জাপানিদের ইংরেজি-দক্ষতা নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে।
একবার জাপানি প্রেসিডেন্ট আমেরিকা সফরে যাবেন। সফর না হয় দোভাষী দিয়ে চালানো যাবে, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যখন জাপানি রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানাবেন, সৌজন্য আলাপ টা ইংরেজিতে তো করতে হবে। পুরো জাপানি রাষ্ট্রযন্ত্র এটা নিয়ে চিন্তিত।
দোভাষী অনেক বুদ্ধি করে রাষ্ট্রপতিকে শিখিয়ে দিনেন, শোনেন, আপনি যখন ক্লিনটনকে প্রথম দেখবেন, হ্যান্ডশেক করে জিজ্ঞেস করবেন, “হাউ আর ইউ”। তিনি বলবেন, “ফাইন, থ্যাঙ্ক ইউ”। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি জিজ্ঞেস করবেন, “এন্ড ইউ?” তখন আপনি বলবেন, “মি টু”। ব্যস মামলা ডিসমিস, বাকি কাজ দোভাষি চালাবে। প্রেসিডেন্ট মুখস্ত করতে লাগলেন।
সফরের দিন চলে এলো, জাপানি রাষ্ট্রপতি আমেরিকায় ল্যান্ড করলেন, কিন্তু দুটি ইংরেজি মুখস্ত শব্দ আওড়াতে আওড়াতে ঘেমে উঠলেন। ক্লিনটন হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিলেন। নার্ভাস জাপানি রাষ্ট্রপতি কাঁপা কাঁপা হাত বাড়িয়ে দিয়ে একটু ভুল করে বসলেন। প্রশ্ন করে ফেললেন, “হু আর ইউ?” বিল ক্লিনটন ঘাবড়ে গেলেও সামলে নিলেন, হাসিমুখে উত্তর দিলেন, “আই অ্যাম হিলারি’স হাসব্যান্ড। এন্ড ইউ?” প্রশ্নটা জাপানি রাষ্ট্রপতির কমন পড়লো, এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, “মি টু”।
যাহোক, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা জাপানি বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর লেখা “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইয়ের ইংরেজি সংস্করণ। বেচারা জাপানি রা মনে হয় এর চে পানসে উপহার আর পায় নি।
পুনশ্চঃ কথাগুলো আফসোস থেকে লেখা। আমরা যদি ইংরেজি মেশানো হিজড়া ভাষা বর্জন করে জাপানিদের মত শুদ্ধভাবে শুধু নিজের ভাষাটা রপ্ত করে নিজেদের উন্নয়নে আপনমনে কাজ করে যেতে পারতাম!