ঢাকা ফিরেই যে শুভ্র সেই হয়ে উঠলো। অনিয়মিত জীবন যাপন। উদ্যোগ ও উদ্যমহীন সময় ক্ষেপন। আমি মনে মনে বিরক্ত হয়ে উঠছিলাম। বাড়ির লোকজন মানে বাড়ি লোকজন বলতে আমি আর বাবা মা আর কাজের লোকজন। সেই কাজের লোকজনও তো কানাঘুষা করে তাই না? মানে নিশ্চয়ই আড়ালে আবডালে বলে জামাইটা কিছুই করে না। বেকার বসে খাচ্ছে। সেসব আমার সামনে না বললেও না শুনতে পেলেও আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু সেই প্রথম দিনের পর থেকে বাবা আর কখনও জিগাসাও করেনি। শুভ্র কেনো কিছু করছে না বা কবে করবে। আসলে বাবার সাথে দেখাই হত আমাদের খুব কম। বলতে গেলে কালে ভদ্রে। আর মা কেনো যেন শুভ্রকে খুব পছন্দ করেন। কারন কি জানিনা। শুভ্র যা খেতে পছন্দ করে তা কখনও জিগাসা না করেও ঠিক কি করে যেন বুঝে ফেলেন মা। শুভ্রের বাসায় পরা স্লিপিং স্যুট, সেভিং কিটস সব কিছুই মা নিজেই কিনে সাজিয়ে রাখেন যথাস্থানে। এমনকি শুভ্র যখন লাইব্রেরীতে বই পড়ে তখনও সেখানে পানির জগ গ্লাস থেকে চা কফি পর্যন্ত চলে যায় যথা সময়ে।
মায়ের সাথে শুভ্রের কথা হয় খুবই কম। তবুও কোথায় যেন এক অদৃশ্য যোগসূত্র তৈরী হয়েছে তার সাথে মায়ের। একদিন আমি অফিস থেকে ফিরতেই বললো, মায়ের মনে হয় আজ শরীর খারাপ। তুমি একটু খেয়াল করো না কেনো? আমি খুব অবাক হলাম। শুভ্র যে এইটুকু কেয়ারিং হতে পারে সে ভরষা আমার দিনে দিনে কমে যাচ্ছিলো। কিন্তু এই কথায় বুঝলাম সে মাকে আসলে খুব পছন্দ করে বলেই হয়ত খেয়ালটা করেছে। এছাড়াও মা একদিন আসমাকে ডাকছিলো পানি দিতে এক গ্লাস। শুভ্র সেটা শুনতে পেয়ে নিজেই পানি এনে দিলো মাকে। মা ভীষন লজ্জা পেয়েছিলো জামাই তাকে পানি এনে দিয়েছে দেখে। কিন্তু শুভ্র নির্বিকার। যেন সে এটা রোজই করে।
সে যাইহোক এছাড়া এমন নিশ্চিন্ত নিরুপদ্রপ জীবনে শুভ্র ভালোই অভ্যস্থ হয়ে উঠছে। তার মাঝে নিজে কিছু করার তাড়াই যেন নেই আর। একদিন আমি ওকে বললাম, শুভ্র নিজে কিছু করো। নিজের পায়ে দাঁড়াও। শুভ্র তার স্বভাবসুলভ রসিকতায় বললো, আমি তো নিজের পায়েই দাঁড়াই এই যে দেখো। এমন রাগ লাগলো আমার। আমি এক টান দিয়ে ওর হাত থেকে বই ফেলে দিলাম। বললাম কালকেই তুমি জব খুঁজতে বের হবে। শুভ্র বললো আরে জব কি হারিয়ে গেছে যে খুঁজে বের করবো? আমার রাগে কথা বন্ধ হয়ে আসছিলো। শুভ্র আমার অবস্থা দেখে হাসিমুখে বললো, তোমার কথা মতই আমি চলি। তোমার কথা শুনেই আমি এক হাজার সিভি সেন্ড করেছি। দেখো একটা থেকেও ডাক আসেনি। আসলে কি জানো? এইভাবে বাংলাদেশে জব হয় না। আমি বললাম তাহলে কিভাবে হয়? সে বললো ব্যাকিং বুঝেছো ব্যাকিং। ব্যাকিং ছাড়া বা গুড রেফারেন্স ছাড়া এই দেশে জব হয়না। আমি বললাম তবে আমার কিভাবে হলো? সে বললো তুমি নিজেই তোমার রেফারেন্স। আমি বললাম কিভাবে? সে বললো ভেবে দেখো। তারপর গা জ্বলানো মিটমিটে হাসি হাসতে লাগলো।
কিছুপরেই সে অবলীলায় বললো, আচ্ছা তোমার বাবাকে বলো না আমাকে একটা জব দিতে। আমি ওর কথা শুনে হা হয়ে গেলাম! বাবাকে বলবো! কি বলছে এসব শুভ্র? ওর কি এতটুকুও লজ্জা নেই। নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি আমরা কাউকেই তোয়াক্কা না করে আর কিনা এখন জবের জন্য দ্বারস্থ হবো বাবার কাছেই? শুভ্রের মান সন্মান জ্ঞান যে এত কম তা আগে বুঝিনি। আমি বললাম, না আমার বাবার চাকরী তুমি করতে পারবে না। নিজের যোগ্যতায় জব খুঁজে বের করো। নইলে না। শুভ্রও অবলীলায় বলে দিলো, ওকে তাইলে না। জব যখন হেঁটে হেঁটে আমার দূয়ারে আসবে তখন করবো। সে বইটা মেঝে থেকে তুলে নিয়ে তাতে ফের মন দিলো। আমি দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। আমার অস্থির লাগতো। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি হবে এরপর।
মা খুব চুপচাপ নির্বিবাদী মানুষ হলেও ঠিকই খেয়াল রাখতেন সবকিছু। তা বুঝা গেলো সেদিন রাতে যখন বললেন, শুধু শুধু ছেলেটাকে এত দোষ দিচ্ছিস কেনো? জব যখন হবার তখনই করবে, যখন যার সময় হয় তখন তাই হয়। সত্যি কি জানিস? টাকার পেছনে ছোটার অভ্যাস মানুষকে মানুষ থেকে যন্ত্রে পরিনত করে। আর যন্ত্রের মন থাকে না, থাকেনা মায়া দয়া বিবে. থাক ওমন করে বলিস না ওকে। বেচারা কারো সাতে পাঁচে থাকে না। মন খুলে কথা বলে, নিজের মত করেই সব করে। ও তো আমাদের মত না। তোর আর আমার মত ইগো কাজ করে না ওর মাঝে। ও যা তাই। একদম পানির মত পরিষ্কার। ভন্ডামী নেই কোনো। মুখে এক আর কাজে আরেক এমন ভন্ড দিয়ে কি হত বল? আর সত্যি বলতে কি জানিস? আমরা অনেকেই সমাজ আর সংসারের চাপে এমন সব কাজ বা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেই যা আসলে বোঝা। সেই বোঝা ফেলে আমরা চলতে শিখিনা। কষ্ট পাই। ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলি।
শ্বাশুড়ি প্রায়ই ফোন দেন। খোঁজ খবর নেন। বারবার দুঃখ করেন এমন সময়ে আমাকে কাছে রাখতে পারছেননা। আবার বলেন তবে এও সত্য তুমি তোমার পরম নিশ্চিন্তের আশ্রয়স্থলেই আছো। শ্বশুর তো রোজ সকালে একবার বিকালে একবার খোঁজ নেন। উনার কথায় এত আন্তরিকতা থাকে। এত মায়া আমি মুগ্ধ হয়ে যাই! শুভ্রকে নিয়ে তার চিন্তার শেষ নেই। ছেলেকে স্বাবলম্বী দেখতে চান মৃত্যুর আগে। কিন্তু তাতে কি শুব্রের কোনো মন আছে? শ্বশুর আকারে ইঙ্গিতে বলেন আমাকে দেখতে আসার কথা। কিন্তু আমি হ্যা হু করে এড়িয়ে যাই। কেনো যেন মনে হয় উনার এখানে আসা ঠিক হবে না। শুভ্রের মত শক্ত নার্ভ তার নেই। মানুষকে সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসার যে হৃদয় তার আছে সেটা কি আমার বাড়ির মানুষদের বিশেষ করে বাবার আছে? উনি হয়ত খুব খুব কষ্ট পেয়ে যাবেন। উনার কষ্ট আমি কোনোভাবেই চাইনা। আমি কখনই চাইনা এই অবাক করা আশ্চর্য্য সুন্দর মানুষটা আমার বাড়িতে এসে কাউকে দিয়ে কষ্ট পাক।
শৈলী বলে জানো ভাবী মা তার পুরোনো নরম শাড়ি দিয়ে অনেকগুলি কাঁথা বানিয়ে রেখেছেন তার অনাগত নাতি বা নাতনীর জন্য। এমন কি পুরোোনো শাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আলমারী থেকে নতুন শাড়িও নামাতে শুরু করেছেন। আমি মনে মনে হাসি। মা আর শ্বাশুড়ি মিলে কি যে শুরু করেছেন। মা কাঁথা বানাতে জানেননা । উনি মম এন্ড কিডসের দোকান নিজের আলমারীতে তুলে এনেছেন। আর শ্বাশুড়ি তার সব কটা পুরোনো শাড়ি ধুঁয়ে শুকিয়ে নরম কাপড়ে কাঁথা বুনছেন পরম মমতায়। এই ছেলে বা মেয়ে যেই হোক সে দেখছি পরম ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। আমি পেটে হাত বুলোই। ডায়েরীতে লিখে রাখি এসব ভালোবাসা বা মমতার কথা। তবুও আমার মাঝে মাঝেই মন খাারাপ হয়। কোথায় যেন সব বেখাপ্পা লাগে। সবার যেমন সহজ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন হয় আমার যেন কোথায় সেটা অস্বাভাবিক বৈষম্য হলো। অবশ্য কাউকেই বলতে পারিনা । এসব আমার নিজেরই সৃষ্টি নিজেরই গড়ে তোলা জীবন।
শুভ্রের এক ফোটাও চিন্তা নেই এসব নিয়ে। সে বেশ আছে। সেদিন সে এসে বললো, জব যখন হচ্ছেই না তখন তার বন্ধুদের সাথে সে বিজনেস করবে ঠিক করেছে। আমি বললাম বাহ! বেশ ভালো তো তো কিসের বিজনেস করবা? সে বললো মাছের। মাছের! আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। মানে কি? মাছের বিজনেস কেমনে করবে? কেমনে করবে সে বর্ণনা দিয়ে চলেছিলো সে। গ্রামে যাবে, এই করবে, সেই করবে, নানা কাহিনী, কে এই কাজ করে হয়েছেন রাজা বাদশাহ। আমার মাথায় কিছুই ঢুকছিলো না। তবুও কিছু বললামনা। হয়ত সেই সঠিক। সবাইকে জব পেতেই হবে বা করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। যে যা করতে চায়। যা করে হ্যাপী থাকবে সেটাই করা উচিৎ।
কিন্তু সব বিজনেসেই টাকা লাগে। পুঁজি ছাড়া কোনো ব্যাবসাই আসলে শুরু হতে পারে না । সে হোক না ১ টাকাও। কিন্তু শুভ্র বললো তার লাগবে খুবই কম যৎ সামান্য টাকা। সে টাকা যৎসামান্য আমার কাছে কিন্তু তার কাছে তো যৎ সমান্যও নেই। আমি বললাম কত লাগবে? সে বললো আপাতত লাখ পাঁচেক। তারপর এই পাঁচ পঞ্চাশ হতে মোটেও সময় লাগবে না। হা হা হাসি পায় আমার এখন। ভাবি আসলে আমি ছেলেমানুষ ছিলাম নাকি শুভ্রই ছিলো অবাস্তব আর খামখেয়ালী একজন অবাক বিস্ময়! আমি বললাম ওকে, তাই করো। আমি তোমাকে পাঁচ লাখ দিচ্ছি। কিন্তু তুমি তবুও কিছু একটা করো। শুভ্র বললো আমি জানতাম তুমি এটাই বলবে। ঠিক আছে তবে কালই শুরু করি?
দুদিনের মাঝেই শুভ্র বগুড়ায় চলে গেলো। মা খুব অবাক হলেন। এখন আমার এই অবস্থাতে মা কখনই চায়নি শুভ্র দূরে থাকুক। কিন্তু মা জানেন না ওকে অকারণ নির্লিপ্ত সময় নষ্ট করতে দেখে আমি ভেতরে ভেতরে কি রকম অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। আসলে এখন বুঝি আমি আজীবন ভীষন কর্মপ্রিয় একজন মানুষ ছিলাম। সে যে কোনো কাজই হোক না কেনো। আই ওয়াজ অলওয়েজ বিজি। আর শুভ্র ঠিক তার উল্টোটাই। নিজের মনে যা ইচ্ছে তাই করে ফেলা মানুষ। অথবা ভিষন সঠিক। মানুষের জীবন এমনই হওয়া উচিৎ। ঠিক ওর মতই। আমার মত নয়। আমি সমাজ সংসারে আর দশটা মানুষ যা করে ঠিক সেটাই মানতে শিখেছিলাম। নিজের মত করে আনন্দে বাঁচা বা যখন যেভাবেই জোটে বা চলতে হয় সেভাবেই চলা এতেই হয়ত বেশি আনন্দ হত। যেমনটা শুভ্র। আমি কেনো ওর মত হতে পারি না?
সপ্তাহ খানেকের মাঝেই শুভ্রের উচ্ছাস দেখে তো আমি মুগ্ধ! তার নতুন কাজ কারবারের খবর শুনে কান ঝালাপালা হয়ে গেলো। শুভ্র খুব মেতে উঠলো কাজ নিয়ে। সেখানে সারা দিন রাত কাজ করে তারা। রাতে বসে উনাদের আড্ডা পার্টি আরও কত কি। যেন আরেক আনন্দের নতুন জীবন পেয়েছে সে। প্রতিদিনই কথাও হচ্ছে বেশ খানিকটা সময় তার সাথে। মনও খারাপ করে। ওর সবই ভালো লাগছে শুধু আমাকে ছাড়াই নাকি দিন গড়াচ্ছে না। ওর আর কিছুই লাগতো না যদি চোখের সামনে আমার সুন্দর, হাসি হাসি কিংবা রাগী রাগী বা ওর মত অকর্মন্যকে দেখে বিরক্ত হয়ে ওঠা মুখটাই দেখতো। হা হা হা হাসি পায় আমার। কি করে বলে শুভ্র এসব নিজের কথাই এমন করে!
মাস খানেক না যেতেই শুভ্রের উদ্যম কমে আসতে লাগলো। তার ঐ কঠিন আর আরাম আয়েসহীন জীবন একেবারেই স্যুট করছিলো না। তার এজমার সমস্যাটা প্রায়ই দেখা যাচ্ছিলো। আমারও খুব খারাপ লাগছিলো। বললাম থাক চলে আসো একেবারেই সহ্য না হলে। এ কথার পরদিনই শুভ্র ফিরে এলো। তার চেহারা দেখে আমার সত্যিই মন খারাপ হলো খুব। উস্কোখুস্কো চুল আর এক মুখ দাঁড়ি গোফের জঙ্গলের মাঝে জ্বলজ্বল চোখের তারা দুটিও ছিলো ম্রিয়মান। আমার মনে হলো আমারই অন্যায় হয়েছে ওকে জোর করে পাঠানো। আমি জোরাজুরি না করলে সে মরিয়া হয়ে উঠতোনা কোনো একটা কাজের জন্য।
সেদিন সারারাত আমি শুভ্রকে জড়িয়ে রইলাম। শুভ্র খুব চুপচাপ হয়ে ছিলো। আমিও একটি কথাও বলিনি। একটি বারও জানতে চাইনি কেনো পারলে না? পরে জেনেছিলাম শুধু শরীর খারাপ বা জায়গাটা স্যুট না হওয়াটাই না আসলে ওর পার্টনারের সাথে তার খুব এক চোট গন্ডোগোল হয়ে গিয়েছিলো। শুভ্র বিশ্বাস করে ওকে পুরোটা টাকাই দিয়েছিলো কিন্তু তার বদলে তার পার্টনার তাকে দিয়েছিলো ধোকা। আমি আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। সন্ধ্যা থেকেই কেনো যেন মন খারাপের সাথে সাথে শরীর খারাপ লাগছিলো। ভোরের দিকে একটু তন্দ্রা মত এসেছিলো। কি একটা স্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
তখন আমার সাত মাস চলছিলো। বেবির হার্টবিট না বুঝতে পারলেও নড়াচড়া বেশ ভালোই বুঝতাম। ডক্টরও বলেছিলো সেটা খেয়াল রাখতে। কিন্তু ভোরবেলা ঐ তন্দ্রেটুকু কেটে যাবার পরেই আমার হঠাৎ মনে হল অনেকক্ষন যাবৎ বেবির কোনো ম্যুভমেন্ট পাইনি আমি। শুভ্রকে নিয়ে দুশ্চিন্তা আর কষ্টটা এত বেশী ছিলো যে এদিকে খেয়ালও করিনি। আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিলো। এতদিন এত কষ্টের পরেও বেবিটাকে দেখতে পাবো না নাকি আমি? দৌড়ে মায়ের ঘরে গেলাম। মাকে খুলে বললাম সব। মা নিজেই পেটে হাত দিয়ে বুঝবার চেষ্টা করলেন। ডক্টরকে ফোন দেওয়া হলো। আমার বুক ভেঙ্গে হু হু কান্না আসছিলো। তবুও নিজেকেই সান্তনা দিচ্ছিলাম এসব ভুল আমার। সব কিছু ঠিকই আছে আগের মতই আছে। আমারই ভুল হচ্ছে।বেবিটার কিচ্ছু হয়নি। সে ভালো আছে.......
খুব ভোরবেলা হসপিটালে ভর্তি হলাম আমি..........
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬