আসসালামু আলাইকুম!
যেসকল আপুরা পর্দা করেন না তাদের কে উদ্দেশ্য করে এবং নারীদের সহায়তার জন্য ভাইয়াদের কে ও বলছি_আধুনিক সংস্কৃতির চর্চা করতে গিয়ে যেসকল আপুরা পর্দা করেন না এবং যেসকল পুরুষগন নিজেদের কে সংযত রাখেন না তারা না জেনে বা না বুঝে এমন করছেন।আল্লাহ-পাক আপনাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন(আমীন)।কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
*আল্লাহ আব্রু (পর্দা) ফরয করেছেন তাই নিশ:সন্দেহে এতে ভাল কিছু আছে।
পর্দা করার মানেই শুধু বোরখা পরা নয়।মেয়েদের দৈহিক/শারীরিক গঠন তার দৈহিক সৌন্দর্য,যা সাধারনত প্রকাশমান নয় এমন সৌন্দর্য এমন পুরুষের সামনে প্রকাশ না করা যার সাথে বিবাহ করা যায়েজ,শুধু তাই নয় মহিলাদের সামনে ও তাই (যে সকল মহিলাগণ মুমিন নয়)। একটা মেয়ের সৌন্দর্য শুধু মাত্র তার স্বামির জন্য।#প্রশ্ন:- তানাহলে একটা পুরুষ কেন হিংসা বোধ করে তার জিবন সঙ্গীনির সৌন্দর্য অন্য পুরুষের নিকট প্রকাশ করতে?
অপ্রিয় হলেও বাস্তব আধুনিকতার নামে যে সকল মেয়েরা বাইরে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে বেড়ায় তাদের কে আপনারা ২দিনের জন্য ভালবাসবেন কিন্তু ঘরের বৌ করে নিতে দ্বীধা করবেন। আধুনিক ফ্যাশন সমৃদ্ধ পোষাক/বোরখা যাতে পর্দা রক্ষা না হয় তা পরিহার করুন। আমার বোনদের দায়ীত্ব আমানত এর হেফাজত করা এবং ভাইদের দায়িত্ব নিজেদের কে সামলিয়ে তাদের সহযোগীতা করা। মহান আল্লাহ তা আলা মেয়েদের শরীর এমন এক টক জাতীয় পদার্থ দ্বারা তৈরি করেছেন যাতে পুরুষের নজর পড়লে তার জিহ্বায় জল আসবে।এটাই বিধাতার সৃষ্টির রহস্য।তাই পর্দা আপনি এভাবেই করুন যাতে কোন পুরুষ আপনার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে না তাকায়। আজ যে ইভটিজিং আল্লাহর গজব স্বরুপ নেমে এসেছে তার জন্য নারীরাই দায়ী।আজ আপনি নিজেকে মেলে ধরছেন তাই ছেলেরা আপনার পিছু নিচ্ছে।তারা দেখছে আপনার সৌন্দর্য।আপুরা তারা যদি বলে যে আপনি সুইট,কিউট, ইত্যাদি তবে এই সকল মন্তব্যে তাদের পাপ হবে,তার থেকে বেশি হবে আপনার।কারন সুযোগ টা আপনি দিয়েছেন।ছেলা তেঁতুল দেখে জিহব্বায় জল আসবেই,এতে তেঁতুলের দোষ নাকি জিহববার দোষ?আমি এখন ও শুনিনি যে পর্দাশীল নারী ইভটিজিং এর স্বীকার হয়েছেন।ছেলেরা যতই খারাপ হোক আপনি আল্লাহর হুকুম মেনে পর্দা করলে নি:সন্দেহে আপনার সম্মান রক্ষার দায়ীত্ব আল্লাহর। "হে নবী (স: )! আপনি আপনার কন্যাগনকে,স্ত্রী গনকে এবং মুমীনদের স্ত্রীগনকে বলুন,তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়,এতে তাদের কে চেনা সহজ হবে,ফলে তাদের কে উত্যক্ত করা হবেনা।"__সূরা আল-আহযাব(৫৯)
আবার শুধু বোরখা পরলেও পর্দা রক্ষা হয়না, নিজেকে শারীরিক এবং মানষিক যিনা থেকে দুরে রাখাও পর্দার অন্তর্গত। বিবাহ ব্যতিত অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন,বিবাহ যায়েজ এমন পুরুষের নিকট তার এমন কোন সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাতে করে পুরুষের মনে কামনার উদ্রেক করে। যেমন মিষ্টি স্বরে কথা বলে বাচন ভঙ্গিকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা যাতে পুরুষ তার শারীরিক অবয়ব না দেখলেও ঐ নারীর প্রতি আকর্ষিত হয়। তবে আর ও একটি কথা সকল গুনই সৌন্দর্য,কিন্তু সকল সৌন্দর্য গুন নয়। তাই সেক্ষেত্রে তার গুন প্রকাশমান।যাক গে,অনেক লিখে ফেললাম,ভুল হলে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৯