somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি ঐতিহাসিক রাজবাড়ির মাঠ

০৮ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পশ্চিম পার্শ্বে একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। পূবে মহিলা কলেজ, তার পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়। উত্তর কোণায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আর দক্ষিনে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার এবং তার পাশেই মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক। গর্বে আমার বুক সবসময় ভরে থাকার কথা কিন্তু থাকেনা কারন বছরের নির্দিষ্ট কিছু দিবস ছাড়া বাকি দিনগুলোতে এই সব স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা জুতা পায়ে শহীদ মিনার এবং নামফলকের বেদিতে উঠে বসে থাকে। কিছু ছেলে অধিক রাতে এখানে বসেই মদ গাজা খায়। আমি শুধু নির্বাক চেয়ে থাকি।

ঈদের দিনগুলোতে হাজার হাজার মুসলমান আমার উপরে বসে পৃথিবীর সকল সৃষ্টির জন্য শান্তি কামনা করে। আবার দেলোয়ার হোসেন সাঈদি(এখানে বসেই কয়েকজন বলছিলো সে নাকি মস্ত বড় রাজাকার)রা ঐ সকল ধর্মভীরু মুসলমানদের বোকা বানিয়ে আমার উপরেই বসে ওয়াজ মাহফিলের নামে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে যায়। তখন আমি কিছুই বলতে পারিনি। যেদিন হাসিনা খালেদা রা এসে দেশের সকল মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা আর নিরাপত্তা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সেদিনও আমি নিশ্চুপ ছিলাম।

কত শত হাজার লক্ষ কোটি জোড়া পা আমার উন্মুক্ত বক্ষের উপর দিয়ে হেঁটে গেছে তা আমার জানা নেই। কত যুগলকে আমারই উপর বসে ভালবাসার বীজ বুনতে দেখেছি। আবার কারো কারো ভালবাসার মৃত্যুদন্ড হতেও দেখেছি। লতা নামের মেয়েটির চোখের জলে আমি ভিজেছিলাম, তার কিছুদিন পর ওকেই দেখেছিলাম আর একটি ছেলের হাত ধরে এসে আমার উপরেই বসে হাসতে হাসতে চটপটি খেতে। আমিও মিটি মিটি হেসেছিলাম।

পিন্টু নামের ছেলেটিকে ওর শিশুকাল থেকেই চিনতাম। ওর বাবা আর ও এখানেই ফুটবল খেলত। ওর ছোটো ছোটো পা যখন ফুটবলে লাথি মারতো ওর বাবা তখন হাত তালি দিত। সেই পিন্টুই কিছুদিন আগে হাসান নামের ছেলেটিকে আমারই উপর রেখে কুপিয়ে হত্যা করলো। সেদিন আমি অনেক কেদেঁছিলাম। আফসোস আমার কান্না কেউ শুনেনি।

কেউ কেউ হয়ত আমাকে চিনতে পেরেছেন। গাজীপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ভাওয়াল রাজবাড়ির সামনে অবস্থিত আমি ঐতিহাসিক রাজবাড়ির মাঠ......
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১০ রাত ১:২৩
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×