কম বলা এবং বেশী শোনার ভালো কিছু সুবিধা আছে ঃ
১.অন্যকে ভালোভাবে বুঝে নেওয়ার সুযোগ- অনেক নেতাই বড় নেতা হয়ে উঠতে পারেন না কারন অধিকাংশ সময়ই তারা বুঝে উঠতে পারেন না যে মানুষের সাথে তারা যে যোগাযোগের মানে হিসেবে ভাবেন একটা বড় বকৃতা দিয়ে ফেলা সেটা ভুল ধারনা বরং নিজেকে সবার মাঝে ব্যাপৃত করা যায় তখনই যখন আপনি , অন্যের কথা যখন শুনবেন, যার কথা শুনছেন সেও বুঝতে পারবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন,তার কথার মূল্য আছে আপনার কাছে,এভাবে আপনি তার আরও কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
২.আপনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন- যখন আপনি প্রথমে অন্যের কথা শুনছেন,আপনি জানতে পারছেন তার বিচার বিবেচনাবোধ,তাকে কি বলবেন আর কি বলবেন না,সর্বোপরি আপনার বক্তব্য আপনি গুছিয়ে নিয়ে বলা শুরু করতে পারবেন,আর অপর পক্ষও নিজের বলা শেষ হয়ে যাবার কারনে আপনার একজন মনোযোগী শ্রোতা হবে।
৩.সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য- কোন বিষয়ে যদি আপনার কোন সিদ্ধান্ত দেওয়ার থাকে,সেক্ষেত্রে আপনি সবার কথা শুনে নেবার পর নিজের সিদ্ধান্ত নিলে তা অনেক বেশী বাস্তবমূখী হবে।
৪.অন্যরা বিরক্তবোধ করবে নাÑ অন্যের কথা বেশী শুনবেন এবং আপনি শুধু যতটুকু অন্যরা শুনতে চায় ততটুকু বলবেন,সেক্ষেত্রে অন্যেরাও বিরক্তবোধ করবে না।অনেকে আছেন অনেক বেশী বলার চেষ্টা করেন,সেক্ষেত্রে দেখা যায়,অনেক কথার ভীড়ে আসল যে বিষয়টুকুকে গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন ছিল সেটাই ঠিক মতো বোঝানো যায়নি এবং অনেক বেশী কথা শুনে অন্যরাও বিরক্ত হয়ে গেছে।
৫.ভুলবোঝাবুঝি থেকে বেচে থাকা- অল্প বলার কারনে আপনি নির্দিষ্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলায় অহেতুক ভুল বোঝাবুঝি থেকে বেচে যাবেন।কারন কথা যত বেশী হবে,যে আপনাকে জানে না সে হয়তো আপনার এক কথার আর ্এক মানে করবে ।
৬.অভিজ্ঞতা বাড়ানো- অন্যের কথা শোনার মাধ্যমে আপনি মানুষের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা কে আরো বেশী বেশী জানার সুযোগ পাবেন সেই সাথে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন, কারন জানার কোন শেষ নেই।
৭.জনপ্রিয়তা বাড়ানো- আপনি যদি অন্যের কাছে নিজেকে জনপ্রিয় করতে চান তাহলে আজ থেকেই ভালো একজন মনোযোগী শ্রোতা হয়ে যান,কারন অধিকাংশ মানুষই বলতে পছন্দ করে এবং তার কথা শোনার একজন মনোযোগী শ্রোতাকেও চায়।
বোবার শত্রু নেই,যে শোনে বেশী বলে কম তারও শত্রু হবার সুযোগ কম।আমাদের দুটো কান আর একটা মুখ,প্রকৃতিই যখন আমাদের বেশী শোনার সুযোগ করে দিয়েছে, অতএব সেই সুযোগটা আমাদের নেয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২০