গতকালকে দুপুর দুইটায় বাসার ব্যালকনি থেকে তোলা
আবহাওয়া যে মানুষের মন ও শরীরের উপর প্রভাব ফেলে সেটা নভেম্বর মাস এলেই খুব বেশী অনুভব করি ।
নভেম্বর মাসের সাথে এক ঝাঁক বিষন্নতা আচ্ছন্ন করে আমার মনকে , সাথে অলসতা প্রভাব বিস্তার করে দেহে।
লেখা- পড়া, খাওয়া- দাওয়া কোন কিছুতেই মন বসে না। কোথাও যেতেও ইচ্ছা করে না ।
( স্নো এলেই আবার সব ঠিক হয়ে যাবে তখন আবার আনন্দে আমার মন উরু ধরু করবে ! ইনশা আল্লাহ।)
এসময় দিন গুলো এত ছোট হয়ে যায় সকাল আটটায় ঘর থেকে যখন বের হই তখনও অন্ধকার থাকে, আবার পাঁচটার পরে যখন বাসায় ফিরি তখন অনেক রাত ( সূর্য গত হয়েছে তিনটায়) মাঝের দিনটুকুতে সূর্যিমামা নতুন বরের মত নাকে রুমাল দিয়ে মুখটা নীচু করে রাখে লজ্জায় , ঘার ব্যাথার কারনে মাঝে সাঝে একটু আকটু উকি, ঝুঁকি দিলেও সারাদিন কেমন যেন কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে,আবছা আলো আঁধারের লীলা খেলায় বুঝাই যায় না কখন সকাল, কখন দুপুর আর বিকাল। রাস্তা-ঘাট ভেজা ভেজা স্যাত স্যাতে থাকে,গা ঘিন ঘিন লাগে,ফুল পাতা হীন গাছ গুলোকে মনে হয় কোনো জ্বীন- ভুত দাঁড়িয়ে আছে, অন্ধকারে পথ চলতে কেমন গা ছম ছম করে।পাখির কোলাহল নেই, জীবন বাঁচাতে তারা ফেরারী হয়েছে কোন দুর দেশে। সারা শহরটাকে মনে হয় মন মরা হয়ে আছে।এ সব কিছু দেখে আমার জীবনের রংটাই কেমন ফ্যাকাশে মনে হয়।
( আমার ক্যাকটাস আমার মনের আনন্দ)
এত খারাপ লাগার মাঝেও ভালো লাগাও আছে , আমার অনেক গুলো নভেম্বর ক্যাকটাস আছে নভেম্বর এলেই এ গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে যায় । কয়েক বছর আগে একটা গাছ কিনেছিলাম সেই একটা থেকে এখন অনেকগুলো হয়েছে। সারা নভেম্বর জুড়েই এগুলোতে একটার পর একটাতে ফুল আসতেই থাকে , ফুলগুলো দেখলেই আমার মনে আনন্দ লাগে। কিন্ত এই নভেম্বর ক্যাকটাস ফুলগুলো খুব অল্প সময়ে ঝরে যায়।
আমার আরো একটা ভালো লাগার জায়গা আছে যেখানে গেলে কুয়াশাচ্ছন্ন বিষন্ন দিনে বা অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতেও আমার মনের আকাশে উজ্বল সূর্যের সোনালী আলো জ্বলমল করে , বিবর্ণ, বিষন্ন দিনেও আমর মন সাত রংগা ভাললাগায় হারিয়ে যায়।
কিন্ত —————————
আমার এই ভালোলাগার জায়গাটা খুবই সংকীর্ন আর হালকা-পাতলা আমার ওজন নিতে পারে না, সামান্য বাতাসেই এমন ভাবে দুলুনি দেয়, বাল্টিকের অথৈ জলে আমি হাবু ডুবু খাই ।
(বাল্টিক সাগর )