পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহর প্রতি। সালাম মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ (স

একদিন আমার এক পরিচিত বলল যে ইসলাম যদি এখন নাজিল হত তাহলে হ্য়ত অনেক নিয়ম কানুন পরিবর্তন হতো ( নউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। এটা কখনই সম্ভব নয়। এটা আমার বন্ধুর অজ্ঞতার পরিচয়, আর ইসলাম সম্পর্কে না জানার ফসল।তাকে তৎক্ষনেক ব্যাপারটা বুঝানোর পর সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আল্লাহ তাকে মাপ করুন।
আমাদের সমাজের অনেক মানুষের মনে হয়তো এরকম প্রশ্নের উদ্ভব হতে পারে। তাদের জন্য আমার এই ছোট্ট প্রয়াস।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহাজ্ঞানী।আসমান-জমিনের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত।
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, "আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই যে, নিশ্চয়ই আমি ভূ-মন্ডল ও নভোমন্ডলের গুপ্ত বিষয় সমূহ সম্পর্কে অবগত আছি এবং আমি জানি যা তোমরা প্রকাশ কর বা গোপন কর।"(সূরা বাকারা, আয়াত-৩৩)।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবকিছুই জানেন দেখেন। কোন কিছুই তার কাছে গুপ্ত নয়। সুতরাং এই পৃথিবীতে কেয়ামত পযর্ন্ত কি হবে? তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে আরও বলেছেন, " আর তোমরা কথা গোপনে বল বা প্রকাশ্যে বল তিনি অন্তর্নিহিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে জ্ঞান আছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি করে জানবেন না? অথচ তিনি সূক্ষ্মদর্শী ও জ্ঞানী।" (সূরা মূলক, আয়াত-১৩-১৪)।
আর ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য একমাত্র জীবন-বিধান।আর কুরআন হচ্ছে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত আসমানী কিতাব। এতে কিয়ামত পযর্ন্ত সমস্ত সমস্যার সমাধান দেওয়া আছে। সূতরাং এর পরিবর্তনের ( নউযুবিল্লাহ) প্রয়োজন নাই। কিয়ামত পযর্ন্ত সকল মানুষের নিকটই এটি অনুসরনীয় পথ। ইসলামের যে বিধান রয়েছে এগুলো চিরন্তন ও সার্বজনীন। আমাদের মনেরাখতে হবে এগুলো কোন মানুষের বানানো নিয়ম নয়। বরং এগুলো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কর্তৃক নির্ধারিত, যাতে কোন সংশয়ের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। এই বিধি-বিধান অনুসরনের মাধ্যমেই মানুষের প্রকৃত মুক্তি।
তাই এই ধরনের প্রশ্নের চিন্তা করা নেহাতই বোকামি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের হেফাযত করুন ও জ্ঞান দান করুন। আমিন।