অনন্ত প্রেম
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শতরুপে শতবার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীত হার,
কত রুপ ধরে পরেছ গলায় নিয়েছ সে উপ হার!!
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যাথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে,
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে!!
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয় উৎস হতে
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহ বিধুর, নয়নসলিলে মিলনমধুর লাজে
পুরাতন প্রেম নিত্য নতুন সাজে!!
আজি সেই চির দিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ নিখিলের দুখ নিখিল প্রানের প্রীতি
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি।
সকল কালের সকল কবির গীতি!!
বলতে গেলে রবিঠাকুরের এই প্রিয় কবিতাটি দিয়ে আমাদের পরিচয়ের সুত্রপাত। আমি কবিতাটি আবৃতি করে শুনিয়েছিলাম তোমাকে। তুমি সাথে সাথে নিজেই আবৃত্তি করে ফেল্লে। আমাকে শুনালে। আমি রীতিমত অবাক! স্বপ্নেও ভাবিনি তুমি এমন একজন কাঠখোট্টা স্থাপত্যবিদ হয়ে কিনা কবিতাও আবৃতি করবে। তাও শুধু আমার জন্য। আর এত্ত সুন্দর করে ভরাট গলায় আবৃতি করেছিলে। আমি তো থ! তোমার সাথে পরিচয়ের পরপর আমি সবচাইতে মুগ্ধ হলাম তোমার মুগ্ধকরা কন্ঠস্বরে আর তোমার কথার ঢং, তোমার সাবলীল বাচন ভংগিতে।
তার বেশ কিছুদিন পর, এক মধ্যাহ্নে গিয়েছিলাম সাদাকালো দোকানটায়। সেই পড়ন্ত দুপুরে ওদের সাউন্ড বক্স হতে ভেসে আসছিলো নিমা রহমান ও শিমুল মুস্তাফার যাদুকরী মায়াবী যুগল কন্ঠে দ্বৈত আবৃতি। রবিঠাকুরের এই অমর কবিতাটি।
সাথে সাথে তোমাকে শুনাতে ফোন করলাম।
হা হা হা একদিন সবই স্মৃতি হয়ে যাবে শুধু পড়ে রইবে এই লেখা।
আমি তো রব না চিরদিন রবে যে এই ক্ষন.....
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮