somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুক্তমনা ব্লগার
কেহ বিশ্বাস করে, কেহ করে না। যে বিশ্বাস করে সেও সত্য-মিথ্যা যাচাই করে না, যে অবিশ্বাস করে সেও না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নটা নির্ভর করে মানুষের খুশির উপর। ধর্মান্ধতা নিপাত যাক, মুক্তচিন্তা মুক্তি পাক।

ইন্টারনেটে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করলে যাবজ্জীবন সাজা ও কোটি টাকা জরিমানা - আপনার মতামত কি ?

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইন্টারনেট সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননাকারীর সাজা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমনা। আর এ অপরাধের বিচার হবে সাইবার ক্রাইম ট্রাব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির বাধ্য-বাধকতা থাকছে নতুন এ আইনে। বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকে অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে।
এমন বিধান যুক্ত করে সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’ নামের একটি নতুন আইনের খসড়া তৈরি করেছে। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্যই ইতিমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পেশ করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
খসড়া আইনের ১৫ নম্বর ধারার ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে যে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিষয়াবলি বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার প্রপাগাণ্ডা, প্রচারণা বা তাহাতে মদদ প্রদান করে তাহা হাইলে উক্ত ব্যক্তি, সত্ত্বা বা বিদেশি নাগরিক ডিজিটাল সন্ত্রাসী কার্যসংঘটনের অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।’
মুক্তিযুদ্ধ বা বঙ্গবন্ধু অবমাননায় মদদ দেওয়ার বিবরণ দিয়ে খসড়া আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, ইমেইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, রিসোর্স বা সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ। কোনো ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিবার ক্ষেত্রে মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রহিয়াছে তিনি সেই দণ্ডেই দণ্ডিত হইবেন।’
মুক্তিযুদ্ধ বা জাতির জনকের অবমাননাকারীর সাজা হবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্যূন তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান থাকছে এ আইনে। এ বিষয়ে আইনের ১৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বিদেশি নাগরিক দ্বারা আইনের ১৫ নম্বর ধারার ২,৩,৪ ও ৫ নম্বর উপধারা এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করেন তাহা হইলে তিনি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্যূন তিন বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’
উক্ত অপরাধের বিচার হবে বিদ্যমান সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে। প্রস্তাবিত আইনে এ বিষয়ে ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ অনুযায়ী গঠিত সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার আপিল ট্রাইব্যুনালেরবিধান এ আইনেও প্রযোজ্য হইবে।’
মামলা বিচারের বিষয়ে বলা হয়েছে যে, ‘এই আইনের অধীনে মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কার্য সমাপ্ত করিবেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি উহার কারণ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া সময়সীমা অনধিক আরো ৯০ দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।’
এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অজামিনযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করে আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘আইনের ধারা ১৫ (ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা বঙ্গবন্ধুর অবমাননা) এর অপরাধ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হইবে।’

news link: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:২৫
৮টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×