তখন কে তুমি তা কে জানত?
তখন ছিল না ভয় ছিলনা লাজ মনে
জীবন বয়ে যেত অশান্ত।
মনে পড়ে তোমার সাথে সেই প্রথম পরিচয়ের কথা।হঠাৎ দেখা হয়ে গেলো আমাদের। কি সাংঘাতিক রকম ভালোলাগার মুহুর্ত ছিলো সেটি।কিন্তু আমরা দুজনই কেউ কাউকেই জানালাম না। শুধু আমি জেনেছিলাম তুমি যেন ঠিক আমার মনের মত কেউ একজন। মনে হয়েছিলো আমি জন্ম জনমান্তর ধরে তোমাকেই খুজেছিলাম।একটু ভয় ও হচ্ছিল তাই পালিয়ে যেতে চাইলাম, তোমার থেকে । কিন্তু তোমার থেকে পালানো তো নিজের থেকেই পালিয়ে যাওয়া। তাই সকল লাজ ভয় ছেড়ে পাড়ি দিলাম এক অজানার উদ্দেশ্যে, এক অকুল দরিয়ায়। কূল নাই , কিনার নাই।
কি এক অস্থিরতায় কাটিয়েছিলাম সেসব দিন কিন্তু কিছুতেই কি তোমার আকর্ষন এড়ানো যায় বলো?
তুমি ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
যেন আমার আপন সখার মত।
হেসে তোমার সাথে ফিরেছিলাম ছুটে
সেদিন কত না বন বনান্ত!
তারপরপর কতদিন কতরাত অশান্ত জীবনে ছুটে চলা।ভোরবেলা ঘুম ভেংগে চোখ মেলতেই, প্রথমেই মানসপটে তোমার মুখ।কলপনার উদ্যানে শিউলি ফুল কুড়িয়ে মালা গেঁথে তোমার গলেই পরিয়ে দেওয়া ।স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর মুহুর্ত গুলোয় কাটিয়ে ফেলা সেসব দিন।স্বপ্নময় সেসব দিন গুলি তুমিই দিয়েছিলে উপ হার।
ওগো সেদিন তুমি গাইতে যেসব গান
কোনো অর্থ তাহার কে জানতো?
শুধু সং গে তারি গাইত আমার প্রান
সদা নাচত হৃদয় অশান্ত!
কত শত অর্থহীন কথায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়েছিলাম।জগত সংসার ভুলে দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুঃখী।এই পৃথিবীর কোনো শোক দুঃখ তাপ ছুয়ে যায়নি সেসব দিনগুলোতে আমাদেরকে।সদা ও সবর্দা হৃদয়মন্দিরে বেজে চলেছিলো এক ভালোলাগার নুপুর নিক্কন, রুনু ঝুনু রুনুঝুনু।
হঠাৎ খেলার শেষে আজ কি দেখি ছবি
স্তদ্ধ আকাশ নীরব শশী রবী
তোমার চরণ পানে নয়ন করি নত।
ভুবন দাড়িয়ে আছে একান্ত!
তুমি হারিয়ে গেছ।তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি আমি।সদা চন্চল সেই নুপুর নিক্কন থেমে গেছে আজ।কূল হীন সেই অশান্ত অকুল দরিয়ায় নেই কোনো ঢেউ।তোমার চরণে আমার ভুবন আজ এক স্থবীর ছবি। কোথাও কোনো ভালোলাগা নেই আজ আর অবশিষ্ঠ, আমার জন্য।
Click This Link
(রবীন্দ্র সংগীতটির লিন্ক)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:২৬