ফিতনা ফাসাদের এই জামানায় ঈমান বাঁচানো কঠিনতম কাজ
পবিত্র কুরআনুল হাকিম ঘোষনা করেছে, কেয়ামত নিকটবর্তী। ইরশাদ হচ্ছে-
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। -সূরাহ আল ক্কামার, আয়াত-০১
The Hour (of Judgment) is nigh, and the moon is cleft asunder.
আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনার আলোকে কেয়ামতের আলামতগুলো একে একে প্রকাশও পেয়ে চলেছে। আমরা দেখছি, ফিতনা ফাসাদের বহুরূপী প্রকাশ আমাদের সামনে ক্রমশঃ অবারিত হচ্ছে। ঈমানের জমিনে চলছে প্রচণ্ড খড়া, অকল্পনীয় আকাল। ভয়াবহ এই সময়ের ব্যাপারেই হয়তো প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন যে, সকাল বেলা ঈমান নিয়ে ঘর থেকে মানুষ বেরিয়ে যাবে আর সন্ধ্যা বেলা ঈমানের বিনিময়ে দুনিয়া ক্রয় করে বেঈমান হয়ে ঘরে ফিরে আসবে।
পদের লোভ, অর্থ বিত্ত আর ক্ষমতার মোহ নীতি নৈতিকতাকে তো ধ্বংস করেই, মানুষের ঈমান পর্যন্ত বিপর্যস্ত করে দেয়। এসবের প্রতি অন্ধ প্রেম আর দুরন্ত টান মানুষকে বিধ্বস্ত বিধ্বংসী অমানুষে রূপান্তরিত করে দেয়। সাধারণ মানুষের কথা আর কি বলা যায়, আলেম উলামা পীর মাশায়েখের সোহবত সাহচর্য অবলম্বন করেও অনেকে এসবের সর্বগ্রাসী খপ্পর থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারেন না।
হাদিসে এসেছে, 'শেষ যুগে ঈমান ধরে রাখা হাতে জ্বলন্ত কয়লা হাতের মধ্যে ধরে রাখা হতে কঠিন হবে'। -তিরমিজি-২২৬০
সেই সময়টা কি এখনও অনেক দূরে?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের ঈমানের হেফাজত করুন। প্রত্যেক বাতিলকে বাতিল বলার সৎ সাহসে আমাদের হৃদয়কে পূর্ণ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৭