somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

বর্তমান কলরেটঃ ভোগান্তি নাকি স্বস্তি!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বিষয়টি বর্তমান সময়ের একটি চলমান ইস্যু।একটা উক্তি দিয়ে আমি আমার লেখা শুরু করলাম, আর তাহলো,
“কলরেট নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই, আমার তো ইমু আছে।”
-জৈনিক ভদ্রলোক

এই কথা বলার মানে আবার এই নয় যে, আমি ইমু কে ব্রান্ডিং করছি অথবা কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কে।অন্যদিকে যারা বলছেন, আমাদের ইমু আছে! তাদের কি ডাটা চার্জ পে করতে হয় না? যদিও ইন্টারনেট ভ্যাট ১৫% থেকে ৫% করেছে বি.টি.আর.সি।
যাইহোক, বেশি মনে হোক অথবা কম মনে হোক এটাও যার যার ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব অবস্থান থেকে মতামত।কিন্তু আমরা আজ শুধুই কথা বলবো বি.টি.আর.সির পরিবর্তিত কল রেট নিয়ে।


এই আর্টিকেলটি লিখছি মধ্যবিত্তদের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে।কারণ আমার মতে, মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি হিসেবি হয়।আর একটি বিষয় আপনাদের কাছে পরিষ্কার করছি,
অন-নেটঃ এর মানে হলো একই অপারেটর।অর্থ্যাৎ গ্রামীনফোন টু গ্রামীণফোন বা রবি টু রবি ইত্যাদি বোঝায়।
অফ-নেটঃ এর মানে হলো ভিন্ন-ভিন্ন অপারেটর।যেমন, গ্রামীণফোন টু রবি অথবা রবি টু বাংলালিংক ইত্যাদি বোঝায়।
এখন কোন অপারেটর সবচেয়ে ভালো আর কোনটি সবচেয়ে খারাপ সেটা আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়।আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো, পরিবর্তিত কল রেট আমাদের জন্য স্বস্তি না কি ভোগান্তির নাম!

প্রথমেই কথা বলবো, গ্রামীণফোন বা জিপি অপারেটর নিয়ে।কারণ আমি নিজেও একজন এই অপারেটরের গ্রাহক।জিপির বেশকিছু প্যাকেজ ছিলো।যেমন, বন্ধু, ডিজুস,স্মাইল, নিশ্চিন্ত, আমন্ত্রণ ইত্যাদি।এসব প্যাকেজ এত ঘনঘন পরিবর্তন হয় যে, এসবের নামই মনে থাকে না।সুতরাং কলরেট মনে থাকবে কীভাবে! যদি মনে রাখতেও যাই তাহলে ছোটখাটো নয় বড়সড় হিসেব-নিকেশের খাতা নিয়ে বসতে হবে।যার জন্য আমাদের হাতে সত্যিই সময় নেই।যাকগে, আমি বন্ধু প্যাকেজ নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি।কারণ এই প্যাকেজটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।


এই প্যাকেজে এফ.এন.এফের একটা সুবিধা ছিলো।মোটমাট আঠারোটি এফ.এন.এফ করা যায় প্যাকেজটিতে।তার মধ্যে সুপার এফ.এন.এফ একটি।এবং এই নম্বরটি হতে হবে অন-নেট নম্বর।সুপার এফ.এন.এফের কলরেট ছিলো ২৫ পয়সা(ভ্যাট ব্যতীত) মিনিট।এছাড়া ১০ সেকেন্ডস্ পালস্।পুরো মিনিট কথা না বললে অযথা পুরো মিনিটের বিল দিতে হতো না।এবং বাকি সতেরোটি এফ.এন.এফ নম্বর অফ-নেট বা অন-নেট যে কোনো একটি হতে পারে।কিন্তু আমি বাকি এফ.এন.এফের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারছি না কারণ এসবের কলরেট প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়।কিন্তু আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, অফ-নেটে সর্বনিম্ন কলরেট ছিলো ৬০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ছিলো ১ টাকা ৪৫ পয়সা।আমরা যারা এই প্যাকেজটা ব্যবহার করেছি তারা খুব যত্নে কিছু প্রিয় মানুষদের নম্বর এই তালিকায় রেখেছি।অনেক বেছে বেছে সেই কাজটি আমাদের অনেকেই করেছেন।কারণ আমরা হিসেবি, আমি দাবী করে বলতে পারি মধ্যবিত্তরা ভয়ানক হিসেবি।


কিন্তু পরিবর্তিত কলরেট এখন কেমন সেটা একটু লক্ষ্য করি,
১৪ই আগষ্ট, হঠাৎ রাত থেকে পরিবর্তন হয়ে যায় এই কলরেট।বলা হয়, এখন আর কোনো অন-নেট বা অফ-নেট থাকবে না।সব অন-নেট।যেখানে নতুন কলরেট নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা মিনিট ভ্যাটসহ ৫০ পয়সা এবং যে কোনো নম্বরে সর্বোচ্চ ২ টাকা মিনিট।
এখন টেলিটকের ১০ শতাংশ কল অন-নেটে এবং বাকি ৯০ শতাংশ কল অফ-নেটে গেলে আমরা কি করতে পারি!


আমরা যারা, জিপি বা রবি বা বাংলালিংক অপারেটর ব্যবহার করছি তারা অন-নেটের কথা ভেবেই ব্যবহার করছি।এমনকি অধিক কলরেট যেন গুণতে না হয় সেজন্য পরিবার থেকে বন্ধু-বান্ধবি পর্যন্ত একই অপারেটর ব্যবহার করছি।বায়মেট্রিকের কথা না হয় বাদই দিলাম।দিনশেষে এত দৌড়াদৌড়ি আর এত হিসেব-নিকেশ করে যখন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে গেলাম ঠিক তখন অন-নেট বা অফ-নেট নামক কোনো বস্তুই নেই।দেখুন, এই অন-নেট বা অফ-নেট আপনারাই একদিন তৈরি করেছিলেন।আবার আজ আপনারাই বলছেন, এটা না কি সমস্যা!
তো সমস্যা সেটা আগে বুঝেন নাই ক্যান? আর এই পরিবর্তিত কলরেট নিয়ে আমরা এখন কোথায় যাবো? দেখা যাচ্ছে, কথা শেষ না হতেই ব্যালেন্স শেষ।সুপার এফ.এন.এফের প্রিয় মানুষটার সাথেও আর মন খুলে কথা বলা যাচ্ছে না।মনে হচ্ছে এই বুঝি ফতুর হলাম! ফোনকল একটু আটকে গেলে মনে হয় এই বুঝি ব্যালেন্স শেষ।আর বন্ধুদের ফোনকল করা হয়ে উঠে না।ভয় হয়, এই বুঝি ব্যালেন্সটা শেষ হয়ে যায়!



শেষান্তে একটা কথা বলবো, এই কলরেটে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে আমাদের কাছের বন্ধুদের সাথে।শহরে থাকা ছেলের মায়ের সাথে।আর রাতে অপেক্ষা করা হাজারো প্রেমিক-প্রেমিকার।এই যদি হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ! তাহলে হায়! দুরত্বই ভালো।এবং আমরা তবুও চুপই আছি বরাবরের মত।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যারা আমাকে বই উপহার দেন, আমি তাদের জন্য দোয়া করি।

লিখেছেন রিফাত-, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২১



আপনি যদি সেলফ হেল্প বা নন-ফিকশন বই পড়তে পছন্দ করেন, তবে আপনি হয়তো মিরাকেল মর্নিং, এটোমিক হ্যাবিটস, সেভেন হ্যাবিটস অফ হাইলি ইফেক্টিভ পিপল এসব বই পড়েছেন।

এই বইগুলো আপনি পড়ে থাকলে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে ‛অসহযোগী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত এবং......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

ভারতকে ‛অসহযোগী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত এবং......

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের অবিস্মরণীয় জয়ের পর ট্রাম্পের প্রশাসনে একের পর এক ভারতপন্থী লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন, যা দেখে ভারতীয়রাতো বটেই, এদেশীয় জোকার টাইপের ময়ূখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়কে কেবল ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে কট্টর হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গিয়ে একাত্তরের বিজয়কে কেবল ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমুঠো দুর্বলাঘাস

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৯


ঘুমিয়ে থাকা দুর্বলাঘাসের সাথে মিতলী
করতে যাচ্ছি; শীত উষ্ণ পথের ভেজা পায়-
উঠান হাহাকার দিয়ে উঠবে কোন সময়ের ক্ষণে!
আমি তার দর্শণ দিতে যাচ্ছি;ঢাকা,গাজীপুর হয়ে
টাঙ্গাইলের মেঠোপথ ধরে কুয়াশা ভেদ করে
এগিয়ে আসবো শুধু জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগে হট্টগলের কারন কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১০


তাবলীগ পন্থীদের সাধারণত কোন ধরনের ঝুটঝামেলায় দেখা যায়না। তারা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি করেনা। কারো সাথে নেই কারো পাছে নেই। তারা বাংলাদেশে শুধুমাত্র মুসলিমদের মাঝে ইসলামের আকিদার বিষয় নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×