এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্য এর সামনের ছবি। যেখানে বাংলাদশের আগামী প্রজন্মের নাগরিকরা রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে দাড়িয়ে আরেকটি দেশের পতাকা নেড়ে তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। যে নামটি (ভারত) উচ্চারণ করতে ঘৃণায় আমাদের মন ভরে ওঠে, যে নামের মধ্যে আমরা আমাদের নির্যাতিত নিষ্পেষিত মা-বাবা, ভাই-বোনদের(ফেলানীর) হাহাকার শুনতে পাই, আমাদের মন তীব্র ঘৃণায় প্রতিশোধপরায়ণ হতে চায়, দলে-পিষে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছা করে যে নামটি- সেই পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম আজ গৗরবের হাসি হাসছে, কিভাবে? এ লজ্জা রাখি কোথায়!!
দৃশ্যপট-২ (স্থান-মিরপুর স্টেডিয়াম, ঢাকা)
এটা মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলার ছবি।
যে পিতার চোখের সামনে তার মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছিল, যে মা নৃশংস বর্বরতার মুখে তার স্বামী-সন্তানকে বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েছিল সে কী পারবে খেলার আনন্দে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে চিৎকার করতে? অথচ সেই পিতারই, সেই মায়েরই কিছু সন্তান আজ পাকিস্তানের পতাকা মাথায় বেঁধে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ!!!’ বলে আনন্দধ্বনি করছে। কী অদ্ভূত!
দৃশ্যপট-৩ (স্থান- বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র)
রোটারি সম্মেলনে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে ক্ষোভ
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছে গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮০ বাংলাদেশ-এর সম্মেলনে। এই প্রথম স্বাগতিক দেশ ছাড়া অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হওয়ায় উপস্থিত রোটারিয়ানদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভুলে গেলে সবাই ৭১?? ভুলে গেলে সবাই ফেলানীকে?? থুতু আর ধিক্কার তোমাদের প্রতি।
**ছবিগুলো বিডিনিউজ এবং বাংলানিউজ থেকে নেয়া