প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক পারসোনার বনানী শাখায় স্পা করাতে যান। ওই ভদ্রমহিলা কটি বিশেষ কক্ষে স্পা করাতে চাইলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রথমে পোশাক পরিবর্তন করে নির্ধারিত পোশাক পড়তে বলা হয়। পোশাক পরিবর্তন শেষে তিনি ওই কক্ষে একটি গোপন ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। পরে ক্যামেরা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে পারসোনা কর্তৃপক্ষ একেক সময় একেকরকম কথা বলতে থাকেন। এর মধ্যে খবর পেয়ে নারী চিকিৎসকের স্বামী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। পরে পারসোনা কর্তৃপক্ষ ও তাদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই পারসোনা কর্তৃপক্ষ ভিডিও ক্যামেরাটি খুলে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, ওই নারী চিকিৎসকের চাপের মুখে পারসোনা কর্তৃপক্ষ গোপন ক্যামেরার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশটুকু নারী চিকিৎসককে দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশ একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে লোড করার সময় পারসোনার দুই পুরুষকর্মী তাদের নিজেদের পেনড্রাইভে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী চিকিৎসকের স্বামী তাদের কাছ থেকে ভিডিওকৃত অংশটুকু নিয়ে নেয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পারসোনা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টির সমঝোতা করার চেষ্টা করছিল।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, পারসোনার ভেতরে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ওই নারী অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারসোনার বনানী শাখার কর্মকর্তা তাহিয়া কোনো কিছু বলতে রাজী হননি। পারসোনার সত্ত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খানের একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৮