ট্রাম্প পরাজিত হলে তিনি তার সমর্থকদের রাস্তায় নামাবেন। দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে দিবেন। কোন কোন বিশ্লেষক এই জন্য আমেরিকাতে গৃহযুদ্ধের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। জানি না এরকম আশংকা কতটুকু সত্য হবে। তবে ট্রাম্পের অধিকাংশ সমর্থক যেহেতু ট্রাম্পের মতই খাস বর্ণবাদী। তাই এই আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল জনগণের সরাসরি ভোটের উপর নির্ভর করে না। জনগণ নির্বাচিত করে ডেলিগেটদের। তাদেরকে বলে ইলেকটোরাল কলেজ। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ভিন্ন। একজনকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হতে হলে কমপক্ষে ২৭০ টি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন হয়। তাই মার্কিন প্রসিডেন্ট জনগণের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। তাই জনগণের ভোট তথা পপুলার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বেশি পেলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ নয়। এই জন্য ফলাফল আবার আদালতের রায়েও নির্ধারিত হয়। তাই বিভিন্ন জরিপে জো বাইডেন এগিয়ে থাকলেও এবং পপুলার ভোট বেশি পেলেও যে তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন এমন নিশ্চয়তা নেই।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আমেরিকার জনগণের সামনে সুযোগ খুবই সীমিত। দুই শয়তানের মধ্য থেকে একজনকেই বেছে নিতে হবে। এই দুইজনের মধ্য থেকে যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন না কেন তাতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নীতির কোন হেরফের নাই। ব্যক্তি ও দলভেদে কৌশল একটু ভিন্ন হয় এই যা। তবে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানের বাইরে গ্রিন পার্টি নামে আর একটা দল আছে। তারাও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দেয়। কিন্তু তাদের প্রার্থীকে কেউই চিনে না, জানে না। কোন মিডিয়াও তাকে নিয়ে হৈ চৈ করে না। এমনকি টিভি বিতর্কেও তাকে ডাকে না। কারণ মার্কিন রেজিম চায় না এই দুই প্রধান দলের বাইরের কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোক। এর বাইরে প্রত্যেক প্রার্থীকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়। তাই আমেরিকার এই সিস্টেমটাকে ডেমোক্রেসি না বলে প্লুটোক্রেসি বলাই শ্রেয়।
যাইহোক, আজকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়ী হতে যাচ্ছেন এই নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। তবে কোন অঘটন না ঘটলে বিশেষ করে কোর্ট পর্যন্ত না গড়ালে সম্ভবত জো বাইডেনই হতে যাচ্ছেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। আমার অনুমান মার্কিন রেজিম ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নাও দিতে পারে। অন্তত আমার কাছে সে সম্ভবনা কম। এখন দেখা যাক।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫