somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)
নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার 'কলম'।

মানব জীবনের বৃত্ত

১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের জীবনটা হলো যোগ বিয়োগের খেলা।দুঃখ জরা, মৃত্যু, হতাশা,বিচ্ছেদ,বিরহ বাধা, বিপত্তি,সংগ্রাম, মৃত্যু ,জন্ম, প্রাপ্তি,আনন্দ, উচ্ছ্বাস ইত্যাদি দিয়ে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জীবন সাজানো ।এই নিয়মের বৃত্তের বাইরে পৃথিবীর একটি মানুষও নেই ।রাস্তার ফকির থেকে সিংহাসনের উপবিষ্ট রাজা বাদশা পর্যন্ত এই বৃত্তের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে মানব সৃষ্টির পর থেকে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে পৃথিবীর শেষ অবধি। আমরা জন্মের আনন্দ উপভোগ করতে ভালবাসি, যাবতীয় প্রাপ্তিতে গর্বিত হই ।আমাদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে শুধু পাওয়ার প্রত্যাশা, হারানোটাও যে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করিনা বা ভাবনায় রাখিনা।তাই হঠাৎ কোন দুর্ঘটনা বা বিয়োগের কবলে পরলে আমরা প্রথমেই ভেঙ্গে পরি, হতাশ হই।আমরা হারানো নিয়ে না ভাবলেও আমাদের প্রত্যেকের নিয়তিতে হারানোর বেদনা অবধারিত ভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে রয়েছে। এর তিক্ত স্বাদ গ্রহণ সবাইকেই করতে হয়।এছাড়া জীবন চলার পথে কোন প্রাপ্তির আনন্দকে ধরাও সহজ নয়, এটা উপভোগ করতে হলে বহু প্রতিবন্ধকতার পথ পারি দিয়ে সুখের গন্তব্যে পৌঁছেতে হয়। রাস্তার ফকিরের জীবনের সব চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ক্ষুধা নিবারণের অনিশ্চয়তা। এই অনিশ্চয়তা মাথায় রেখেই প্রতিদিন সে রাস্তায় নামে ক্ষুধা নিবারণের আনন্দ উপভোগ এবং জীবন রক্ষার তাগিদে ।ক্ষুধাকে জয় করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই তাকে যেমন হতাশায় নিমজ্জিত হতে হয় অপর দিয়ে রাষ্ট্রের মসনদে বসা রাষ্ট্রপতির ক্ষুধা নিবারণের চিন্তা না থকেলেও ক্ষমতা ও অবস্থান ধরে রাখার জন্য তাকেও রাজনীতির নানা প্রতিবন্ধকতা পথ পারি দিতে গিয়ে অনিশ্চয়তা ও দুরাশা দ্বারা গ্রাসিত হতে হয় প্রায় প্রতিনিয়ত ।একজনের ক্ষুধার নিবারণের অন্যজনের অবস্থান ধরে রাখার হতাশা দুরাশার জীবন । সমাজের এই উঁচু নিচু দুটি মানুষের দেহের আবরণের পোশাকের বৈচিত্র্যতার তারতম্য থাকলেও দেহের আকৃতি সমান এবং সেই দেহের মধ্যে অবস্থিত মস্তিষ্ক জীবন ভেদে যার যার অবস্থানে টিকে থাকার অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তামুক্ত নয়।আমরা রাষ্ট্রপতির জীবন যাপনের বহিরাবরণ দেখে সুখী মানুষ হিসেবে ভাবলেও ক্ষমতা হারানোর অনিশ্চয়তায় বিনিদ্র রাত্রি যাপনের সংখ্যা আমরা জানি না , আবার ফকিরের পোশাক দেখে দুঃখী মানুষ ভাবলেও শুধু রাতে উদরপূর্তির আনন্দে কত অসংখ্য রাত তার সুখনিদ্রায় পার হয় তাও আমাদের উপলব্ধিতে ধরা পড়েনা ।

সুতরাং,জীবন ভেদে অবস্থান যেখানেই হোক, সুখ দুঃখ, বিরহ বেদনা,প্রাপ্তি এবং হারানোর নিয়মের উপর মানুষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।।তাই এই বিষয়গুলো জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ভেবে প্রতিটি বিষয়কে আলিঙ্গন করার মানসিক পরিপক্বতা যে মানুষ অর্জন করতে পারে তার কাছে জীবন সহজ হয়ে যায়। যে কোন প্রতিবন্ধকতার সামনে থমকে দাঁড়িয়ে থাকা মানে দুমড়ে মুচড়ে স্থবির হয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে মাদার তেরেসা’র « জীবন হল » কবিতার প্রতিটি লাইন খুব অনুপ্রেরণার:

Life Is

Life is an opportunity, benefit from it.
Life is beauty, admire it.
Life is bliss, taste it.
Life is a dream, realize it.
Life is a challenge, meet it.
Life is a duty, complete it.
Life is a game, play it.
Life is a promise, fulfill it.
Life is sorrow, overcome it.
Life is a song, sing it.
Life is a struggle, accept it.
Life is a tragedy, confront it.
Life is an adventure, dare it.
Life is luck, make it.
Life is too precious, do not destroy it.
Life is life, fight for it.

জীবনে সুস্থতার পাশে থাকে অসুস্থতা,
অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতার আনাগোনা,
মিলন থাকলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা
পৃথিবীর একদিকে শান্তিতো অন্যদিকে যুদ্ধ
আবার দীর্ঘ দিনের শান্তির বসতি হারিয়ে মুহূর্তেই হতে হয় বাস্তুহারা ।
অবধারিত মৃত্যুরকে ঘাড়ের উপর রেখে যে জীবন চলে
সেই জীবনের শেষ নিশ্বাসের পূর্ব পর্যন্ত থাকে শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকার স্বপ্ন সংগ্রাম।
এটাই জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য ।

সর্বশেষ কথা হচ্ছে, মানব দেহের মধ্যে ধারণ করা জীবনটাই হচ্ছে আমাদের বড় সৌভাগ্যের প্রাপ্তি ।জীবনকে সহজ করতে জীবন চক্রের অবধারিত বিষয়গুলোকে জীবনে ধারণ এবং গ্রহণ করার শক্ত মানসিকতা তৈরি করা অন্যতম বড় দায়িত্ব ।যে মানুষ এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারে একমাত্র সেই মানুষের কাছেই পৃথিবীর স্বল্প সময় কালের জীবনে স্বর্গের অনুভূতি নেমে আসে।

সাম্য সম্মান সুন্দর ধরিত্রী
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৩:০৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×