একবার মুখোমুখি হতে চাই
তথাকথিত এই আমি সব আবোরন ছিন্ন করে
একবার সন্ধি পত্রে সাক্ষর করতে চাই।
আমার দ্বিধায় অবরুদ্ধ হৃদপিন্ডকে
একবার উমুক্ত করতে চাই।
জন্ম থেকে চলমান এই অসহিষ্ণু কালবেলাতে
একবার প্রদীপ জ্বালতে চাই।
আরো একবার নতুন করে আপনাদের বলতে চাই
দেখুন এই হলো আমাদের মা, আমাদের স্বদেশ;
আর এই যে বিস্মৃত খোলা জমিন দেখছেন
তা হলো আমার ধরিত্রীর প্রসস্ত বুক!
খুব গভীর ভাবে একবার নাক ডোবান এই পবিত্র মাটিতে
তীক্ষ্ণ করুন আপনার ইন্দ্রিয়কে
দেখুন –শহীদের রক্তে লালচে আমার মায়ের শরীর
আজও কেমন নেশা গ্রস্থ।
এই যে বাতাস, যা আপনি ফুসফুস ভরে নিচ্ছেন
তাতেও বারুদের গন্ধ লেগে আছে।
হয়ত কখনো ধারন করেন নি;
শুধু চোখ মুখ বন্ধ করে ইতিহাস পড়েছেন।
৫২,৬৯,৭১ যা আপনার কাছে একটা ঘুনে খাওয়া পাতা
তা আমার কাছে সমগ্র জাতির মানচিত্র।
এবার আসুন; দ্বিগ্নিজয়ী এক মহান পুরুষের
কালজয়ী ইতিহাস শোনাই-
ধানমন্ডি ৩২ নং বাড়ি
যেখানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ
আজও হৃদপিন্ড যন্ত্রআর কাফন উড়ায়।
হ্যা; তিনি সিই জাতির পিতা
যার বজ্রসম ঝাঝালো স্লোগান ক্ষনকালের প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে
আজও মহাকালের স্রোতে ধাবমান।
এবার আসুন - লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত
এই বর্তমান বাংলাদেশের কথা বলি।
“বাংলাদেশ” আমাদের এই শব্দের চোখে জল!
কারন তারা এখন কেবল বিচ্ছিন্ন ৪ টি বর্ণ
ঝাপিয়ে পড়তে চায় শোষক শ্রেণীর কৌশলী হৃদপিন্ডে
আর কত রক্ত চাই?
৫২!৬৯!৭১!
এতো রক্ত! তাওকি হবেনা শেষ রক্তের ক্ষুধা?
এবার আসুন –আমার কথা বলি
অবগুন্ঠিত এক সাধারন নারী আমি
আজ গন্ডির দেওয়াল টোপকে আপনাদের জানাতে এসেছি
আমি ৫২ দেখিনে,তবু প্রতিদিন ৫২সেই রাজপথে হাঁটি
আমি ৬৯ দেখিনি তুব প্রতিনিয়ত রক্তের ভেতর
৬৯ এর অভ্যত্থান টের পাই!
আমি যুদ্ধ দেখিনি তবুও আমি রোজ যুদ্ধে নামি
বেঁচে থাকার সেই যুদ্ধ,বাঁচিযে রাখার সেই যুদ্ধ
৪টি বর্নকে একত্রিত করে বাংলাদেশ নামক
একটা শব্দে রূপান্তরের সেই যুদ্ধ!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫