উদ্যোক্তা অলিম্পিয়াড (নাম বদলাতে পারে) বা উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কিছু কাজ করার চিন্তাভাবনা চূড়ান্ত করেছি। আমার কয়েকটি নোট এবং ব্লগ লেখাতে (Click This Link) অনেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছেও ব্যক্ত করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাই।
বিগত কিছুদিন এ বিষয়ে আমাদের হোমওয়ার্কের একটি সার-সংক্ষেপ নিচে দিলাম :
১. দেশে ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা সম্পর্কে খুব বেশি ভাল মনোভাব নেই। একটি কারণ হলো অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট, অতি মুনাফালোভ ইত্যাদি। সাধারণভাবে সকলে, বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত বেশী, চাকুরী করতে চায়।
২. সমাজে উদ্যোক্তা, শিল্পদ্যোক্তাদের কাছে কেহ যখন যায় তখন তিনি ধরে নেন যে তার কাছে চাঁদা চাইতে আসা হয়েছে।
৩. গণিত অলিম্পিয়াডের সঙ্গে এর একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। গণিতের কিছু ডিরেক্ট এপ্রোচ আছে। এখানে নেই।
৪. উদ্যোক্তাদের আসলে খুঁজে বের করতে হবে। তাহলে এই অলিম্পিয়াড করা যাবে।
৫. এ কর্মসূচীর নাম অলিম্পিয়াডই হতে হবে এমন কোন কথা নেই।
৬. কেবল একটি সেক্টর (যেমন আইটি)-এর পরিবর্তে সব ধরণের সেক্টরের কথা শুরুতে বলতে হবে। পরে, আমরা হয়তো কয়েকটি সেক্টরে বেশি মনোযোগ দিতে পারবো।
৭. শহরের চেয়ে গ্রামীণ বেকারত্বের হার অনেক বেশী। কাজে, জোর দিতে হবে সেখানে।
৮. সব কাজই যে আমাদের নিজেদের করতে হবে, এর কোন দরকার নেই। যে যেখানে কাজ করছে, তাদের সঙ্গেই আমরা কাজ করতে পারবো (যদি তারা দয়া করে আমাদের সঙ্গে নেন)।
৯. আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করারও কিছু নাই। কাজ তাই শুরু করা হয়েছে যেমন গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্যোক্তা পর্ব। এবারের গণিত অলিম্পিয়াডের শ্লোগান আমরা চাকরি করি না, চাকরি দেই। এ কারণে এবার সব অলিম্পিয়াডে হাজির থাকছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। আমরা তাঁকে আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। তিনি তাঁর সংগ্রামের, সফল হওয়ার কথাটি বলেন। যখনই নির্বাচিত উদ্যোক্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তখন তিনি প্রথমে বিস্মিত হোন। পরে সবাই অবশ্য খুশী হয়েছেন।
কাজে আমরা কয়েকজনকে বলেছি কাজে নেমে পড়তে। আপাতত: কয়েকটি কাজ করতে হবে---
১. একটি সেমিনার/বৈঠক/আড্ডার পরিকল্পনা : এটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা শহর এমনকী কোন গ্রাম এলাকায়ও হতে পারে। আমাদের সেট কিছু বক্তৃতা, ভিডিও কিংবা অন্যান্য উপকরণ থাকবে।
২. একটি আধাবেলার কর্মশালা যেখানে তিনটি সেশন থাকবে - মোটিভেশন, সম্ভাবনার ক্ষেত্র এবং একসেস টু ফাইন্যান্স।
৩. এসএমই বিষয়ক কিছু জরুরী টিপস
৪. গোটা কয়েক বুকলেট যেমন কেমন করে একটি বিপনন প্রতিষ্ঠান গড়তে হয়, আউটসোর্সিং করলে কেমন করে লিগাল এনটিটি খুলবেন - এসব
৫. উদাহরণ সৃষ্টির জন্য লেগে পড়া (উৎসাহীদের খুজে বের করে সহায়তা দেওয়া)
শেষ কথা: আমাদের কাজগুলো কীভাবে সমন্বয় হবে?
এটি এখনো আমরা ফাইনাল করি নাই। মানে ভাবি নাই আর কি। এটিও ভাবতে হবে।
কাজে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের এই আলোচনাটাও করতে হবে।
তো। হয়ে যাক।