প্রতিটা সরকার ক্ষমতায় এলেই মনে করে সে আর ক্ষমতা হারাবে না। তাই তো নিজের বাপের সম্পদ মনে করে লুটপাট শুরু করে দেয়। স্বার্থবিরোধী হলেই কাউকে টার্গেট করে নানা আবোল তাবোল মামলায় ফাসাতে শুরু করে। যেমনটা করেছে বিএনপি, তেমনটি করছে আওয়ামিলীগ।
আসলে বাংলাদেশে সরকারের পেছনের কিছু সচিব ছাগু হয়ে কাজ করে। ফলে হুট করেই পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে। ইয়াজ উদ্দীন যখন কাউরে না জিজ্ঞাসা করেই নিজে সরকার প্রধান হয়ে গেল, তখন নির্বাচনের প্রস্তুতি স্বরুপ সকল ডিসিকে চিঠি দেয়া হল। এই চিঠি দিতে কে বলেছে তা সচিবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন জবাব দেন নাই।
এই টাইপের ঘটনা ঘটলো বর্তমান সরকারের আমলে ছোট খাট কারণ দেখিয়েই ইউটিউব, ইস্নিপ্স বন্ধ করে দেয়া, ফেইসবুক বন্ধ করে দেয়া ইত্যাদী।
সাম্প্রতিক আমার দেশের সম্পাদককে গ্রফতার করেছে সরকার। কিভাবে ফাসানো যায় সেটা আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। হাসমত আলীকে ধরে নিয়ে গিয়ে মামলা করতে বাধ্য করেছে।
গ্রেফতার করলো। এর পর পুলিশকে দায়ীত্ব পালনে বাধা দেয়ার জন্য আরেকটি মামলা করা হলো। রাষ্টদ্রোহের মামলা করা হলো। এখন হয়েছে হিজবুর তাহরীরের সংগে সম্পৃক্ষ থাকার কারনে মামলা।
আরো যে কয়টি মামলা হতে পারে-
** বাংলা ভাইয়ের মদত দাতা হিসেবে মামলা।
** আলকায়েদার সংগে যোগসাজসের মামলা।
আরো কিছু ফাউল মামলা আসবে মাহমুদুর রহমানের নামে।
এসব ই যে তৈরি করা মিথ্যা মামলা সেটা যেমন জনগন জানে, তেমনি জানে সরকারও।
শুধু মুখে সুন্দর সুন্দর ডায়লগ মেরে যাচ্ছে। ভুলটা এখানেই হচ্ছে যে এরা ভুলতে শুরু করেছে যে কয়দিন পরে আরেকটা নির্বাচন আসছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:২৭