–কত বড় হতে চাও?
–আমার হাতগুলো এমন দীর্ঘ হবে –কীনব্রীজের রেলিংয়ের ফাঁকে বাড়িয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেবো আলী আমজদের ঘড়ির কাঁটাগুলো।
–পারবেনা।মানুষ এত বড় হয়না।শরীর-কাঠামোর নির্দিষ্ট সীমা আছে।
অতএবঃ
স্বপ্নের দুরন্ত-ঘোড়াটির টগবগ টগবগ গতি রুদ্ধ হয়।
আকাঙ্ক্ষার পালকগুলো একে একে এভাবেই খসে পড়ে—-
এভাবেই শুরু—
ইচ্ছে-পথের মোড়ে মোড়ে রোড-ব্লক;
দ্বিধা-দ্বন্ধ-উদাসীনতার দরোজার কড়া নাড়তে নাড়তে
হাতটাই নিঃসাড়———সহজে কপাট খোলেনা।
এতোটা সরল নয় লক্ষণ-রেখার গন্ডী পার হওয়া।
কেবল পথিক জানে পায়ের নীচে ফোসকার দাগগুলো কতোটা গভীর।
যাই।
বড়ো দেরী করে যাই
কোথাও যাওয়া হয়না–ঠিকঠাক সময় মতন।