somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মিজানুর রহমান মিলন
আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রয়োগের বিকল্প নাই

১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

করোনা সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা। এক এক সময় এক এক ধরণের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে বলা হল করোনা বাতাসে ছড়ায় না। পরে বলা হল বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। করোনার লক্ষণগুলো সম্পর্কে বলা হল। এখন বলা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হলে কোন লক্ষণ প্রকাশ নাও পেতে পারে। অর্থাৎ কেউ একজন করোনায় আক্রান্ত, কিন্তু সে জানেই না সে করোনায় আক্রান্ত। তাই সে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, খাচ্ছে, অফিস করছে এবং শত শত মানুষকে আক্রান্ত করছে! আগে বলা হল করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুস আক্রান্ত হয়।এর ফলে রোগীর শ্বাস কষ্ট হয় এবং অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা যায়। এখন বলা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হলে রক্ত জমাট বদ্ধ হয় এবং এরফলে ফুসফুসে অক্সিজেন যেতে পারে না এবং রোগী মারা যায়! এরকম আরো অনেক অজানা তথ্য করোনা সম্পর্কে এখনো আমাদের অজানা।

করোনাকে কিভাবে মোকাবেলা করব এই নিয়ে বাংলাদেশ কোন পথে এগুচ্ছে তা নিয়ে নানা জন নানা মন্তব্য করতেছেন। লক ডাউন যে দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান নয় এটা এখন আর কোন নতুন তত্ত্ব নয়।কোন দেশের পক্ষেই দীর্ঘ মেয়াদে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই নিয়ে অনেক আগেই লিখেছিলাম। কেউ কেউ বলছেন হার্ড ইমিউনিটির কথা। হার্ড ইমিউনিটি বলতে সহজ ভাষায় যা বুঝি যারা আক্রান্ত হওয়ার তারা আক্রান্ত হবে। শরীরে এন্টিবডি তৈরি হওয়ার ফলে যারা বেঁচে যাওয়ার তারা বেঁচে যাবে এবং যারা মারা যাওয়ার তারা মরে যাবে। গুটি বসন্ত, চিকেন পক্স, হামসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি অনেক দেশই অনুসরণ করেছিল এবং সুফল পেয়েছিল। এর কারণ হল এসব সংক্রামক রোগে কেউ একবার আক্রান্ত হলে শরীরে এন্টিবডি তৈরি হওয়ার ফলে সাধারণত আর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয় না।কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা শুধু সংক্রামকই নয় ভয়াবহ সংক্রামক! বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জন ঘনত্বের দেশ বাংলাদেশ এবং আয়তনেও বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। সবচেয়ে ভয়ংকর যে তথ্যটি তা হল করোনা সম্পর্কে আমাদের অনেক তথ্যই অজানা।

করোনার কারণে শরীরে এন্টিবডি তৈরি হলে সেই এন্টিবডির উপস্থিতির কারণে সেই ব্যক্তি পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হবে না এই মর্মে কোন নিশ্চয়তার বানী আমরা এখন পর্যন্ত গবেষকদের থেকে পাইনি। বিভিন্ন প্রাপ্ত নিউজে দেখা যাচ্ছে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর আবারও আক্রান্ত হয়েছেন। এটা সত্য হয়ে থাকলে তা হবে খুবই ভয়ংকর দিক। আবার কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর এন্টিবডির উপস্থিতির কারণেই ধীরে ধীরে লিভারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মানুষটির মৃত্যু ঘটে। করোনার ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার পর নিকট ভবিষ্যতে তার কি ঘটবে সে সম্পর্কে এখনো আমাদের অজানা! তাই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে নিজেকে করোনা মুক্ত রাখা হবে কোন ব্যক্তির জন্য এই মুহূর্তে বড় সফলতা।

করোনা সম্পর্কে মন্দের ভাল হিসাবে বলা যায় যে এর মৃত্যুহার কম। বলা হচ্ছে এক বা দুই শতাংশ তবে দেশ ভেদে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো এবং জনসচেতনতার উপর ভিত্তি করে মাত্রা কম বা বেশি আছে। যেখানে নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুহার ৪০-৪৫ শতাংশ। তাই বলা যায় করোনায় আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা ৯৯% বা ৯৮%, কিন্তু এর জন্য সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা জরুরী। বিশেষ করে ক্রিটিক্যাল রোগীদের জন্য অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সাপ্লাই জরুরী। বাংলাদেশ যেহেতু অত্যন্ত ঘন বসতি পূর্ণ দেশ এবং করোনা যেহেতু ভয়াবহ সংক্রামক, স্বভাবতই আনুপাতিক হারে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি হবে। হিমশিম হলেও বিশাল সংখ্যক মানুষকে সুচিকিৎসার নিশ্চিৎ ব্যবস্থা করতে হবে। আক্রান্ত যত বেশিই হোক না কেন মৃত্যু হারের সীমা একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে হবে। এই জন্য একই সময়ে দেশের চিকিৎসা সামর্থ্যের বেশি মানুষ আক্রান্ত না হয় এইজন্য করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। একই সাথে মানুষের জীবিকার নিশ্চয়তাও চলমান থাকতে হবে। সন্দেহ নাই প্রত্যেক দেশের সরকারের জন্য এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে জনগণের দায়িত্ব সরকারকে সহযোগিতা করা।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এনসিপিকে আমাদের দেশের তরুণ-যুবা'রা ক্ষমতায় দেখতে চায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে পাড়া-মহল্লায় জনতার আদালত গঠনের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি তথা এনসিপি। দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' তথা চর মোনাইয়ের পীর সাহেবের দল এনসিপিকে আগে থেকেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাতৃ ভাণ্ডার

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:২৬



আমাদের দেশে মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া বিরল ব্যাপার। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে যারা যাতায়াত করেন মাতৃ ভাণ্ডারের সাথে পরিচিত নন এমন মানুষও মনে হয় খুব বেশি নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপি জামায়াতের শাখা, এই ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

প্রিয় রাজীব ভাই,
আপনি আমার আগের পোস্টে কমেন্ট করেছেন যে, এনসিপি জামায়াতের শাখা। আপনার এনালাইসিস ভুল! ওরা জামায়াতের শাখা নয়। এনসিপি-কে বুঝতে হলে, আপনাকে জামায়াতকে জানতে হবে। আমি একটু বিস্তারিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ছবি কৃতজ্ঞতা এআই।

ভূমিকা

নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা ইতিহাসের এক দীর্ঘ অধ্যায়। পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন শুরু হয় ১৮শ শতকের শেষভাগে, যার ফলশ্রুতিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি স্মার্ট জাতির অন্তঃসারশূন্য আত্মজৈবনিক !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪


একটা সময় ছিল, যখন জাতির ভবিষ্যৎ বলতে বোঝানো হতো এমন এক শ্রেণিকে, যারা বই পড়ে, প্রশ্ন তোলে, বিতর্কে অংশ নেয়, আর চিন্তা করে। এখন জাতির ভবিষ্যৎ মানে—ইনফ্লুয়েন্সার। তারা সকাল ১০টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×