শিশু ঈশা (আ) বলিয়া উঠিল ,আমি আলার বান্দা,তিনি আমাকে কিতাব দান করিয়াছেন এবং নবী নিযুক্ত করিয়াছেন।(৩০)আর তিনি আমাকে মঙ্গলময় করিয়াছেন,আমি যেখনেই থাকিনা কেন,আর তিনি আমাকে নামায ও যাকাতের আদেশ করিয়াছেন।যে পর্যন্ত আমি জীবিত থাকি।(৩১)
আর আমাকে আমার মাতার সেবক বানিয়েছেন এবং তিনি আমাকে অবাধ্য ও দুর্ভাগা বানান নাই(৩২)আর আমার উপর শান্তি যেদিন আমি জন্মিয়াছি,যেদিন আমি মরিব এবং যেদিন পুনর্জীবিত হইয়া উঠিব(৩৩)
(সূরাঃ মারিয়াম)
আর কত সম্মান যে তিনি নবী ও রাসূল।তিনি এখনও জীবিত দ্বিতীয় আসমানে রহিয়াছেন।তিনি তাঁর মুযেযা অনুযায়ী বেহেশতি খানা খান।আর আল্লাহর ইবাদত করেন।আর ফেরেশতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আজ ৪/১২/২০০৮ বিকালের দিকে আসরের নামাযের পর ও সন্ধ্যার পর মনে হল জিবরাইল (আ) তার কাছ থেকে ঘুরে এসেছেন ও তাঁর কথা বলছেন।সেগুলি আমি লিখে জানায় যাতে জিবরাইল(আ)পুণরায় তাকে বলেন পৃথিবীর মানুষের কাছে তার কথা পাঠিয়েছি।এতে তিনি খুশি হবেন।তিনি প্রচন্ড দুঃখিত ও ক্রুদ্ধ।তার অনুসারী গণ যে সকল মূর্তি তৈরী করে ও পূজা করে তার জন্য তিনি লাঞ্চিত হন।তিনি প্রচন্ড লজ্জা পান ও ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন।তার মাতার প্রতি যে যে অপবাদ দেয় তাতে তিনি প্রচন্ড দুঃখিত হন।কাঁদতে থাকেন এই জন্য যে আমি বোধহয় অল্লাহর কোপানলে পতিত হব আমার উম্মতের কারণে।কি বাজে ও লজ্জার ব্য্পাার যে আমার কাওম আমার প্রায় উলঙ্গ মূর্তি তৈরী করেছে।আর আমি যেই অল্লার সৃষ্টি তাঁকে অপমান করছে।আমার দ্বীন বিকৃত করেছে।আমার উদ্দেশ্য শূকর খেয়েছে শূকর কে নিয়ে আনন্দ করেছে। আমার মূর্তি বানিয়ে পরেছে ও আমার মায়ের প্রতি ইহুদীরা ও পাপাচারীরা মিথ্যাচার করেছে।আমার সামনে আমার কাওম হয়েও তারা আমার ও অল্লাার মান ইজ্জত ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছে।তাই তিনি ক্রন্দন করছিলেন।তাই তিনি ক্রন্দন করছিলেন।এবং প্রচন্ড ক্রুদ্ধ হন।
আমি মানুষের মাঝে তার কথা জানিয়ে তার বর্তমান অবস্থা জানিয়ে এসকল কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানায় ।একারনে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রচন্ড শক্তি শালী করেছেন।তার নুরাণী শক্তির দ্বারা তিনি প্রচন্ড আক্রোশে মিথ্যাচারীদের ধ্বংস করবেন।তার নিঃশ্বাসে তারা শকুনের খাবার হয়ে পড়ে থাকবে।মহানবী(সা) বলে গেছিলেন যে -
ঐ সময় মদীনা শরীফের ভিতর হইতে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ মোমেন ও বুজুর্গ এক ব্যক্তি দাজ্জালের সহিত তর্কযুদ্ধ করার জন্য আসিবেন।তিনি দাজ্জালের অনুগামী দিগকে বলিবেন দাজ্জাল কোথায়?তাহারা ইহাকে অভদ্রতা মনে করিয়া তাহাকে হত্যা করিতে উদ্যত হইবে।তাহাদের মধ্য হইতে কেহ কেহ বাধা দিয়া বলিবে তোমাদের কী স্মরণ নাই যে আমাদের দাজ্জাল খোদার অনুমতি ব্যতীত কাহাকেও হত্যা করা নিষেধ।তারপর তাহারা দাজ্জালের নিকট গমন করিয়া সেই লোকটির ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করিবে এবং বলিবে যে একটি লোক আপনার সাক্ষাত লাভ করিতে চায়।দাজ্জাল তাহাকে ডাকিবে এবং তিনি তথায় উপস্থিত হইয়া তাহার কপালের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিয়া উঠিবেন,“আমি তোমাকে চিনিয়া ফেলিয়াছি ।তুমি সেই অভিশপ্ত দাজ্জাল,যাহার সংবাদ হযরত রাসূলুল্লাহ (সা) বহুপূর্বেই আমাদিগকে দিয়া গিয়াছেন।”
এই কথা শুনিয়া দাজ্জাল ভীষণ ক্রোধান্বিত হইয়া পড়িবে এবং তাহার অনুসারীদিগকে বলিবে তাহাকে করাত দিয়া দ্বিখন্ডিত করিয়া ফেল।ফলে তাহাই করা হইবে এবং দাজ্জাল সেই টুকরা দুইটির মাঝখানে দাঁড়াইয়া বলিবে,আমি যদি এই লোকটিকে পুনরায় জীবিত করিতে পারি তাহা হইলে আমার খোদা হওয়া সম্বন্ধে কোন সন্দেহ থাকতে পারে কী?দাজ্জালের অনুগামীরা বলিবে ,না কোনই সন্দেহ থাকিবেনা।তারপর সে সেই লোকটিকে পুনরায় জীবিত করিবে এবং তাহাকেই লক্ষ করিয়া বলিবে এইবার বল দেখি আমি খোদা কিনা?বুজুর্গু ব্যক্তি এইবার উত্তর করিবেন,তুমি যে দাজ্জাল তাহাতে আমার কোন সন্দেহ নাই।তারপর তাহাকে পুনরায় হত্যা করিবার আদেশ দেয়া হইবে।কিন্তু লোকজন শত চেষ্টা করিয়াও তাহার একটি পশমও কাটিতে পারিবেনা।তারপর দাজ্জাল ক্রুদ্ধ হইয়া উক্ত বুজুর্গ লোকটিকে তাহারা দোজখে নিক্ষেপ করিবার নির্দেশ দিবে।সেখানে তিনি বেহেশতের সুখ অনুভব করিবেন।এই ঘটনার পর দাজ্জাল আর কাহাকেও জীবিত করিতে পারিবেনা।জীবিত লোককে হত্যা করা খুবই সহজ কিন্তু মৃতকে জীবিত করা কুদরতের উপর নির্ভরশীল।অথচ তখন হইতে দাজ্জালের ‘কুদরত’ শেষ হইয়া যাইবে।
উক্ত ঘটনার পর দাজ্জালের ধোঁকাবাজির মুখোশ খসিয়া পড়িবে এবং সেই হাতে লজ্জিত হইয়া সিরিয়ার দিয়ে রওয়ানা হইবে।কারণ মদীনা শরীফে তাহার ভন্ডামী ধরা পড়িয়া যাইবে।সিরিয়ার পথে দামেস্ক পৌছিবার আগে ইমাম মেহেদী (মানে আমি)তথায় উপস্থিত হইয়া তাহার সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করিবেন(করিব)।তিনি যুদ্ধের সাজ সরজ্ঞাম ঠিক করার কাজে ব্যস্ত থাকিবেন।এমন সময় জামে মসজিদের মোয়াজ্জিনের আসরের নামাযের আযান দিবে।সকল লোক কাতার বন্দী হইয়া নামাযের প্রস্তুতি গ্রহণ করিবে।ইত্যবসরে আল্লাহ পাক আকাশ হইতে হযরত ঈসা(আ) প্রেরণ করিবেন।হযরত ঈসা (আ) দুইজন ফেরেশতার কাঁধে হাত রাখিয়া এবং জাফরাণী রংএর কাপড় পরিধান অবস্থায় দামেস্কের জামে মসজিদ(তৎকালীন হবে বাইতুল মুকাদ্দাস যা তার জন্মস্থান ছিল) এর পূর্ব দিকের মিনারায় অবতরন করিবেন এবং সেখান হইতে বলিবেন‘সিঁড়ি লাগাও’।এই কথা শুনিয়া সিঁড়ি লাগান হইবে এবং তিনি সিঁড়ি বাহিয়া জমিনে অবতরণ করিবেন এবং ইমাম মেহেদী(মানে আমার সাথে)এর সহিত মোলাকাত করিবেন(স্বশরীরে)।
(বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
হযরত মুহম্মদ(সা) আরও বলেছেন,
‘আসরের নামাযের সময় তিনি অবতীর্ণ হইলে মুসলমানদের অধিনায়ক ইমাম মেহেদী(মানে আমি) খুবই ভদ্রতা ও বিনম্রভাবে তাহাকে অভিনন্দন করিবেন এবং তাহাকে নামাযের ইমামতী করিবার জন্য তাহাকে অনুরোধ করিবেন(করব)।পত্যুত্তরে ঈসা(আ ) বলিবেন ,আলাহ পাক উম্মতে মোহাম্মদীকে অতি উচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দান করিয়াছেন;সুতরাং আপনাদের মধ্য হইতে একজন ইমাম হইবেন।তারপর তিনি ইমাম মেহেদী এর পিছনে মুক্তাদি হইয়া সালাত আদায় করিবেন।নামায আদায়ের পর ইমাম মেহেদী তাহাকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করিবার অনুরোধ জানাইবেন(জানাব)।কিন্তু তিনি তাহাও মঞ্জুর করিবেন না।এবং বলিবেন, আমি একমাত্র দাজ্জালকে বধ করিবার জন্যই প্রেরিত হইয়াছি।শুনিয়া ইমাম মেহেদী খুবই খুশী হইবেন।
(মুসলিম ও তিরমিজী শরীফ)
জিবরাইল (আ) একথাটি বারবার বললেন যে উম্মতে মোহাম্মদীকে অতি উচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দান করিয়াছেন।তিনি এই জন্য বলেন যে তিনি খুব লজ্জিত।খ্রীষ্টানদের কাজকর্মের জন্য।তিনি আল্লাহর কাছে নিজের মান সম্মান নষ্ট হওয়ার প্রতিশোধ নিতে মুনাজাত করেন।তিনি প্রচন্ড ক্রুদ্ধ একই কারনে।তাই তিনি দুঃখে ও লজ্জিতভাবে ও আমার কথায় সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে খুব কাছের বন্ধুর মত ভালবাসবেন।ও পুনরায় সেই সম্মান দিবেন যা আল্লাহ তাকে বলে দিয়েছেন তা দিবেন। তিনি খ্রীষ্টানদের কাজ কর্মে খুবই দুঃখ কষ্ট পান ও লজ্জায় ঘৃণায় কাঁদেন।এভাবে জিবরাইল(আ) তাকে দেখেছেন ও তিনি তাকে লিখতে বলেও পাঠিয়েছেন।তাই আমি বন্ধুত্বের প্রথম স্বাক্ষর ও প্রথম বাস্তব প্রয়োগ দেখালাম ও প্রতিষ্ঠা করলাম(সুদৃঢ় করলাম)।
আল্লাাহ কুরআনে যেমনটি বলেছেন যে,
তিনি সন্তান গ্রহণ করেন না,তিনি পবিত্র।যখন তিনি কোন কাজ করিতে সিদ্ধান্ত করেন,তখন তিনি উহার উদ্দেশ্য বলেন যে ‘হইয়া যা’ তৎক্ষণাত উহা হইয়া যায়(৩৫) আর নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা
আমারও রাব্ব তোমাদেরও রাব্ব অতএব,সকলে তাহারই এবাদত কর,ইহাই সরল পথ(৩৬)অনন্তর বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলি পরস্পরের সহিত মতভেদের সৃষ্টি করিল,সুতরাং এই কাফেরদের জন্য বড় দুর্দশা
রহিয়াছে এক বড় দিনের আগমনে(৩৭) (সূরাঃ মারিয়াম)
৫/১২/২০০৮
৯ঃ৩০-৯ঃ৩৬ এর মধ্যে শয়তান আযাযীল আমাকে আলার রহমতে আমার কানে ইসলামের কোন দেশে শক্তি বৃদ্ধির কথা জানালেন।আর আযাযীল এও বলেন যে আমার জন্য যদি আপনি দুআ করে আল্লাহর কাছ থেকে আমাকে মাফ করিয়ে নিতেন তবে আমি ঈমাণদার হয়ে যেতাম।কারণ আমি কিয়ামত অতি সন্নিকটে অতি কাছে বুঝতে পারছি যেন আমি দেখতে পাচ্ছি।আমি আপনার কাছে বসে আছি আপনার উপরে।
আমি বললাম আযাযীল যে তুমি আল্লাহ কাছে অভিশপ্ত অতঃপর মানব জাতি সেই তোমার জন্য কিভাবে ক্ষমা চাব?আর তুমি তো কোন নবী রাসূলের দ্বারা ক্ষমা প্রাপ্ত হওনি।হয়ত আল্লাহ তার প্রতিশ্রুত সবকিছু পুরণ করার পর।হয়তবা কোনদিন হয়তবা জাহান্নামে অনন্তকাল জ্বলিবার পর তিনি হয়তোবা তোমার সাথে কথা বলিবেন।তখন তুমি চেষ্টা কর।আর আবার আমাকেও বল ,আমার কথাও বল।
উৎসর্গ হযরত ঈশা(আ) কে