শহরপল্লীতে বৃত্তবন্দীঃ সূর্যস্নানে ভাজা ইলিশ অথবা ইছামতি নামের নদীটি
মিড টার্মের ছুটি চলছে। ফেইসবুকের গৃহপাতা জুড়ে হয় “বীচে ঘুরছি” নয়ত “বীচে যাচ্ছি” টাইপ আপডেটে সয়লাব অবস্থা। হাতে কমবেশি ৪টে টার্ম প্রজেক্ট আর টুকিটাকি কিছু কাজের চাপ; একটা দিন ব্যয় মানেই যেখানে অনেক কিছু; সেখানে বন্ধুবান্ধব কারোরই তেমন সময় নেই। তারপরেও সবার চেক ইন দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে “কি আছে গেবনে” বলে ফোন দিলাম এই সবের জন্য go to man আসিফ উদ দৌলাকে – “এই মঙ্গলবার যেইভাবে পারিস একদিনের ট্যুরের একটা ব্যাবস্থা কর। কই করবি; কিভাবে করবি – কিচ্ছু জানি না।“ দৌলা ছেলে খারাপ হইলেও মানুষ ভাল। “দেখতেসি” বলে ফোন রেখে দিল। সোমবার সন্ধ্যায় ফোন পাইলাম – “কাল সকালে রেডি থাকিস; বান্দুরা জাইতেসি; মিনার আছে সাথে; ঘুরুম ঘারুম; আর হলে আইসা সকালে ঘুম থেইকা তুলবি আমাদের“।
সকাল ৮.৩০। আমার যাত্রা শুরু। হলে গিয়ে জাগায় তুললাম দুই কুম্ভকর্ণ দৌলা আর মিনারকে। প্রথম গন্তব্য চিরচেনা গুলিস্তান। সেখান থেকে বান্দুরার সরাসরি বাস। ভাড়া জনপ্রতি ৬৫ টাকা। সার্ভিস খুব একটা খারাপ না। শুরু হল বাস চলা; হইল যে হইলই; বাস আর থামাথামির নাম নাই। বুড়িগঙ্গা, ইছামতি নদী পার হয়ে জিঞ্জিরা কেরানিগঞ্জের উপর দিয়ে বাস চলছে দক্ষিণে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক চলার পর একদম বান্দুরা (শেষ স্টপেজে) গিয়ে নামলাম। দুপুর তখন প্রায় ১১.৩০। এদিক সেদিক খানিক ঘুরাঘুরি করে অটো রিকশায়। গন্তব্য কলাকোপা; ভাড়া ১৫ টাকা। সেইখানে জজ বাড়ি; উকিল বাড়ি আর আনসারদের তত্ত্বাবধানে চালানো কোন একটা ট্রেনিং সেন্টার। পুরোনো বাড়িগুলোতে মানুষ জনের বাস; তাই আর ভিতরে যাওয়া হয় নি। ট্রেনিং সেন্টারের ভিতর খানিকক্ষণ ফটোসেশন শেষে উকিল বাড়ি ঘুরে দেখে সেখান থেকে আবার অটোরিকশা; এবারের গন্তব্য জয়পাড়া।
জয়পাড়া যাওয়ার একমাত্র কারণ সেখান থেকে মাওয়া যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। ভাড়া ২০ টাকা। জয়পাড়া গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে খানিক এইদিক সেইদিক ঘুরাঘুরি করে বাসে চড়ে বসলাম; মাওয়া যাব। বাস শ্রীনগর পর্যন্ত। সেখানে নেমে ভটভটিতে মাওয়া ফেরি ঘাট; ১০ টাকা করে। আশেপাশের দৃশ্য আর রাস্তার সৌন্দর্যে ভটভটিতে সামনের সিটে না ওঠার জন্য আফসোস হতে লাগলো। ফেরি ঘাটে খানিকক্ষণ গাড়ি লোডিং আনলোডিং দেখলাম। পরিকল্পনা ছিল একটা ফেরিতে উঠে যাব; পদ্মার মাঝ থেকে সূর্যাস্ত দেখব। সময়ের অভাবে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ঘাটের পাশেই চায়ের দোকানে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম। অতঃপর? জি হ্যা; মাওয়া গেলাম আর ইলিশ হবে না তা তো হবে না !! খানিক চাঁদের আলো আর খানিক ফ্লুরোসেন্ট বাতির নিচে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে সদ্য ভাজা ইলিশ পেটে চালান করে আরেক দফা চা পান। অতঃপর বাড়ি ফেরার পালা। সরাসরি ঢাকার বাস; ৭০ টাকা করে খরচ করে গুলিস্তান। সেখান থেকে আবার হলে খানিকক্ষণ আড্ডা শেষে ফিরে এলাম নিজ বাসায়।
বুলেট পয়েন্ট ১ – ভাড়া সহ যাবতীয় জিনিস পাতি বেশ সস্তাই ছিল বলে মনে হইসে। দিনশেষে খাওয়া এবং যাতায়াত খরচসহ আমাদের জনপ্রতি খরচ হইসে ৩৭১ টাকা; একদিনের ভ্রমণের জন্য যা খুবই রিজনেবল।
বুলেট পয়েন্ট ২ - বাস দিয়ে সরাসরি বান্দুরা না এসে কলাকোপায় নেমেই ট্যুরের বাকিটা দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয়। একেবারে বান্দুরায় দেখার মতন তেমন অত কিছু পাই নি।
বুলেট পয়েন্ট ৩ – লেখাটা খানিকটা স্মৃতি থেকে লেখা এবং টাকা পয়সার সমস্ত হিসাব নিকাশ দৌলা সাহেব সামলানোয় কিছু কিছু জায়গার নাম এবং টাকা পয়সার হিসাবে খানিকটা এদিক সেদিক হতে পারে। তথ্যগত ভুল ক্ষমাসুন্দরদৃষ্টি প্রার্থী।
বুলেট পয়েন্ট ৪ – ছবিগুলো আমার এবং দৌলার মোবাইলে তোলা। ছবিগুলো সরবরাহ করার জন্য দৌলাকে কৃতজ্ঞতা।
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন