প্রাচীন ইউরোপ: দানিয়ূব নগরীর সভ্যতা (খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০-৩৫০০ অব্দ)।
ভ্রমন; ব্যস্ত জীবনে যেন এক টুকরো স্বস্তির নি:শ্বাস
আলহামদুলিল্লাহ। ভ্রমন ব্যস্ত জীবনে সত্যি যেন এক স্বস্তির নি:শ্বাস। জীবন যখন হাপিয়ে ওঠে, অনবরত কর্মব্যস্ততার ফলে যখন জীবনকে মনে হতে থাকে একঘেয়ে-নির্জীব-বৈচিত্রহীন তখনই ভ্রমন হয়ে ওঠে শরীর-মনকে সতেজ-সতস্ফুর্ত করার অনিবার্য অনুসঙ্গ।
ইসলাম পর্যটনকে কিভাবে দেখে?
ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে ইসলাম উৎসাহ দিয়েছে। মানব জীবনে শখ-আহলাদের বিষয়গুলোর মধ্যে পর্যটন অন্যতম। বলা চলে, বেড়াতে যাওয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ স্বভাবজাত। স্বভাব অনুকূল ধর্ম ইসলামও পর্যটনকে ইতিবাচকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে পর্যটন নিছক বিনোদনের উপাদন নয়; বরং ইসলাম পর্যটনকে দিয়েছে আরও বড় মর্যাদা। ইসলাম পর্যটনকে গ্রহণ করেছে মুক্ত জ্ঞানার্জন ও চিন্তার গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে মানব সৃষ্টির সত্যিকার স্বার্থকতা ও সফলতা হলো মানুষ নিজ স্রষ্টা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পরিচয় লাভ করবে। আল্লাহ পাকের বড়ত্বকে হৃদয়ের গভীর থেকে উপলব্ধি করবে। সর্বোপরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসবে ও মান্য করবে।
আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভের সহজ উপায় হলো- গভীর চিন্তাশীলতার সঙ্গে পৃথিবীতে বিচরণ করা। জমিন-আসমান এবং জল-স্থলে ছড়িয়ে থাকা অগণিত প্রাকৃতিক কুদরত স্বচোক্ষে অবলোকন করে মানুষের মন অবচেতনভাবেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার প্রতি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ে। বিনম্র সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালার’ প্রকৃতি অধ্যয়ন করে আল্লাহ পাকের সৃষ্টির বিশালতার যে পরিচয় হৃদয় থেকে উপলব্ধি করা যায়- তা চার দেয়ালের পাঠশালা কিংবা পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়ন করে সম্ভব হয় না। তাই তো মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তার পবিত্র কালামে ইরশাদ করেছেন,
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘আপনি বলুন, তোমরা বিশ্বে ভ্রমণ করো। প্রত্যক্ষ করো, আল্লাহ কিভাবে এ সৃষ্টিজগতকে সৃজন করেছেন। এবং কিভাবে আবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু করার সামর্থ্য রাখেন।' -সূরা আনকাবুত : ২০
অনেক মানুষ সম্পদে, প্রযুক্তিতে, জনবলে সমৃদ্ধি অর্জন করে অহংকারী হয়ে যায়। ঔদ্ধত্যের চরম সীমায় পৌঁছে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা বেমালুম ভুলে যায়। স্রষ্টার দেওয়া সীমা লংঘন করতে থাকে। নির্যাতন, অবিচার, জুলুম, ব্যাভিচারসহ বিভিন্ন অশ্লীল, গর্হিত কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। স্রষ্টার কাছে জবাবদিহীতার কথা ভুলে যায়। বারংবার সতর্ক করার পরও যখন তারা সতর্ক হয় না, ইনসাফপূর্ণ শালীন জীবনব্যবস্থায় ফিরে আসে না- তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদের নানাভাবে ধ্বংস করে দেন। আদ, সামুদ, কওমে লুতসহ খোদায়ী শাস্তিপ্রাপ্ত এমন অনেক জাতি পৃথিবীতে অতীত হয়েছে। মহান বারি তাআ'লার অমোঘ নিদর্শন হিসেবে ওই সব সম্প্রদায়ের এলাকার অনেক অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনও অবশিষ্ট আছে। যা ভেতর শিক্ষনীয় রয়েছে প্রত্যেক অবাধ্য জাতির জন্য।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহর গজবে নিপতিত এসব এলাকা সফর করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। জুলুম ও অশ্লীলতার সীমা লংঘন করলে পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে- তা প্রত্যক্ষ করতে আদেশ করা হয়েছে। এসব এলাকা ভ্রমণ করে আল্লাহর গজবের কথা স্মরণ করলে মানুষ শালীন হবে, বিনয়ী হবে, স্রষ্টার অনুগত হবে।
এ প্রসঙ্গে সূরা আনআমের ৬ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
أَلَمْ يَرَوْاْ كَمْ أَهْلَكْنَا مِن قَبْلِهِم مِّن قَرْنٍ مَّكَّنَّاهُمْ فِي الأَرْضِ مَا لَمْ نُمَكِّن لَّكُمْ وَأَرْسَلْنَا السَّمَاء عَلَيْهِم مِّدْرَارًا وَجَعَلْنَا الأَنْهَارَ تَجْرِي مِن تَحْتِهِمْ فَأَهْلَكْنَاهُم بِذُنُوبِهِمْ وَأَنْشَأْنَا مِن بَعْدِهِمْ قَرْنًا آخَرِينَ
‘তারা কি দেখেনি যে, আমি তাদের পুর্বে কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদেরকে আমি পৃথিবীতে এমন প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলাম, যা তোমাদেরকে দেইনি। আমি আকাশকে তাদের উপর অনবরত বৃষ্টি বর্ষণ করতে দিয়েছি এবং তাদের তলদেশে নদী সৃষ্টি করে দিয়েছি, অতঃপর আমি তাদেরকে তাদের পাপের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদের পরে অন্য সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছি।’
আর সূরা আন নামালের ৬৯ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ
‘বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো। পাপীদের পরিণতি প্রত্যক্ষ করো।’
সূরা রুমের ৪২ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِن قَبْلُ كَانَ أَكْثَرُهُم مُّشْرِكِينَ
‘বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো। তোমাদের পূর্ববর্তীদের পরিণতি প্রত্যক্ষ করো। যাদের অধিকাংশই ছিলো মুশরিক।’
ইসলাম পর্যটনকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সত্য। কিন্তু ইসলাম কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়িকে পছন্দ করে না। সীমালংঘনের অনুমতি দেয় না। বর্তমান পৃথিবীর অনেক দেশ পর্যটন শিল্পকে রেমিটেন্সের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছে। রেমিটেন্সকে বেশি গুরুত্ব দিতে যেয়ে নীতি-নৈতিকতা ও শালীনতার অনেক প্রাচীর অনায়াসে অতিক্রম করেছে। সুন্দর মননশীল এবং সর্বোপরি সভ্য একটি পৃথিবীর আলোকিত ভবিষ্যতের জন্য এ বিষয়টি কোনোক্রমেই শুভ ও কল্যাণকর হতে পারে না। তাই শালীনতার গন্ডি অতিক্রম না করে, ইজ্জত আব্রু বজায় রেখে পর্যটনকে জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টা জোরদার হওয়াটাই কাম্য।
ইসলামে পর্যটনের গুরুত্ব
পৃথিবীতে মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক তথা কর্মজীবনের দায়দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্লান্ত, শ্রান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই মানসিক শান্তির পাশাপাশি আল্লাহর সৃষ্টি অবলোকন করার মানসে মানুষ চায় কোথাও না কোথাও ঘুরে বেড়াতে। দেখতে চায় আল্লাহর সৃষ্টি নির্দশন। আল্লাহর নির্দশন দেখায় কুরআনের কথাগুলো তুলে ধরা হলো-
আল্লাহ পাক বলেন- قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
'(হে রাসূল) আপনি বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।' (সুরা আনকাবুত : আয়াত ২০)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা অন্যত্র বলেন-قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِكُمْ سُنَنٌ فَسِيرُواْ فِي الأَرْضِ فَانْظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذَّبِينَ - هَـذَا بَيَانٌ لِّلنَّاسِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةٌ لِّلْمُتَّقِينَ
'তোমাদের আগে অতীত হয়েছে অনেক ধরনের জীবনাচরণ। তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের পরিণতি কি হয়েছে। এই হলো মানুষের জন্য বর্ণনা। আর যারা ভয় করে তাদের জন্য উপদেশবাণী।' (সূরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৭-১৩৮)
ইসলামি চিন্তাবিদগণ বলে থাকেন, পর্যটন হলো জ্ঞানসমুদ্রের সন্ধান। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন তথা শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য ভ্রমণ করা খুবই উপকারী।
এজন্যই হজরত শেখ সাদি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, দুনিয়াতে দুই ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী- ১. ভাবুক বা চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং ২. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।
বস্তুত পক্ষে পর্যটনের ধারা হজরত আদম আলাইহিস সালাম-এর সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা যা নবি ও রাসূলদের বাস্তব জীবনে ঘটিয়ে দেখিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইসরা বা মিরাজও এ পর্যটনের অন্তর্ভূক্ত। তাইতো পৃথিবীর আদি থেকে অদ্যাবধি ইতিহাসের পাতায় অসংখ্য জ্ঞানী-গুণী, পণ্ডিত, নবী-রাসূলের নাম পাওয়া যায়, যাঁরা পৃথিবীর নানা প্রান্ত ভ্রমণ করে ভ্রমণেতিহাসে অমর হয়ে আছেন। যার গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে কারিমায়।
ভ্রমণের উপকারিতা-
ক.মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও আত্মার প্রশান্তি লাভ
খ. আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা লাভ
গ. প্রাকৃতিক তথা জীব বৈচিত্রের স্বভাব-চরিত্রের ধারণা
ঘ. সৃষ্টির সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা অর্জন
ঙ. ভ্রাতৃত্বের বন্ধন শক্তিশালী করণ
চ. সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে নানামুখী জ্ঞান অর্জন
ছ. সর্বোপরি আল্লাহর হুকুম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর পরিচয় লাভ ও নৈকট্য অর্জন।
ভ্রমণে করণীয়-
ক. আল্লাহর সাহায্য কামনা করে ভ্রমণে বের হওয়া
খ. একাধিক ব্যক্তি এক সঙ্গে ভ্রমণ করলে একজনকে দলনেতা বানানো
গ. ভ্রমণে ইবাদতের নিয়ম কানুন জেনে নেয়া
ঘ. রাস্তার হক তথা পর্দা মেনে চলা
ঙ. অবৈধ ও গর্হিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা
চ. সর্বোপরি দর্শণীয় স্থান সমূহ দেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।
ভ্রমণে বর্জণীয়
ক. রুচি বহির্ভূত পোশাক পরিহার করা
খ. বৈধ অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণে বের না হওয়া
গ. ভ্রমণে অপচয় না করা
ঘ. নিষিদ্ধ ও অবৈধ কথা-বার্তা, আচার-আচরণ পরিহার করা
ঙ. আল্লাহর নির্দশন বহন করে তথা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনকারী জিনিস নষ্ট না করা
চ. সব ধরনের অনিষ্ট হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাওয়া।
পরিশেষে...
নিষিদ্ধ কোনো বিষয়কে প্রশ্রয় দিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মানসিকতা ইসলাম সমর্থন করে না। প্রাকৃতিক নৈসর্গ পানে পর্যটকরা এমনিতেই আসবে। সৌন্দর্য্য উপভোগের মানসে তারা ছুটে আসবেন। প্রকৃতির প্রেমই তাদের টেনে নিয়ে আসবে। পর্যটক আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে অনৈতিক সুবিধাদির পথ উম্মুক্ত করে দেয়া কিংবা অশ্লীলতা বেহায়াপনাকে শিল্প বলে চালিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস কিছুতেই কাঙ্খিত হতে পারে না। সৌন্দর্য্য পিয়াসীগন অবারিত সৌন্দর্য্যের হাতছানিকে উপেক্ষা করতে পারেন না। অবৈধ কিছু না থাকলেও তারা আসবেন। দরকার শুধু পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদিগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করা। সেগুলো নিশ্চিত করা। পর্যটনের স্থানগুলোতে পানাহার ও বিশ্রামের মানসম্পন্ন ব্যবস্থা করা।
পবিত্র কুরআনুল কারিমের সূরা সাবার ১৮ নং আয়াতে পর্যটন শিল্পের এ দু’টি বিষয়ের দিকে ইশারা করা হয়েছে। যেমন-
وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْقُرَى الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا قُرًى ظَاهِرَةً وَقَدَّرْنَا فِيهَا السَّيْرَ سِيرُوا فِيهَا لَيَالِيَ وَأَيَّامًا آمِنِينَ
'তাদের এবং যেসব জনপদের লোকদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং সেগুলোতে ভ্রমণ নির্ধারিত করেছিলাম। তোমরা এসব জনপদে রাত্রে ও দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর।'
সাবা সম্প্র্রদায়ের ওপর নিজের অনুগ্রহের বিবরণ দিতে যেয়ে মহান আল্লাহ তাদের বাণিজ্যিক সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর দু’টি অনুগ্রহের কারণে তারা বহুদূরের শাম দেশে যেতে পারত এবং সফল ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ রাখত। প্রথমতঃ আল্লাহ তাদের পথ নিরাপদ করে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়তঃ যাত্রাপথে তাদের দুপুর ও রাতের বিশ্রামের জন্য দুপুর ও রাতের প্রতিটি দূরত্ব অন্তর অন্তর পথের পাশেই জনপদ তৈরি করে রেখেছিলেন।
নিছক বিনোদন নয়, নিছক চিত্তরঞ্জন কিংবা সময় কাটানো নয়, অঙ্গীকার হোক এটাই যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি সম্পর্কে যে বিবরণ দিয়েছেন পর্যটনের মাধ্যমে তা অবলোকন করে ঈমান ও আমলকে মজবুত করা। দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করা। ভ্রমণের মাধ্যমে কুরআন ও সুন্নাহর আলো ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া। আল্লাহ তাআলা ভ্রমণেও মানুষকে উত্তম কথা ও কাজ করার তাওফিক দান করুন। ভ্রমন যেন নিছক পার্থিব আনন্দের কারণ না হয়ে পারকালীন মুক্তিরও পাথেয় হয়ে যায়, হে আল্লাহ, আপনি দয়া করে সে কিসমত আমাদের প্রত্যেককে দান করুন। আমিন।
ছবি: অন্তর্জাল।
মহেঞ্জো দারো -এর প্রাচীন সভ্যতার চিত্র (The Lost Civilization of Mohenjodaro)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:২৯