....................................নেতা ও সাংবাদিক
সাংবাদিক: স্যার আপনি একমাসের ধর্মঘট ডাকলেন কেন?
নেতা: বুঝতে পারছেন না, দেশের অবস্থা ভাল না!
সাংবাদিক: কেন কি হলো,?
নেতা: আমার পেছনের বলদগুলো যে কোন সময় পল্টি নিতে পারে।
সাংবাদিক: তাহলে ধর্মঘট কে পালন করবে?
নেতা: কেমনে যে আপনি সাংবাদিক হলেন সেটা বুঝতে পারছি না। ধর্মঘট করতে কোন নেতাকর্মীকে মাঠে থাকতে হয় নাকি?
সাংবাদিক: তাহলে মাঠে থাকবে কারা?
নেতা: কেন টাকা পাঠিয়েছি কার জন্য, দুই চারশো টাকা দিলে দুই চারটা গাড়ি জ্বালিয়ে দিলেই হলো পাবলিক মাঠে থাকবে না।
সাংবাদিক: কিন্তু আপনারা তো বলেন, জনগনের জন্য রাজনীতি করেন!
নেতা: ওটা তো কথার কথা, কানে কানে বলি-যা করি সব নিজের জন্য।
সাংবাদিক: শিশুদের কে কেন রাজনীতিতে জড়ালেন?
নেতা: কই শিশুদের তো জড়াইনি, দুই চারটা যা আছে পটকা হাতে ওরা তো মানুষ নয়, টোকাই।
সাংবাদিক: তাদের কথা বলছি না, যারা পরীক্ষায় অংশ নিচেছ তাদের কথা বলছি। ধর্মঘটে তাদের তো ক্ষতি হচ্ছে।
নেতা: এই জন্য বেটা তুই সাংবাদিক, আমি ব্যাটা রাজনীতি করি, আমার কি লেখা পড়ার দরকার আছে? আর ওরা যদি শিক্ষিত হয় তাহলে কি আমার লাভ হবে?
সাংবাদিক: কেন হবে না ওরা তো দেশের সম্পদ?
নেতা: তাতে আমার কি লাভ, আামি লেহাপড়া জানি না ওদের ও জানার দরকার নেই।
সাংবাদিক: তাতে আপনার লাভ?
নেতা: ওরা শিক্ষিত হলে কি আর আমার কথা শুনবে, ওরা তখন ভালমন্দ বুঝতে শিখবে। আমার এই সুকর্মের জন্য লাল দালান। তার চেয়ে ওরা অশিক্ষিত থাক আমি ঘরে বসে ধর্মঘট করি।
সাংবাদিক: আপনার একটা ছবি তুলি?
নেতা: আমার ছবি তুলতে হবে না, আপনি িএখন যান, রাস্তায় ককটেল ফুটতাছে, লাইভ টেলিকাস্ট করেন। প্রমোশন হবে। আমার হরতালটাও জমজমাট হবে। আমি আর সময় দিতে পারছি না এখন একটু ধর্মঘটের লাইফ টেলিকাস্ট দেখি...... বাই, ধর্মঘটের পরে আসেন। প্রতিক্রিয়া দিব।
বি.দ্র: একটি কল্পিত সাক্ষাতকার- কোন গোষ্টি বা ব্যক্তির সাথে মিলে গেলে তা নিছকই কাকতালীয় মাত্র, তার জন্য লেখক দায়ী নয়।