খবরটা সত্যিই উদ্দেগজনক!!! হয়ত অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে। ভেবেছিলাম এই ব্যাপারে অনেক ভালো ভালো লেখকের লেখা দেখতে পাব। এ কোন পথে যাচ্ছি আমরা??? এ কথা আমরা সবাই জানি যে পূজিবাদীদের প্রভাবে দেশের মানুষ আজ দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত হচ্ছে। উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্ত। আমার ধারনা মধ্যবিত্তরা এখন বিলুপ্তির পথে। হয় তারা উচ্চবিত্ত হচ্ছে আর না হয় নিম্নবিত্ত হচ্ছে। আর এ কথাও আমরা এক বাক্যে স্বীকার করব যে ধনীরা আরও ধণী হচ্ছে আর গরীবরা আরও গরীব হচ্ছে। দেশের এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের খবর সত্যিই হতাশাজনক এবং কষ্টদায়ক।
এইবার খবরটা একটু পড়ুন তারপর আপনার মতামত দিন-
“ঢাকা, অক্টোবর ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশে প্রথমবারের মতো বিশেষ লাইনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা চালুর একটি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), যা লোডশেডিংয়ের আওতায় পড়বে না।
প্রাথমিকভাবে রাজধানীর অভিজাত এলাকার গ্রাহকরাই এ সেবা পাবেন। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য খরচ করতে হবে গড়ে ১৩ টাকা, যা সাধারণ হারের তুলনায় চার গুণ বেশি।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) এক উম্মুক্ত সভায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, "অনেকেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায়। তারা বলেন- টাকা দেবো, কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেন, যাতে ভোল্টেজ নিয়ে সমস্যা থাকবে না। সেই চিন্তা থেকেই বিশেষ ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরহ করার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা।"
বিইআরসির অনুমোদন পেলে শিগগিরই এই লাইন চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পিডিবি চেয়ারম্যান জানান।
তিনি বলেন, এই বিদ্যুতের দাম সাধারণের তুলনায় বেশি হওয়ায় প্রাথমিকভাবে গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিশেষ ফিডার লোডশেডিয়ের আওতায় পড়বে না।
এক্ষেত্রে ৪০০ ভোল্টেজের লাইনের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে ১৪ টাকা ১০ পয়সা, ১১ কেভি লাইনের জন্য ১৪ টাকা, ৩৩ কেভি লাইনের জন্য ১৩ টাকা ৭০ পয়সা, ১৩২ কেভি লাইনের জন্য ১৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং ২৩০ কেভি লাইনের জন্য ১৩ টাকা ৪০ পয়সা করে দিতে হবে।
বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ২ টাকা ৬০ পয়সা। আর ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ৩ টাকা ৪৬ পয়সা এবং চারশ'র বেশি ইউনিট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৫ টাকা ৯৩ পয়সা হারে দাম নেয় বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাটি।
তবে বুধবার বিইআরসির উম্মুক্ত সভায় বিদ্যুতের এই দাম গড়ে ২১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে পিডিবি। পাশাপাশি সব শ্রেণীর গ্রাহকের ন্যূনতম বিল চার্জ, সার্ভিস চার্জ এবং ডিমান্ড চার্জও বাড়াতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আলমগীর কবীর বলেন, "বিদেশে বেশি দামে কোয়ালিটি পাওয়ার সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশেও তা চালু করতে চাই।"
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখন অধিকাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি তেল নির্ভর। আর তেলের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে।"”
সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট আর তার বিপরীতে উৎপাদন মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট। এমন অবস্থায় যদি অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত পায় তাহলে সাধারন এলাকার মানুষেরা কি পরিমান ভোগান্তিতে পড়বে একবার চিন্তা করেছেন?? আর অভিজাত এলাকার জন্য বিদ্যুতের দাম চার গুন কেন ১০ গুন বাড়ালেও তাদের উপর কোনো প্রভাব পড়বেনা। যারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় তারাতো ঐ সব ধনীদের কমিশনভোগী কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি। তাই আসুন আমরা এই হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করি।।
লিঙ্কঃ চড়া দামে 'নিরবিচ্ছিন্ন' বিদ্যুতের প্রস্তাব