মা ফোন ধরেই কেঁদে ফেললো। আমিও কিছু বলতে পারলাম না। বাবা কেমন আচিস? হ্যা মা আমি ভাল আছি। একজন ভাল অভিনেতার মতো খুব সুন্দর করে বললাম আমি ভাল আছি। আসলে আমি কি ভাল আছি? ভাল ছিলাম না চলে যাওয়া প্রতিটি ঈদেই। তবুও বলি আমি ভাল আছি। হ্যা মা আমি অনেক ভাল আছি।
সব চেয়ে বেশী খারাপ লেগেছিল প্রথম যে ঈদটা করেছিলাম বাবা মাকে ছারা। এর পরের ঈদ গুলোকে মানিয়ে নিতে নিতে আমি আছি আজকের এই ঈদে। ফোনে কথা বলা, টিভি দেখা, মোবাইলে মেসেজ লেখা, নেটে ঘুরা ফেরা, আর বন্ধুদের সাথে সীমিত সময়ের আড্ডা এ গুলোই হল ঈদের ছুটির টাইস পাসের কর্ম।
বন্ধুদেরকে ভুলতে পারি না। ঈদে বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ করাটা ইদেরই অংশ মনে হতো। ঈদ কার্ডের ছড়া ছড়ি। কে কত সুন্দর আর আকর্ষনীয় ভাবে উইশ করতে পারবে, সেটার প্রতিযোগিতা চলতো। ২০০০ সালের ঈদটা ছিল অন্যরকম। সে ঈদে বন্ধুদের সাথে একটা বন্ধু যোগ হয়েছিল, আর সেই ঈদ কার্ডটা দেখে দেখে আমি অনেক ফাল পেরেছিলাম।
আজ সেই সব ঈদ আর ঘটনা গুলো স্মৃতির আলমারিতে পরে আছে। মাঝে মাঝে বন্ধুরা ফোন করে বলে আমি নাকি স্বার্থপর হয়ে গেছি। আমি বলি কিছুটা তো বোধ হয় হয়েই গেছি। আসলে বুঝানো তো কঠিন হয়, প্রবাসে আসলে মানুষ কেন এমন হয়।
সময় ও স্রোত যেহেতো থেমে থাকে না সেহেতো বছর পেরিয়ে আবার ঈদ আসবে, আবার আনন্দ ফিরে আসবে, আবারো আমার কষ্টের দিন আসবে, আবারো চোখের পানির দিন আসবে।
ভাল থাকবেন সবাই। বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার সকল বাংলা ভাষীদের কে জানাই ঈদ মোবারক।