ভাল ক্যামেরা বলতে আমরা সাধারণত ক্যানন, নাইকন, পেনট্যাক্স, সনি আলফা এইসব ক্যামেরাকেই বুঝে থাকি। এসব ক্যামেরা সাধারণত ১২/১২ মেগাপিক্সেল হয়ে থাকে।
তবে গাড়ীর জগতে যেমন বুগাত্তি ভেরন বা পাগানি জোন্ডা র মত সুপার কার আছে, তেমনি ক্যামেরার জগতেও আছে এরকম কিছু সুপার ক্যামেরা। এগুলোকে বলা হয় মিডিয়াম ফরম্যাট ক্যামেরা। ২৫/৩৫ মেগাপিক্সেল এর এসব ক্যামেরা মুলত প্রফেশনালরা, যেমন ফ্যাশন ফটোগ্রাফার রা ব্যাবহার করে থাকেন নানাবিধ সুবিধার কারণে, যেগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে পিক্সেল অনেক বেশি হওয়ার কারনে অনেক বড় প্রিন্ট করার পরেও ছবিগুলো ফাটে না ।
এটা ছিল প্রাথমিক আলোচনা। আজকের এই পোস্ট মুলত একটা বিশেষ মিডিয়াম ফরম্যাট ব্রান্ড এর ক্যামেরা নিয়ে...............যার নাম হ্যাসেলব্লাড
হ্যাসেলব্লাড ক্যামেরার কথা আমি প্রথম শুনি মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটা সাক্ষাৎকারে। উনি সম্ভবত প্রতিভার অপচয় বা এরকম কিছু একটার উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছিলে এটা হচ্ছে একটা হ্যাসেলব্লাড ক্যামেরা দিয়ে জন্মদিনের ছবি তোলার মত ব্যাপার। পরে ক্যামেরা কেনার সময় আমি অনেক সাইট ঘাঁটাঘাঁটি করি, কিন্তু কোন জায়গাতেই হ্যাসেলব্লাডের কেনার সাজেশন ছিল না। পরে আরেকটু খোঁজ খবর করার পর যেটা বুঝলাম সেটা হচ্ছে আপনি গাড়ি কিনবেন শুনলে যেমন কেউ বুগাত্তি ভেরন বা পাগানি জোন্ডা কেনার পরামর্শ দেয় না, ঠিক সেরকম ক্যামেরা কেনার সময় হ্যাসেলব্লাড এর নাম আসে না, কারন, সত্যি কথা বলতে কি, এটার দাম আমাদের নাগালের বাইরে




হ্যাসেলব্লাড এর ইতিহাস::
হ্যাসেলব্লাড একটা সুইডিশ কোম্পানী যার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন
Victor Hasselblad । কোম্পানীর জন্ম হয় ১৮৪১ সালে, ট্রেডিং কোম্পানী হিসেবে। হ্যসেলব্লাড এর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, যখন সুইডিশ মিলিটারি তাদের আকাশে একটা জার্মান সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরার উপস্থিতি লক্ষ্য করে। সুইডিশ সরকার ভিক্টর হ্যাসেলব্লাড কে দায়িত্ব দেয় তাদের এয়ার ফোর্সের জন্য এরকম একটা ক্যামেরা বানাতে। ভিক্টর হ্যাসেলব্লাড তার প্রথম ওয়ার্কশপ বসান একটা অটোমোবাইল শপে, জান্কইয়ার্ড এর পাশে।
১৯৬২ সাল থেকে নাসা তাদের ষ্পেস ফ্লাইটগুলোতে হ্যাসেলব্লাড ক্যামেরা ব্যাবহার করা শুরু করে। তাদের ফরমায়েশ অনুযায়ী হ্যাসেলব্লাড পৃথিবীর বানায় প্রথম মটর ড্রিভেন ক্যামেরা, 500EL।
হ্যাসেলব্লাড এর প্রথম ক্যামেরা গুলোর নাম ছিল V-System, এর আসে EL-Series, তারপর X-System। বর্তমানে বাজারে আছে তাদের H-System ক্যামেরা গুলো, যার লেটেস্ট প্রডাক্ট হচ্ছে H4D-31 ,যেটা তারা প্রথম দেখায় ফটোকিনা ২০১০ এ
এর পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বের সেরা ফটোগ্রাফাররা হ্যাসেলব্লাড ক্যামেরাকেই তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন/ নিচ্ছেন













সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:২৭