ব্লগে ধর্ম নিয়ে লেখা আমার বৈশিষ্ট্য নয়। কারনটা এর প্রতি অনিহা নয়, এর গ্রহনযোগ্যের ক্ষমতা। কারন, ব্লগে যেসব ব্লগার ধর্মিয়-লেখা নিয়ে (কপি-পেষ্ট মুলক) সারাদিন পরে থাকে, তাদের লেখা পড়লে অন্তত তাই মনে হয়।
তবে এখানে আমি ধর্মের নতুন কোন মতবাদ বা এরকম কিছু বলে নিজের জ্ঞান জাহির করতে আসিনি।
ধর্মিয় বয়ান কপি-পেষ্ট মাইরা মাইরা যেসব গালিগালাজ-পূর্ণ ঈমানদার মুমিন বন্দারা ইসলামের বিভিন্ন দিক (মূলত তাদের মতামত) কে উপস্থাপন করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য করেও কিছু লিখতে আসিনি।
আর ব্লগে অনেক ব্লগার আছেন যারা কখনই ধর্মিয় লেখা লেখেন না, কিন্তু তাদের ধর্মিয় যুক্তি ও উপস্থাপন খুবই সুন্দর।
তবে, ব্লগে ইদানিং যে হারে ধর্মিয় বয়ানের নামে নর্দমা-টাইপের নিজস্ব-মতামত শুরু হয়েছে, তাতে আমার একটি বিষয় বলতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। তবে, ধর্মিয় লেখা পোষ্ট করা, (যুক্তিতে না পেরে গালিভরা ও মারার হুমকি-ধামকি দেয়া) ঈমানদার আল্লার প্রিয় ও নেক বন্দাদের কে এ পোষ্ট পড়ে আগে দু'বারের বেশি ভেবে কমেন্ট করবেন আশা করছি।
...................................................................................................
কথা হলো আই মিন প্রশ্ন হলো, আমরা যে নামাজ-রোজা ইত্যাদি ধর্মিয় অনেক কাজ করি, তা কি ইবাদাত?
-আমার উত্তর হচ্ছে, "না"। এগুলো কখনই ইবাদাত নয়।
নামাজ পড়া যদি ইবাদাত হয় তাহলে সূর্য উঠার সময় আপনি নামাজ পড়েন!
রোজা রাখা যদি ইবাদাতই হয়, তাহলে ঈদের দিন রোজা রাখেন!
মূল কথা হলো, মহান আল্লাহ যেসব কাজ করার আদেশ করেছেন তা পালন করা আর যেসব কাজের নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকাই হলো ইবাদাত।
তাহলে এখন বুঝা যাচ্ছে যে শবে বরাতের নামাজ পড়া কেন যায়েজ নয়। ঐ রকম ভুয়া ধর্মিয় ইভেন্টের নামে নামাজ না পড়ে, সে রাতে এমনি নফল নামাজ পড়লে সমস্যা নেই। তবে শবে-বরাত দেখে এ উদ্দেশ্যে কেউ নামাজ আদায় করলে তা শরীয়তে নতুন বিধান চালু করার মতোই কাজ হবে।
................................................................................................
আরেকবার কিছু হাম্বা-টাইপ মুমিন বন্দাদের চ্যাতাইয়া দিলাম মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১৯