।।নাসীমুল বারী।।
সাদরা- আমার রক্ত প্রবাহের গতিধারা। আমার পৈত্রিক গ্রাম-ভিটা। ডাকাতিয়া নদের কোল ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নীল গ্রাম- সাদরা। জন্মাই নি, তবে রক্তের টানের প্রাবল্য জন্মের চেয়েও কম নয়। শৈশব আর প্রথম পাঠশালাটা সাদরাতেই- সাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। লেখার হাতেখড়িও সাদরাতেই। আজকের মত অফসেট কাগজে নয়- আগুনে সেঁকা কলাপাতায়। কচি সিমপাতা পাতিলের নিচে ঘসে তৈরি করা কালিতে বাঁশের কঞ্চির কলমে সেই সেঁকা কলাপাতায় লেখার হাতেখড়ি দেন দাদি। দাদির আদরমাখা শাসনগুলো আজও চোখে ভাসে। তারও অনেক পরে শ্লেট-পেন্সিল। তারপর - - -। তারপর বন-বাদারে ঘুরে বেড়ানো, পাখির ছানা পাড়া, লালপিঁপড়ার কামড়ে গাছ থেকে পড়ে হাত ভাঙা, সাঁতারকাটা, হাতিয়ে পুকুর-খালে মাছ ধরা, কোন্দা (তালের নৌকা) বাইতে গিয়ে উল্টে পড়া- আরো কত কি!
এখন! এখনও মন টানের সাদরার প্রতি। কিন্তু কর্ম, সংসার আর বাস্তবতায় বিগত ৪/৫ বছর যাওয়া হয় নি সাদরায়। মনে হয় বন্দি জীবন যাপন করছি।
নিজ গ্রামের প্রতি এমনি নাড়ির টান নিশ্চয় সবাই অনুভব করে।