ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি ২ সপ্তাহের জন্য। এখানেও সেই গাছ, গরম নিয়ে আলোচনা। কন্যা ও তার মা আছে গ্রামের বাড়ি। যেখান থেকে তারা এখন আছে কন্যার নানির বাড়ি।
আমি চট্টগ্রাম থেকে দুটি কাঁঠাল গাছের চারা বাড়িতে নিয়ে একটি নিজের বাড়িতে ও একটি শ্বশুড়বাড়িতে লাগিয়েছিলাম বছর ৫/৬ আগে। আমাদের বাড়ির গাছটি মরে গেছে কিন্তু শ্বশুড়বাড়ির গাছটিতে ৩/৪ বছর পরই ফল ধরেছে। প্রথম বছর এত কাঁঠাল ধরেছে যে মানুষের নজর বা মুখ লেগেছে। এর পরের বছর থেকে মাত্র ০১টি করে কাঠাল ধরে।
তো সেদিন কাঠালের ঘ্রাণ পেয়ে আমার স্ত্রী বলল কাঠাল মনে হয় পেকেছে, সবাই মিলে খাব। ছোট শ্যালককে গাছে উঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেল কাঠাল পাকেনি। তখন আমার মেয়ে বলল, এটা আমার বাবার গাছ। এই গাছের কাঠাল শুধু আমি একা খাব। তার কথা শুন সবাই হাসতে লাগলো।
একটু পর সে বলল না আমিও খাবনা। কাঠালটা পেড়ে বক্সে প্যাকেট করে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দিব। শুধু বাবা খাব। আমার বাব এই গাছ লাইছেনা, তাই বাবাই খেতে পারবে।
তখন তারা খালামনি বলল, তা হলে আমরা কি খাব ?
-তোমরা অন্য গাছের গুলো খাবা আর না হয় নতুন গাছ লাগিয়ে খাইও।
সবাইল বলল রাইট, রাইট।
যা গরম পড়েছে, গাছ লাগাতে হবে।
ফল ও খাওয়া হবে, বাতাস ও পাওয়া যাবে।
সবাই ভাল থাকুন । পরিবেশ সচেতন হোন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১