সরকারী নীতিমালা বা পাবলিক পলিসি এমনভাবে নেওয়া হয় যেখানে রাজনৈতিক মটিভ, গৌষ্ঠী স্বার্থ এবং যারা নীতি সিদ্বান্ত গ্রহন তাদের স্বার্থের দিকটি সবার উপরে থাকে। ‘পাবলিক চয়েস থিওরি’ অনুযায়ী একজন ব্যাক্তি যখন সিদ্বান্ত গ্রহন করেন তখন তার সর্বোচ্চ স্বার্থ কিভাবে ধরে রাখা তার চিন্তা করেন, অন্যের বেলায় কি ঘটছে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই থিওরির বাস্তব চিত্র অনেক উজ্জ্বল।
বাংলাদেশের পলিসি সবসময় এলিট-ফ্রেন্ডলি হয় কারন পলিসি ডিসিশিন নেয়া হয় সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক উচ্চ মহলের মাধ্যমে। আর তাঁরাই এলিট শ্রেনীর হয়ে থাকে। দেশ যারা শাসন করেন তাঁরা বেশির ভাগই বড় বিজনেস ম্যাগনেট, আইনজীবী, প্রভাবশালী মাফিয়া অথবা বড় সিন্ডিকেট প্রতিনিধি। ফলে বাংলাদেশের নীতি জনবান্ধব না হয়ে কিছু গৌষ্ঠীর জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠে। যেমনঃ- ঢাকার রাস্তায় যেসব ফ্লাই ওভার নির্মান করা হচ্ছে তা যানজট নির্মুল করবে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞজনদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে দেখা মতে ফ্লাইওভার সংশ্লিষ্ট জায়গায় জ্যাম আরো বেড়ে যায় তাতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ শ্রেণি আর এলিট শ্রেণি মনের উল্লাসে তাদের মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। আবার বিভিন্ন সড়কে রিক্সা চলালচল বন্ধ করা হয় কার স্বার্থে!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৭