(৮১ : ০১) অর্থ- যখন সূর্য জ্যোতিহীন হবে;
অবিশ্বাসীদের কাছে বিজ্ঞানের বিশ্লেষক হিসেবে খ্যাত একজন ব্লগার কিছুদিন পূর্বে আমার পোষ্ট সম্পর্কে না বুঝেই যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস নিয়েছিলেন, সংগত কারনেই তার জবাব দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি। না বুঝেই হোক বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই হোক- তিনি পোষ্টের শুরুতে যে গান ধরেছেন, শেষ তক সেই একই গানের কলিই গুনগুনিয়ে গেছেন। অজ্ঞানতা ও বিভ্রান্তির আঁধারে হাবুডুবু খেয়ে যারা তার সাথে ছিলেন- আমি তাদের দৃষ্টিও আকর্ষণ করছি। শব্দ চয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে আমি যে ভাব প্রকাশ করতে চেয়েছি- হয়ত কোন কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে তা তার কাছে স্পষ্টরূপে ফুটে নাও উঠতে পারে। সেক্ষেত্র তিনি তো প্রশ্ন ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে সুস্থ-মস্তিষ্কে বিষয়টিকে বোঝার চেষ্টা করতে পারতেন। কিন্তু তা না কোরে- না বুঝেই শুধু প্রলাপই বকে গেলেন। হোক সে নাস্তিক বা আস্তিক- সে যে হালকা মনের একজন হুজুগে প্রকৃতির মানুষ, একটি পোষ্টের শিরোনামই সেই সাক্ষ্য বহন করছে। উত্তেজনার হুজুগে মেতে তিনি যে মিথ্যার বিষবাষ্প ছড়াবার অপচেষ্টা করেছেন তা সত্যসন্ধানীরা একদিন ঠিকই বুঝতে পারবেন। আমার লেখা যারা পড়েন এবং সব সময় সাথে থাকেন- আমার বিশ্বাস তারা এসব বিভ্রান্তিকর কথায় বিচলিত হবেন না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সবাইকে ধৈর্য সহকারে সত্যকে জানার ও বোঝার তৌফিক দান করেন।
উক্ত পোষ্টে আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছিলাম তাতে মহাকাশে আবিষ্কৃত বিস্ময়কর বস্তুগুলোকেই আমি হাইলাইট করতে চেয়েছি এবং সেই সম্পর্কে আল-কোরআনে প্রদত্ত তথ্যকে তুলে ধরতে চেয়েছি। পোষ্টটির ঠিকানা:- মহাজাগতিক বিস্ময়গুলো সম্পর্কে আল-কোরআনের নির্ভুল তথ্যগুলো সত্যিই বিস্ময়কর! এই পোষ্টের বিষয়ের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয় বিধায় সেখানে এই আয়াতটি সম্পর্কে বর্ননা কোরে কলেবর বৃদ্ধি করতে চাইনি। এটি এমনই একটি বৈজ্ঞানিক তথ্য সমৃদ্ধ আয়াত যা সংক্ষেপে বোঝাতে হলেও আলাদা একটি পোষ্ট দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই সেখানে এই আয়াত সম্পর্কে বর্ননা কোরে পোষ্টটির মূল বিষয়বস্তুকে পাঠকদের কাছে দুর্বোধ্য কোরে তুলতে চাইনি। পরবর্তীতে এ সম্পর্কে পাঠকদের বোঝার মত কোরে আলাদাভাবে আর একটি পোষ্ট দেবার পরিকল্পণা আমার ছিল।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Horus
{ তার পোষ্টে উল্লেখিত ৫ নং অর্থাৎ শেষের দিক থেকে ২ নং অনুচ্ছেদে তিনি হঠাৎ কোরেই এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি নিয়ে মেতে পাঠকদের মনযোগ কিভাবে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন তা এবার দেখুন । তিনি বলেছেন- ৫) মাহফুজশান্ত যে জিনিষটা কোরান থেকে বের করতে পারেন নি তা হলো ২.২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্হিত এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি ঘন্টায় ৫ লক্ষ কিলোমিটার বেগে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির দিকে ছুটে আসছে। আজ থেকে ৩ বিলিয়ন বছর পরে সেটা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির উপর এসে পরবে। আমাদের মিল্কিওয়েটা ১ লক্ষ আলোক বর্ষ ব্যাপী বিস্তৃত। আর এতে আছে প্রায় ৪ বিলিয়ন নক্ষত্র। আর এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের থেকে দ্বিগুন বড়। সেই সময় সূর্য্যের মিল্কিওয়ের অরবিটের সম্ভাব্য অবস্হানের উপর ভিত্তি দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। এক সূর্য্যটা ছিটকে লক্ষ আলোক বর্ষ দূরে মহাশূণ্যের অন্য কোন এক অবস্হানে গিয়ে পরতে পারে অথবা দুই গ্যালাক্সির মিলিত কেন্দ্রে যেখানে চলতে থাকবে মূল পার্টিটা ঠিক তার মাঝখানে গিয়ে পরতে পারে। তবে ঘটনা যাই ঘটুক পরিণতিটা যে খুব একটা সুখকর হবে না সেটা মনে হয় বলে দিতে হবে না। এর চেয়ে বেশী বর্ননা করে পাঠকদের ধৈর্য্যচ্যুতি করতে চাই না। তবে আসলে কি ঘটবে সেটা যদি মাহফুজশান্ত আমদেরকে কোরান ঘেটে বলে দিতেন তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম। আর এরও ২ বিলিয়ন বছর পরে সূর্য্যের শ্বেত বামন হওয়ার পর কিয়ামতের অপেক্ষায় বসে না থাকাটাই যে শ্রেয় হবে সেটা মনে হয় বলে দিতে হবে না। }
আমার আলোচনায় এন্ড্রোমিডার কথা কেন আমি উল্লেখ করলাম না সেজন্য তিনি হাস্যষ্কর কথা বলেছেন। তিনি হয়ত ভাবছেন এটি সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই। এন্ড্রোমিডার কথা জানলেই আমার আলোচনায় আমি এটিকে আনতে যাব কেন? এটি যে আমাদের ছায়াপথের দিকে ধেয়ে আসছে- সে তো অনেক পুরোন কথা। আমি যা বলতে চেয়েছি সেখানে তো এন্ড্রোমিডার উপস্থিতির কোন প্রয়োজন নেই। তবে একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে। একদিন নয়ত একদিন মহাবিশ্বে যে প্রলয় বা ধ্বংসযজ্ঞ কিছু একটা হবে, তা তার দেয়া তথ্যে কিন্তু ঠিকই বেরিয়ে এসেছে। সেই কথা তো আমিও বোঝাতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি সেটা বুঝলে তো। বুঝবেই বা কেমন করে! তার দেয়া তথ্যের সাথে আল-কোরআনে বর্নীত কেয়ামত সংঘটনের সময় বা অবস্থার তো কোন সম্পর্কই নেই।
তিনি তো একই কথার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছেন আর বার বার বলেই চলেছেন - আর এরও ২ বিলিয়ন বছর পরে সূর্য্যের শ্বেত বামন হওয়ার পর কিয়ামতের অপেক্ষায় বসে না থাকাটাই যে শ্রেয় হবে সেটা মনে হয় বলে দিতে হবে না।
আমি তো কখনই বলিনি যে, সুর্যটা শ্বেত-বামনে পরিনত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামতের অপেক্ষায় আমাদের বসে থাকতে হবে।
যে ব্যক্তি আমার পোষ্ট থেকে এ ধরনের বক্তব্য খুঁজে পায়- সে যে কত বড় নির্বোধ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এখানে আমি সূর্যের রূপান্তরের ধারাকে উল্লেখ করতে চাইনি। আমি শুধুমাত্র কেয়ামতের সময় সূর্যের জ্যোতিহীন অর্থাৎ জ্যোতি হ্রাস পাওয়া জনিত বিশেষ অবস্থার কথা উল্লেখ করেছি এবং এও বলেছি যে, সূর্যটা তখনও নিভে যাবেনা, বরং আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু তাপ ও আলো বিকিরন করা দরকার সূর্যটা তখনও তা করবে। সূর্যের পারমানবিক জ্বালানী যে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে তা তো আজ অজানা নয়। এটিও যেমন একটি কারন, তেমনি Maunder Minimum সম্পর্কে যদি তার কিঞ্চিত ধারনা থাকত তাহলে তো প্রকৃত বিষয়টি ঠিকই আঁচ করার কথা।
{(৮১ : ০১) অর্থ- যখন সূর্য জ্যোতিহীন বা নিষ্প্রভ হবে; } এই আয়াতে আমি কখনই সূর্যের নিভে যাবার সাথে কিয়ামতের সম্পর্কের কথা বলিনি। বরং ‘যখন’ শব্দটি দ্বারা কিয়ামতের বেশ কিছু সময় পূর্বের কথা বোঝাতে চেয়েছি এবং সূর্যের জ্যোতিহীন জ্যোতি হ্রাস পাওয়া জনিত বিশেষ অবস্থার কথা বলেছি। মূলত জ্যোতির হার কমে আসার দিকেই আমি দৃষ্টি আকর্ষন করতে চেয়েছি। আর জ্যোতির হার কমে আসার সাথে সাথে সূর্যের তাপ ও আলোক বিকিরনের হার কমে আসারও তো একটা সম্পর্ক আছে। সুতরাং সূর্যের জ্যোতিহীন হওয়ার সময় অর্থাৎ সূর্যের তাপ ও আলোক বিকিরনের পরিমান কমে আসার সময় বলতে আমি sunspots (বাংলায় যাকে বলে সূর্যকলঙ্ক) এর স্বল্পতার বা অনুপস্থিতির কারনে solar radiation এর ঘাটিতির সময়কেই বোঝাতে চেয়েছি । এখানে ইংরেজি শব্দ চয়নে হয়ত কিছু সমস্যা থাকতে পারে, যেমন এক্ষেত্রে সূর্যের ঔজ্জ্বল্যের হারের স্বল্পতা বলতে আমি যে lusterless or dim শব্দ ব্যবহার করেছি- সেস্থলে Deficiency of Solar Irradiance ব্যবহার করলে হয়ত আরও ভাল হত। অনেক সময় ভাব প্রকাশের জন্য যুৎসই শব্দ চট কোরে মাথায় আসেনা। এ ধরনের ঘাটতি যে আমার থাকতে পারে তা আমি অকপটে স্বীকার করছি। তবে ভাবটাকে সঠিকভাবে প্রকাশের জন্য জন্য যে সাধ্যমত চেষ্টা করি তা মহান আল্লাহতায়ালা ভালভাবেই জানেন।
সূর্যের আভা/দীপ্তি/ঔজ্জ্বল্যের পরিবর্তন অর্থাৎ কম-বেশি হতে পারে এবং সূর্য-কলঙ্কের অনুপস্থিতি ও উপস্থিতির উপর তা নির্ভর করে। নিচের লিংক থেকে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হলো-
Does the brightness of the Sun change over time?
Yes, modern measurements between 1978 and 1995 show that the "brightness" or total irradiance of the Sun fluctuates by a few tenths of a precent over the 11 year solar cycle. This small fluctuation reflects stability of the solar photosphere as seen in the visible spectrum which extends from the blue at 400 nanometers (nm) to the deep red at 800nm. Observations from space show increasing variation from the ultraviolet below 400nm to the x-ray region down to .1nm. However, the bulk of the output solar energy is in the visible spectrum; therefore, its variation dominates fluctuations on the Sun's "brightness".
Variations in sunspot activity are probably behind the increases and decreases in solar radiation and consequence changes in Earth's climate.
During the Medieval maximum of 1000-1300 there was an extremely large Sunspot which is believed to have warmed the Earth higher than normal.
The Sporer minimum of 1400-1510 and the Maunder minimum of 1645-1715 were each known as a "little ice age." They were both droughts in Sunspot activity, and a link to a time of abnormally cold weather on Earth.
The Sun could start going through a down trend in sunspot activity at any time. We could find ourselves back in a state similar to the Maunder Minimum with decades of much colder weather.
From 1645 to 1715, a period known as the Maunder Minimum, there were virtually no sunspots observed, indicating a "quiet" period in the sun's activity. This period coincides with the height of a time known as the Little Ice Age, which was a period of lower temperatures in Europe and perhaps globally.
TSI (Total Solar Irradiance ) is shown to be directly related to these "activity" cycles that Schwabe noticed 150 years ago. At the maxima of these cycles, there are more sunspots (which are magnetic phenomena that decrease total irradiance), but new instruments show that these dark sun spots are more than compensated for by bright areas on the sun, called faculae. Therefore, the overall irradiance increases in correspondence with higher numbers of sunspots.
http://en.wikipedia.org/wiki/Sun
The Sun is currently behaving unexpectedly in a number of ways.[117][118]
• It is in the midst of an unusual sunspot minimum, lasting far longer and with a higher percentage of spotless days than normal; since May 2008.
• It is measurably dimming; its output has dropped 0.02% at visible wavelengths and 6% at EUV wavelengths in comparison with the levels at the last solar minimum.[119]
• Over the last two decades, the solar wind's speed has dropped by 3%, its temperature by 13%, and its density by 20%.[120]
• Its magnetic field is at less than half strength compared to the minimum of 22 years ago. The entire heliosphere, which fills the Solar System, has shrunk as a result, resulting in an increase in the level of cosmic radiation striking the Earth and its atmosphere.
Click This Link
In 2008, the sun set the following records:
A 50-year low in solar wind pressure: Measurements by the Ulysses spacecraft reveal a 20% drop in solar wind pressure since the mid-1990s—the lowest point since such measurements began in the 1960s. The solar wind helps keep galactic cosmic rays out of the inner solar system.
A 12-year low in solar "irradiance": Careful measurements by several NASA spacecraft show that the sun's brightness has dropped by 0.02% at visible wavelengths and 6% at extreme UV wavelengths since the solar minimum of 1996.
উপরের তথ্যগুলো বোঝার সুবিধার্থে আমি সংক্ষেপে কিছু বিষয় তুলে ধরছি-
{সূর্যের প্রচন্ড উত্তাপের কারনে এর মধ্যে অবস্থিত সকল পদার্থই গ্যাস ও প্লাজমার আকারে থাকে। মহাকর্ষের প্রভাবে এই গ্যাস ও প্লাজমা ক্রমাগত আবর্তিত হচ্ছে। দেখা গেছে যে, এই আবর্তন সূর্যের অক্ষাংশ অপেক্ষা নিরক্ষবৃত্ত বা বিষুবরেখা বরাবর দ্রুত গতিতে হয়। আবর্তনের গতির এই পার্থক্যের কারনে সূর্যের পৃষ্ঠদেশ থেকে চুম্বকীয় ফাস সবেগে বিদীর্ন হতে থাকে এবং সূর্য-কলঙ্ক (sun spots) গঠনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। প্রায এগার বছর পর পর সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্রের মেরুদ্বয় পরস্পর উল্টে গিয়ে দিক পরিবর্তন (উত্তর-মেরু-> এগার বছর পর দক্ষিণ-মেরু/আবার দক্ষিণ-মেরু-> এগার বছর পর উত্তর-মেরু) করতে থাকে।
সূর্য কলঙ্কের উপস্থিতিতে পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। সূর্য-কলঙ্কের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০০০-১৩০০ সাল পর্যন্ত সময়কে "Medieval maximum" বলা হয়ে থাকে। এ সময় সূর্যের ঔজ্জ্বল ("brightness") বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপ ও আলো বিকিরনের হারও বৃদ্ধি পাওয়ায় পৃথিবীর উষ্ঞতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল।
অপরদিকে গবেষণায় দেখা গেছে ১৬৪৫ সাল থেকে পরবর্তী ৭৫ বছর পর্যন্ত সূর্যে সূর্য-কলঙ্ক প্রায় ছিল না বললেই চলে। এই সময় টিকে "Maunder Minimum" এবং একই কারনে ১৪০০-১৫১০ সাল পর্যন্ত "Sporer minimum" বলা হয় । এ সময় সূর্যের ঔজ্জ্বল ("brightness") হ্রাস পাবার সাথে সাথে তাপ ও আলো বিকিরনের হারও হ্রাস পেয়েছিল। পৃথিবীর উষ্ঞতাও স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গিয়েছিল। তাই এই সময়কে ("little ice age") বলা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানিরা ২০১২ সাল নাগাত পুনরায় সূর্য-কলঙ্ক বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। তারা দেখেছেন যে, "Maunder Maximum" অপেক্ষা "Maunder Minimum" এর সময়ই প্রকৃতির উপর বিভিন্ন দিক থেকে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
নাসার গবেষণায় দেখা গেছে ১৯৯০ সালের মধ্যভাগ থেকে সৌরবায়ুর চাপ প্রায় ২০% কমে এসেছে। নাসার আরো এক গবেষণামতে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা হলো- ১৯৯৬ সালের "solar minimum" এর সময় থেকে সূর্যের ওজ্জ্বল্য প্রায় ০.০২% হ্রাস পেয়েছে।}
উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে (৮১:০১) নং আয়াতে "সূর্য জ্যোতিহীন হবে" বলতে মূলত বিজ্ঞানের বর্ননায় উল্লেখিত সূর্য-কলঙ্কের অনুপস্থিতরি ফলে 'droughts in Sunspot activity' এর কারনে সূর্যের আভা/দীপ্তি/ঔজ্জ্বল্যের অর্থাৎ "brightness" এর ঘাটতিকালীন অবস্থাকেই আমি বোঝাতে চেয়েছি।
যেহেতু "Maunder Maximum" ও "Maunder Minimum" ঘুরে ঘুরে আসে এবং পূর্ববর্তী "Maunder Minimum" অপেক্ষা পরবর্তী "Maunder Minimum" এর Sunspot অর্থাৎ সৌর-কলঙ্কের কর্মশীলতা হ্রাস পাওয়ার আভাস মিলেছে। তাই এই আয়াতে "যখন" শব্দটি দ্বারা সূর্যের লাল-দানব বা শ্বেত-বামন হওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা নয়। বরং বর্তমান এই হলুদ-সূর্যটা হলুদ থাকাকালীন অবস্থায় ভবিষ্যতের কোন এক "Maunder Minimum" এর সময়কালীন একটি নির্দিষ্ট দিনে কেয়ামত সংঘটিত হবার ইংগিত দেয়া হয়েছে কিনা তা ভেবে দেখার জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কেয়ামত সংঘটনের সেই নির্দিষ্ট ক্ষণটিকে সম্পূর্ণ সঠিকভাবে আবিষ্কার করা অসম্ভব এবং মানুষের সাধ্যের অতীত বৈকি। তথাপি এর নিকটবর্তী কিছু পূর্ব লক্ষণ জানানোর জন্য মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর কিতাবে বেশ কিছু ইংগিত দিয়েছেন, যা ইমানদারদের বিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আসল খবর তো স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন। যেহেতু আল-কোরআনে কিয়ামতের আগে অন্যান্য অনেক নক্ষত্র শ্বেতবামনে পরিনত হবার ইংগিত থাকলেও সরাসরি সূর্যের শ্বতবামনে পরিণত হবার কোন ইংগিত দেয়া হয়নি। বরং সূর্যটা জ্যোতিহীন হবে অর্থাৎ এর জ্যোতির মাত্রা শুধুমাত্র হ্রাস পাওয়ার ইংগিত দেয়া হয়েছে। সুতারাং এই আয়াতে কিয়ামত সংঘটনের সময় সূর্যের জ্যোতিহীন হওয়া অর্থাৎ জ্যোতির মাত্রা হ্রাস পাওয়ার সময়ের যে ইংগিত দেয়া হয়েছে তার সাথে সূর্যের একেবারে নিভে যাওয়া বা শ্বেত-বামনে পরিণত হবার যে কোন সম্পর্ক নেই তা তো নিশ্চয় এবার পরিষ্কার হয়েছে।
মহান আল্লাহতায়ালাকে পাবার জন্য যারা চেষ্টা-সাধনা করে- আল্লাহতায়ালা তাদের অন্তরকে স্বচ্ছ ও আত্মীক শক্তিকে বৃদ্ধি কোরে দেন আর যারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হয়না, বরং তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়- তাদের অন্তরে ও আত্মায় মোহর মেরে দেন। তাই বিশ্বাসী ভাইদের বলছি- আপনারা এদের মিথ্যাচারে বিচলিত হবেন না। বরং আল্লাহতায়ালার উপর ভরসা কোরে সত্যজ্ঞান আহরনে সময় দিন। দেখবেন মহান স্রষ্টা আপনার কত নিকটে চলে এসেছেন। মহান স্রষ্টা যেন আমাদের সবাইকে হেদায়েত দেন এবং সরল ও শান্তির পথে চলার তৌফিক দান করেন।
এর আগের পোষ্ট দেখতে এখানে ক্লকি করুন-
আল-কোরআনের ঐশী তথ্য সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা ব্যার্থ হবেই
আরও যারা পড়েছেন-
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯