কামের লালসা মেটাতে আমাকে ভোগের বস্তু করোনা
ছুঁতে আসার আগে তোমাদের উত্থিত লিঙ্গকে একটু দমিয়ে আমার চোখের দিকে তাকাও ;
বুকের দিকে নয় মনের দিকে দেখো তো চেয়ে , স্নেহের স্পর্শ পাও কিনা ?
মায়ের মমতা কিংবা একই জঠরে বেড়ে ওঠা বোনের আদর-ভালোবাসা
ওসব কি একটিবারও দেখেছো কখনো ?
নিজের ঘরের বাইরে কোনো নারী কিংবা কন্যাশিশুকে নিষ্পাপ দৃষ্টির আলোয় রাঙ্গিয়েছো কি কখনো ?
শারীরিক জোর লাগিয়ে তোমার পশুত্ত্বকে জাগ্রত করে আমার শরীরকে রক্তাক্ত করবে
এরপর জীবন্মৃত নয়তো নিঃশ্বাস কেড়ে নেবে...
তোমরা যতোবার আমাকে ধর্ষণ করবে ,
ততোবারই তোমাদের মায়ের জঠর কলুষিত ।
বস্ত্রহীন শরীরটাকে ঢেকে দেবার জন্যে
আদালতের মামলায় আমি নারী বারবার ধর্ষিত হই উকিলের জেরায় আর নিজস্ব জবানবন্দীতে ।
আহ ! এ কেমন ধারা !
হায় নারী ! হায় জন্মভূমি !! হায় জননী !!!
আদুরে কন্যা , স্নেহের বোন , প্রিয়তমা স্ত্রী তোমার পরিচয় তুমি কি জানো ?
রিরংসা মেটানোর একটি নাম তুমি নারী ,
যৌণক্ষুধা নিবৃত্ত করার একটি খাদ্য তুমি ,
লালসার আধার তুমি ।
তবে যতোই আমাকে খাবলে-খুবলে রক্তাক্ত করোনা কেন ,
এই রক্তের আগুণেই পুড়বে তুমি ।
ধর্ষক বলছি তোমায় :
আমার নীরবতা, কান্না কিংবা চিৎকারকে আমার দূর্বলতা ভেবোনা
যখন আমি প্রতিবাদী বোমা হয়ে ফাঁটবো ,
তখন তোমরা কোথাও আশ্রয় পাবেনা ।
হ্যামিল্টন , কানাডা
১৪ জানুয়ারী , ২০১২ ইং ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৭