১। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কাল মুক্তি পেয়েছে ভারতীয় সিনেমা RRR. প্রযুক্তির কল্যাণে দেখার সুযোগ পেয়েছি ঢাকায় বসেই! সিনেমা দেখে বিনোদন পাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আদর্শ এক সিনেমাই এই আর আর আর। আমার আগ্রহ ছিলো নাচো নাচো গানের কোরিওগ্রাফি। চোখ ধাঁধানো সুন্দর! একশন দৃশ্য, বিশেষ করে শেষের দিকে ভীমের কাঁধে বসে রামের লড়াই অভূতপূর্ব! রাম আর ভীমের একশনকে হিন্দু পৌরাণিক রূপে ফুটিয়ে তোলার জায়গাটাও ছিলো এক কথায় অসাধারণ! অবশ্য বাহুবলীর নির্মাতা রাজামৌলির পরিচালনা আর জুনিয়র এনটিআর এবং রামাচারণের অভিনয়ে ধুমধাড়াক্কা থাকাই স্বাভাবিক। তেলেগু সিনেমার দুই মহা তারকা এই দুজন। দুজনের পরিবারই ভারতের সিনেমা জগতে মেগাস্টার পরিবার। জুনিয়র এন টি আরের দাদা এন টি আর রামা রাও প্রবাদতুল্য তারকা, ছিলেন আন্ধ্রা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রামাচারান নিজে সুপার স্টার , বাবা চিরঞ্জিবি মহা সুপার সটার, চাচা পাওয়ান কাল্যাণ আরেক সুপার স্টার। কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়া তাঁর সিনেমা ভীমা নায়েক দেড়শো কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে ফেলছে ইতিমধ্যে।
পুরো সিনেমায় দুই একটা জায়গায় গ্রাফিক্স আর স্পেশাল ইফেক্টসের বাড়াবাড়ি আছে বটে। এর পরেও ৪৫০ কোটি রূপি বাজেটের সিনেমা মুক্তির আগেই আয় করেছে ৪০০ কোটি! আর প্রথম দিনেই আয় করে ফেলছে ২৫৭ কোটি রূপি!
২। রাজামৌলির এই সিনেমা ইতিহাসের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি নয়, কিন্তু এর অন্যতম মূল পটভূমি জঘন্য-বর্বর-নৃশংস ইংরেজ শাসন। ইংল্যান্ড নামের ছোট এক দ্বীপের মানুষ কূটকৌশল আর নৃশংসতা দিয়ে লুট করেছে এই উপমহাদেশ। কত মানুষের কত ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে এই ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো! এই বাংলাদেশ স্বাধীন করতে প্রাণ হারিয়েছে কত মানুষ, সর্বষ্ব হারিয়েছে কত শত পরিবার! কিন্তু দেশের মানুষ কি সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে? মুক্তি পেয়েছে? আমাদের সমাজ কি বৈষম্য, অন্যায়, বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেয়েছে? নাকি কতিপয় বাটপার-বদমাশ পেয়েছে লুটতরাজের স্বাধীনতা? আমার দেশ্বের মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতা পাক, এই কামনা করি।