্লা/হুজুর/মাশায়েখের পাল।

আমাদের সেই দেশ কবে হবে, যখন পিতামাতা আইনতঃ বাধ্য থাকবেন তাদের শিশুকে স্কুলে পাঠাতে (মাদ্রাসায় নয়)। স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ থাকবে, যথেষ্ট পরিমান স্কুলও থাকবে।

আমাদের ধর্মান্ধ প্রধানমন্ত্রী তার ভুল পথ থেকে সরে আসবেন, মাদ্রাসা কুশিক্ষা ব্যবস্থাকে আর অর্থ সরবরাহ করবেন না, মাদ্রাসাগুলিকে ধীরে ধীরে স্কুলে পরিনত করবেন।

ইসলামী যে অক্টোপাস আমাদের আকঁড়ে ধরে রেখেছে আষ্টেপৃষ্ঠে, তার কবল থেকে মুক্ত হতেই হবে আমাদের।

সোনার বাংলা স্বাধীন করেছিলো আমাদের পুর্বপুরুষেরা, নিশ্চয়ই সেটা সউদি মরুভূমি হবার জন্য নয়?

যতোই আওয়ামী মুসলিম লীগ দাবি করুক না কেন, এই বাংলাদেশ জনগনের, সকলের।

সউদি এবং জামাতের সাথে আঁতাত করবার পারমিশন শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়নি, বরঞ্চ ম্যান্ডেট ছিলো উল্টোটা।

যৌন নির্যাতনের পর ছাত্রকে হত্যা করলো মাদ্রাসা শিক্ষক


২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওগো ভিনগেরামের নারী, তোরে সোনাল ফুলের বাজু দেবো চুড়ি বেলোয়ারি......

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৯


সেই ছোটবেলায় আমার বাড়ির কাছেই একটা বুনো ঝোপঝাড়ে ঠাসা জায়গা ছিলো। একটি দুটি পুরনো কবর থাকায় জঙ্গলে ছাওয়া এলাকাটায় দিনে দুপুরে যেতেই গা ছমছম করতো। সেখানে বাস করতো এলাকার শেষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব বাটপারের খপ্পরে বাংলাদেশ ‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৯



একমাত্র ব্যক্তি শেখ হাসিনা সঠিক ভাবে চিনেছেন এই বাটপার’কে। তার নিজের জবানবন্দিতে আছে । তিনি কিশোর বয়সে কিভাবে অন‍্যের পুরস্কার চতুরতার সাথে আত্মসাৎ করেছেন ‼️ তার নাটকের নতুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহাম্মদ ইউনূসকে একঘরে করে দিন

লিখেছেন sabbir2cool, ২৪ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭


জুলাই ষড়যন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। গত বছরের জুলাইয়ের মেটিকুলাস ডিজাইনড প্ল্যানে দেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটার অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে। দখলদার ইউনূস সরকার প্রবল চাপে পড়েছে। এখন তাদের সব কূল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না : ড. ইউনূসের মনে কেন এমন আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯


দৈনিক সমকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বরাতে আমরা জানতে পারি —প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই—নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এক গভীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার নাই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৪ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

একটা পোস্ট দেখে লেখার সাধ জাগলো। যা নিয়ে লিখবো তা আমার নেই।
আমার দাদা-দাদি, নানা-নানি কেউ নেই। বাবা মা যখন ছোট ছিলেন তখনই তারা পরপারে উড়াল দিয়েছেন। বাবার বয়স যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×