যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে ভয়াবহ সাইবার আক্রমণ চালানো হয়েছিল। গত মার্চে চালানো এ আক্রমণে হ্যাকাররা হাজার হাজার ফাইল গায়েব করে দেয়। আজ শুক্রবার বিবিসি'র সংবাদে একথা বলা হয়েছে।
মার্কিন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম লিন বলেছেন, গত মার্চ এবং অন্যান্য সময়ে হ্যাকাররা আমাদের অতি স্পর্শকাতর দলিলের বহু তথ্য গায়েব করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে এক ভাষণে তিনি বলেন, মার্চে প্রতিরক্ষা শিল্পের একটি কম্পিউটার থেকে পেন্টাগনের উপাত্ত সম্বলিত ২৪ হাজার নথি চুরি করা হয়। তিনি এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম সাইবার হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে বিদেশি হ্যাকার বলতে তিনি কাকে বুঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি তার ভাষণে বলেন, একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এ হামলা চালিয়েছিল। তার আগে হামলাকারীরা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকারী এবং জয়েন্ট স্ট্রাইক জঙ্গিবিমানের প্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফাইল হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
পেন্টাগন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে সাইবার স্পেসে হামলা বন্ধের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এ পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরই পেন্টাগন গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলার কথা স্বীকার করলো।
ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলার জন্য রাশিয়া ও চীনকে অভিযুক্ত করা হতো। তবে এবার এখনো এ দু'টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার ব্যবস্থায় আঘাত হানার এবং ফাইল চুরি করার ক্ষমতা রাখে। উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিন কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, কে তা করেছে সে ব্যাপারে আমাদের ভালো ধারণা আছে।
যেসব ফাইল চুরি হয়েছে সেগুলোতে ট্যাংক, জঙ্গিবিমান ও সাবমেরিনের মতো সমরাস্ত্রের নকশা ছিল। তবে এয়ারক্রাফট এভিয়নিক্স, গোয়েন্দা প্রযুক্তি, উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সিকিউরিটি নেওয়ার্ক প্রটোকল বিষয়ক চুরি হয়ে যাওয়া ফাইলগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র