ছবি: নেট।
এই শহরের চারদিকে এক অসহ্য ক্লান্তি জেঁকে বসেছে;
সবকিছুই চলছে কিন্তু কী যেন নেই!
কী যেন নেই!
অসহ্য এক অবসাদে পুরো শহরটা ছটফট করছে।
তারপরও ধুকে ধুকে বেঁচে আছে এই শহর;
বেঁচে আছে মর্গের ফ্রিজে রাখা বেওয়ারিস লাশ গুলোর মত।
ওরা নিথর তবুও স্বপ্ন দেখে,
ওরা স্বপ্ন দেখে মুক্তির,
কেউ আসবে ওদের মুক্ত করতে!
এই সাফোকেশনের যেন শেষ নেই,
চারদিকে ক্যানিবাল জানোয়ারের ছড়াছড়ি।
ক্যানিবাল জানোয়ার গুলো খুবলে খুবলে খাচ্ছে
মর্গে রাখা ওই অগণিত বেওয়ারিস লাশ গুলোকে।
ওরা লাশ খায়;
কিন্তু কঙ্কাল গুলো জমিয়ে রেখে,
তৈরি করে নরকঙ্কালের এক ধূসর মসনদ।
ওই নরকঙ্কালের মসনদে বসে থাকে ওদের মহারানি।
মহারানি শবসাধক; অস্থির অঙ্গারে সাজিয়েছে তার নরকপুরী!
অলিতে-গলিতে বেশ্যা পল্লিতে,
ওই ক্যানিবাল জানোয়ার গুলো ঘুরে বেড়ায়।
যেখানেই লাশ দেখে; খুবলে খায় হায়নার পালের মতো।
একদিন সব লাশ শেষ হয়ে যাবে,
শেষ হয়ে যাবে;
এই শহরের শরীর ঘেঁষে বয়ে চলা দূষিত নদীটির সব পানি।
শেষ হয়ে যাবে লাল-সবুজের সমস্ত মঞ্চ নাটক!
তখন তোরা কী খাবি?
তোদের মহারানির শবসাধনা তখনও চলতে থাকবে।
যে শব এর বুকের ওপর বসে তোদের মহারানি সাধনা করছে;
ওই শব একদিন গলা টিপে হত্যা করবে তোদের মহারানিকে!
তোদের মহারানির নিথর মুখে থুথু ছিটিয়ে দিয়ে বলবে;
তোকে জন্ম দেওয়াই আমার আজন্ম পাপ!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৩