ন্যাংটা বাবার দরবার ... ভক্ত আশেকান চ্যালা'রা বিশ্বাস করিয়া থাকে গু'য়ে ভাইটামিন আছে । কারণ ন্যাংটা বাবা স্বপ্নে তাহাই দেখিয়াছেন ... ভক্তরা গু' খায় ... মানুষের গু, পশু-পক্ষির গু তামাম জ্বাগতিক যা আছে।
আপনি তাহাদের বাধা দেয়ার কে মশাই ? আপনিই'তো বলিতেছেন বিশ্বাস'কে ধারন করতে ... অপর মানুষের বিশ্বাস'কে শ্রদ্ধা করতে ? তাহা হইলে ক্যাম্নে কি ? ... ভক্ত আশেকান'রা গু খাইয়া মরুক না ন্যাংটা বাবার ওরশে অপর জাহানের শান্তি খুজিয়া পাক ... ... আপনার কোন অধিকার নাই তাহাতে বাঁধা দেয়ার ।
আপনি বাঁধা দিলেন না । বাঁধা না পাইলে মানুষ লায় পায় ... ন্যাংটুর চ্যালা'রা শুধু নিজেরাই গু খাইয়া নিরস্ত থাকিলনা ... তাহাদের ছেলেপিলে বউ-ব্রাদার আত্মীয় স্বজন'কে গু খাওয়াইতে স্বক্রিয় হইলো ... ... কেননা অপর জাহানে তাকে একা গেলে চলিবে না ... তার পরিবার কূলের'ও দরকার আছে ।
আপনি যেহেতু মানুষের বিশ্বাস'কে শ্রদ্ধা করেন ... তাহাদের এহেন কর্মকান্ডে আপনি নিশ্চুপ'ই থাকলেন ।
তো ... ন্যাংটুর চ্যালা-প্যালা'দের অপর জাহান নিশ্চিত হইলে তাহা'দের চাহিদা বাড়িয়া গেল ... (ম্যান ইজ মরটাল = মানুষ মাত্রই সীমাহিন চাহিদাগ্রস্ত) ... অপর জাহানে দল ভারি না হইলে শান্তি নাই ... সুতরাং তাহারা তাহাদের পাড়াপড়শী ... মহল্লাবাসি সকল'কে গু খাওয়াইতে স্বচেষ্ট হইলো ... এবং স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ যেহেতু গু খাইতে অভ্যস্ত না তাই সেখানে জোর-জবস্তির প্রকপ দেখা দিল ...
না মশাই ... আপনার এখন'ও কোন অধিকার নাই তাহাদের নিবৃত্ত করা ... কারণ ঐ'যে ... "সর্ষের মধ্যেই ভুত নিহীত" ... আগেই আত্মসমর্পণ করিয়া বসিয়া আছেন এবং সগরবে উচ্চকিত আছেন ... "মানুষের বিশ্বাস'কে শ্রদ্ধা করতেই হবে"। ... এমনকি আপনার সন্তান'ও যদি ঐ চ্যালা'দের কুচক্রে পড়িয়া গু" খাইতে উদ্দত হয় তখন'ও আপনার কিছু করার অধিকার নাই ।
... তেলে তৈল হয় ... এই সাধারণ বিজ্ঞান, ঘটে থাকিলে উপলব্ধি করিতে কষ্ট হয় না ... কিসে কি হয় ।
সে কালে এলোপাথি না থাকি'তে হোমিওপ্যাথি'র জয় জয়কার ছিল ... গাথায় পড়া মানুষের হাতের কাছে ঐ বটিকাই শেষ সম্বল ... ভালোই চলিতেছিল ... হাজার হাজার মানুষ মরিলেও তো দুই তিনটা নির্ঘাত বাচিয়া ঊঠিত ... মন্দ কি ... আমি না হয় ঐ দুই'তিনটার কাতারে থাকিবো ... গিললাম বটিকা ... অক্কা পাইলে নিয়তির দোষ ... হোমিওপ্যাথির নয় ...
হোমিওপ্যাথি' যুগের আগে ছিল ... টোটকা'র যুগ ... স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষধের যুগ ... শিয়ালের অন্ডকোষের সাথে জোকের জরায়ু ভর্তা করিয়া খাওয়াইয়া দিলে পায়ুপথের কোষ্ট দূর হয় ... জ্বীনের বাল' আগুনে পুড়াইয়া পানের সাথে মিশাইয়া খাইলে হজম ক্লীয়ার ... গোমুত্র প্রতিদিন পূর্ণ দুই গ্লাস খাইলে মাথার কিডনী ভালো কাজ করে ... ... আর এক'হাত পুরুষাঙ্গের আশায় কত পুরুষ'যে পারদ খাইয়া অক্কা পাইয়াছে তাহা ... ব্রিটিশ সরকার'ও হিসাব-কূল রাখিতে পারেনাই ।
অতঃপর বাজারে এলোপ্যাথি আসিলে, প্রথম প্রথম টোটকা' আর বটিকা'র ব্যাবসায়ীরা ... হারে রে রে রে বলিয়া তাড়িয়া আসিলে ... এই মরতে মরতে বেচে যাওয়া মানুষ'গুলোই তাদের বটিকা তাহাদের পশ্চাৎ'দেশ দিয়া ঢুকাইয়া দিয়া বাড়ি পাঠাইয়া দেয় ...
বস্তু, বাস্তবতা এবং বিজ্ঞানের নিরীক্ষে ... মরতে মরতে বেচে যাওয়া মানুষ'গুলো বুঝতে পেরেছিল ... ঐ সকল স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষধ দিয়া আর বাঁচার উপায় নাই ... অথচ তাহারাই এককালে বিশ্বাস করতো ঐ সকল স্বপ্নে প্রাপ্ত মহাঔষধ ।
ইহা ঠিক, আগে তাহাদের বিকল্প ছিলনা ... । বিকল্প না থাকিলে ঠিক আছে ... তাই বলিয়া বিকল্প থাকিলেও আপনি যদি শুধু মাত্র বিশ্বাস আর বহু-প্রাচীন রীতির অজুহাতে ... ঔ সমস্ত স্বপ্নে পাওয়া টোটকা-বটিকা'কে হালাল করিতে চান তাহা'হইলে আপনার জন্য করুনা ছাড়া আমার আর কিছু নাই ।
পরামর্শ দিব সাবধান থাকতে ... একদা এই অতিষ্ট ... মরতে মরতে বেচে যাওয়া মানুষ'গুলো ঐ টোটকা-বটিকা ব্যাবসায়ীদের কি করিয়াছিল তাহা ভুলিবেন না ।
... এবার সংখ্যা'গরিষ্ঠ'তার প্রসঙ্গে ফিরে আসি ...
ধরুন দেশে ... কোন এক দুর্যোগে যদি আয়োডিন যুক্ত লবনে'র চাষ বিঘ্নিত হয় এবং মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হইয়া যায় ... তবে তাহারাই সূত্রানুযায়ী সংখ্যা'গরিষ্ট ... ...
... এই সুযোগে ন্যাংটা বাবা'র চ্যালা'রা সকল' বুদ্ধি'প্রতিবন্ধি'দের গু' খাওয়াইয়া ভক্ত আশেকান বানাইয়া ফেলিল ... তাহারাই ব্রুট মেজরিটি পাইলো ... নিশ্চিত'ভাবে তাহারা আর সবাই'কে গু খাওয়াতে চাহিবে ... আপনি কি করিবেন ... ?
গু' খাইতে রাজি থাকিবেন তখন ... ?
... প্রসঙ্গ'ক্রমে, আপনাকে স্মরণ করাইয়া দিতে চাই ... আপনি কিন্তু বিশ্বাস এবং সংখ্যা'গরিষ্ট'তা দুইটাকেই শ্রদ্ধা করেন ।
... যেই নচ্ছার হতভাগা আবিস্কার করিয়া ছিল "পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে" ... সেই সময় কিন্তু সেই নচ্ছার ব্যাতিত পৃথিবীর সমস্ত মানুষ (চরম ব্রুট মেজরিটি) বিশ্বাস করিত, মানিত, চর্চাইত, উচ্চ'বাক্যে প্রকাশ'ও করিত - "পৃথিবী স্থির ... সূর্যই বরং পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে" ...
অতঃপর ... এই আপনার মতোই কয়েকজন ... বিশ্বাস এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ'তার দোহাই দিয়া ... সেই আবিস্কারক হতভাগা'কে শুলে চড়াইয়াও দিল ।
শেষ রক্ষা কি হইলো কিছু ? ? ?
না মশাই ... ইতিহাসের আপনার মতো বিশ্বাস এবং সংখ্যা'গরিষ্ঠ'তার আলোকে আলোকিত লোক'গুলো চির'কালের জন্য জঘন্য এক উদাহরণ হইয়া রহিলো ।
এবং পরবর্তি'তে ... অতি অবশ্যই সত্য প্রকাশ পাইলো - "পৃথিবী' সূর্যের চারদিকে ঘুরে" ... আজ তা শতসিদ্ধ'ভাবেই প্রমানিত ...
... আপাতত আর কিছু বলার নাই ... ভালো থাকুন সর্বদা ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০