নূরজাহান বলছিলেন, ‘সেদিন সকালে মিলিটারিরা সব পুরুষকে বের করে দিল। আমি, আমার মেয়ে, ছেলের বউ, আমার ননদ সবাই বসে থাকলাম। আমি বুড়ো মানুষ। তাও মিলিটারিরা গায়ে হাত দিল। আমার ছোট ছেলের বউটা ছিল সবচেয়ে সুন্দরী। এক মিলিটারি আমাদের পাহারা দিল, অন্যজন আমার বউটাকে রেফ করল। আমি সু চির বাবাকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে ভোট দিতে গেছি। কিন্তু কী পেলাম।
কথা হচ্ছিল আবুল কালামের সঙ্গে। কেমন আছেন—জানতে চাইলে বললেন, ভালো আছেন। চোখের সামনে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে খুন হতে দেখেছিলেন। বোনটির তখন প্রসববেদনা উঠেছে। তাঁকে ঘিরে ধাত্রীসহ গোটা সাতেক মানুষ ছিলেন। কেউ ‘মেলিটারি’র হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। ওই দিনের পর দুই বছরের ছেলে আর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। ছেলে ও ছেলের মায়ের আলাদা কি যত্ন করছেন,
কী খেতে দিচ্ছেন—জানতে চাইলে বললেন, আগের রাতে ভাতে পানি দিয়ে খেয়েছেন। ঘরে লবণও ছিল না।
যেসব শিশু বাবাকে হারিয়েছে বা যাদের বাবা পঙ্গু হয়ে গেছেন, তাদের অবস্থা বেশি খারাপ। জিয়াউর রহমানের হাত অকেজো।
রাইফেলের আঘাতে হাত কয়েক টুকরা হয়ে গেছে। গ্রামে ভিক্ষা করেন। যা পান তাই দিয়ে সন্তানদের খাওয়ান।
গত বছরের ৯ অক্টোবরের পর নাফ নদী পেরিয়ে এখানে প্রায় ৩২ হাজার ৮০০ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গোপনীয় প্রতিবেদনে এই সংখ্যা ৪৮ হাজার ৮৮৩। কেউ কেউ এত কিছুর পরও দেশে ফিরতে চান। তাঁরা স্বপ্ন দেখেন, মিয়ানমারের ১৩৫টি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ সমানাধিকার পাবে। তাঁরা চান না, সন্তানেরাও তাঁদের মতো করে বেঁচে থাকুক।
শরণার্থী শিবিরে মিয়ানমারে অভাবী মুসলিমদের জন্য আপনারা কি ঈদের আগে পারলে মানুষ হিসেবে অভাবি মানুষের পাশে দাড়াতে পারবেন।
অথবা যারা কক্সবাজার ঘুরতে যান তারা না হয় সময় করে আসার সময় কিছু সাহাজ্য দিয়ে আসলেন যতটুকু পারেন একটি শিশুও যদি পেট পুরে খেতে পারে সেটাই বা কম কিসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:২৪