ঈদের দিনগুলোতে হাজার হাজার মুসলমান আমার উপরে বসে পৃথিবীর সকল সৃষ্টির জন্য শান্তি কামনা করে। আবার দেলোয়ার হোসেন সাঈদি(এখানে বসেই কয়েকজন বলছিলো সে নাকি মস্ত বড় রাজাকার)রা ঐ সকল ধর্মভীরু মুসলমানদের বোকা বানিয়ে আমার উপরেই বসে ওয়াজ মাহফিলের নামে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে যায়। তখন আমি কিছুই বলতে পারিনি। যেদিন হাসিনা খালেদা রা এসে দেশের সকল মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা আর নিরাপত্তা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সেদিনও আমি নিশ্চুপ ছিলাম।
কত শত হাজার লক্ষ কোটি জোড়া পা আমার উন্মুক্ত বক্ষের উপর দিয়ে হেঁটে গেছে তা আমার জানা নেই। কত যুগলকে আমারই উপর বসে ভালবাসার বীজ বুনতে দেখেছি। আবার কারো কারো ভালবাসার মৃত্যুদন্ড হতেও দেখেছি। লতা নামের মেয়েটির চোখের জলে আমি ভিজেছিলাম, তার কিছুদিন পর ওকেই দেখেছিলাম আর একটি ছেলের হাত ধরে এসে আমার উপরেই বসে হাসতে হাসতে চটপটি খেতে। আমিও মিটি মিটি হেসেছিলাম।
পিন্টু নামের ছেলেটিকে ওর শিশুকাল থেকেই চিনতাম। ওর বাবা আর ও এখানেই ফুটবল খেলত। ওর ছোটো ছোটো পা যখন ফুটবলে লাথি মারতো ওর বাবা তখন হাত তালি দিত। সেই পিন্টুই কিছুদিন আগে হাসান নামের ছেলেটিকে আমারই উপর রেখে কুপিয়ে হত্যা করলো। সেদিন আমি অনেক কেদেঁছিলাম। আফসোস আমার কান্না কেউ শুনেনি।
কেউ কেউ হয়ত আমাকে চিনতে পেরেছেন। গাজীপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ভাওয়াল রাজবাড়ির সামনে অবস্থিত আমি ঐতিহাসিক রাজবাড়ির মাঠ......
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১০ রাত ১:২৩